০৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনতিবিলম্বে সাইফুল ইসলামের সন্ধান চাই

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৯:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • ৪৯ পড়েছেন

 দাকোপ প্রতিনিধিঃ গাজী সরোয়ার হোসেন : গতকাল ৮জুন, বৃহঃবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম’কে স্থানীয় হাড়িখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় ৮-১০ জন সাদা পোষাকধারী যুবক। এসময় ঘটনাস্থলে সাইফুলের বড় ভাই বায়েজিদ শেখ, স্থানীয় কম্পিউটার কম্পোজ দোকানদার সাজ্জাদ, সাব্বির, মুন, কামাল, ইমদাদ, মাহমুদ, রাজু, শামীম সহ অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীদের ভাষ্যমতে, একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস ও কয়েকটা মটরসাইলে ৮ থেকে ১০ জন তরুণ উক্ত খেলার মাঠে উপস্থিত হয়। তারা চিৎকার করে বলতে থাকে সাইফুল কোথায়? সাইফুল রেসপন্স করলে তারা বলতে থাকে তুমি তেরখাদা উপজেলা ছাত্র অধিকারের সভাপতি? তুমি তো ভিপি নূরের দল করো। তোমার কাছ থেকে কিছু ইনফরমেশন দরকার। চলো আমাদের সাথে। এতটুকু বলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জোর জবরদস্তি করে সাইফুলকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় তারা। এসময় স্থানীয়রা মাইক্রোবাসের সাথে একটি বাইকে তেরখাদা থানার সাব- ইনসপেক্টর অনুপ কুমারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। স্থানীয় কম্পিউটার দোকানদার সাজ্জাদ জানান, তেরখাদা থানার সাব ইনসপেক্টর অনুপ কুমার সহ কয়েকজন যুবক তার কাছে যায় এবং সাইফুলের সন্ধান চায়। কম্পিউটার দোকানদার সাজ্জাদ পাশের মাঠেই সাইফুল ইসলাম’ আছে বলে তথ্য দেয়৷ তাৎক্ষনিকভাবে সাব ইনসপেক্টর অনুপ কুমার সহ ৮/১০ জন যুবক খেলার মাঠ থেকে সম্পূর্ণ অপহরণের কায়দায় সাইফুল’কে তুলে নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে আমরা তেরখাদা থানায় যোগাযোগ করলে তারা আমাদের কোনো সসদুত্তর দিতে পারেনি। পরপরই গতরাতে আমরা সাব ইনসপেক্টর অনুপ কুমারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা তাকে তুলে নিয়েছে। এবং এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। ‘আপনি কেনো জানেন না? আপনি তো ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট থেকে জাস্ট আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হইছে। আমরা সহযোগিতা করেছি। এর বেশি কোনো তথ্য তিনি আমাদের দেননি। নানান গুজব ও কানাঘুষায় শত উৎকন্ঠায় রাত পার হওয়ার পর আজ সকাল ১০ ঘটিকায় সাইফুল ইসলামের মা এবং ভাই বায়জিদকে নিয়ে আমরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যায়। শুক্রবার থাকায় পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামে কাউকে তারা গ্রেফতার করেন নাই এবং আমরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের গারদেও সাইফুল ইসলামের কোনো সন্ধান পাইনি। এমতাবস্থায় আমরা অনতিবিলম্বে সাইফুল ইসলামের সন্ধান চাই। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, শুধুমাত্র সাইফুল ইসলামকে গুম করার মধ্য দিয়ে এই বর্বর তান্ডব শেষ হয়নি। গত ৭ দিনে আমাদের উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর মাত্রা চরমভাবে বেড়ে গিয়েছে। এলাকার স্থানীয় আওয়ামী গুন্ডারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর লেলিয়ে দিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে একজোট হয়ে নেমেছে। গত ৪ তারিখ রাতে আমাদের দাকোপ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব রুহুল আমিনকে তুলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে দীর্ঘ ১২ ঘন্টা পর গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে চালান করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে আমাদের জেলা গণঅধিকারের সদস্য সচিবকে গ্রেফতার করে ব্যাপক নির্যাতনের পর দীর্ঘ ১২ ঘন্টারও বেশি সময় নিয়ে তাকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করা হয়। তবে এবারের ঘটনা অর্থাৎ আমাদের সাইফুলের ঘটনা যেনো অতীতের সব ঘটনাকেই হার মানিয়েছে। সাইফুলকে আকশ্মিকভাবে তুলে নেওয়ার ধরণ দেখে আমরা চরমভাবে আতঙ্কিত হয়েছি। কয়েকদিন আগে নেত্রনিউজে আমরা আইনা ঘরের কথা শুনেছি। আমরা জানতে চাই, আমাদের সহযোদ্ধা, আমার সহকর্মী সাইফুল ইসলামকে কি আয়নাঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে? সাইফুলকে তুলে নেওয়ার সময় ওর কাছে নিজের ব্যাবহৃত বাটন ফোন ছিল। যার নম্বর ০১৯৫৫৫৮৯৬৪৪। সাইফুলকে তুলে নেওয়ার পরবর্তী ৪৫/৫০ মিনিট পর্যন্ত আমরা উক্ত নম্বর খোলা পেয়েছি। পরবর্তীতে নম্বর বন্ধ করে রাখা হয়। আমরা আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। এরেষ্ট ওয়ারেন্ট বা কোন তদন্তের প্রয়োজন হলে আমাদের জানাবেন আমরা স্বশরীরে স্বেচ্ছায় উপস্থিত তাদের সহযোগিতা করবো। কিন্তু এ ধরণের গুমের ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধের সামিল। কোনরূপ অন্যায় ও অপকর্মের সাথে আমার তেরখাদা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জড়িত নয়। আর যদি তার নামে কোনো ক্লেইম বা অভিযোগ থাকে তাহলে তাকে বন্দী করুন, গ্রেফতার দেখান। তবে যেভাবে, যে প্রকৃয়ায় তাকে তুলে নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ২৪ ঘন্টা পর এসেও তথ্য গোপন করা হচ্ছে এটা স্পষ্টতই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কিছুদিন আগেই সাইফুল ইসলামের একটি বড় ধরণের অপারেশন হয়। তার বাথরুমের নাড়ি ব্লাস্ট হয়ে যায়, এবং হার্নিয়ার অপারেশন হয়। আপনারা জানেন, অপারেশন ২ টি বড় এবং জটিল। এখনও তার নিয়মিত ঔষুধ খেতে হয়। তবে তাকে মেডিসিন গ্রহণেরও কোনো সুযোগ এখনও পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। যা চরমভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। সাইফুল সরকারী বঙবন্ধু কলেজ রুপসা’তে ডিগ্রি ২য় বর্ষে পড়াশোনা করে। এমতাবস্থায় আমরা জানতে চাই, তেরখাদা থানার সাব ইনসপেক্টর অনুপ কুমার উপস্থিত থেকে কার হাতে আমাদের সাইফুল ইসলামকে তুলে দিয়েছে? কেনো আমরা কোনো সন্ধান পাচ্ছি না? এই অনুপ কুমার নেপথ্যে থেকে কি আমাদের সাইফুল ইসলামকে গুম করে দিয়েছে? আমরা জানতে চাই.. কেনো আমরা দীর্ঘ প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরেও সাইফুলের সন্ধান পাচ্ছি না? আমরা সাইফুলের সন্ধান চাই।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

অনতিবিলম্বে সাইফুল ইসলামের সন্ধান চাই

প্রকাশিত সময় : ০৯:৩৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

 দাকোপ প্রতিনিধিঃ গাজী সরোয়ার হোসেন : গতকাল ৮জুন, বৃহঃবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম’কে স্থানীয় হাড়িখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় ৮-১০ জন সাদা পোষাকধারী যুবক। এসময় ঘটনাস্থলে সাইফুলের বড় ভাই বায়েজিদ শেখ, স্থানীয় কম্পিউটার কম্পোজ দোকানদার সাজ্জাদ, সাব্বির, মুন, কামাল, ইমদাদ, মাহমুদ, রাজু, শামীম সহ অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসীদের ভাষ্যমতে, একটি কালো রঙের মাইক্রোবাস ও কয়েকটা মটরসাইলে ৮ থেকে ১০ জন তরুণ উক্ত খেলার মাঠে উপস্থিত হয়। তারা চিৎকার করে বলতে থাকে সাইফুল কোথায়? সাইফুল রেসপন্স করলে তারা বলতে থাকে তুমি তেরখাদা উপজেলা ছাত্র অধিকারের সভাপতি? তুমি তো ভিপি নূরের দল করো। তোমার কাছ থেকে কিছু ইনফরমেশন দরকার। চলো আমাদের সাথে। এতটুকু বলেই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জোর জবরদস্তি করে সাইফুলকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয় তারা। এসময় স্থানীয়রা মাইক্রোবাসের সাথে একটি বাইকে তেরখাদা থানার সাব- ইনসপেক্টর অনুপ কুমারকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। স্থানীয় কম্পিউটার দোকানদার সাজ্জাদ জানান, তেরখাদা থানার সাব ইনসপেক্টর অনুপ কুমার সহ কয়েকজন যুবক তার কাছে যায় এবং সাইফুলের সন্ধান চায়। কম্পিউটার দোকানদার সাজ্জাদ পাশের মাঠেই সাইফুল ইসলাম’ আছে বলে তথ্য দেয়৷ তাৎক্ষনিকভাবে সাব ইনসপেক্টর অনুপ কুমার সহ ৮/১০ জন যুবক খেলার মাঠ থেকে সম্পূর্ণ অপহরণের কায়দায় সাইফুল’কে তুলে নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে আমরা তেরখাদা থানায় যোগাযোগ করলে তারা আমাদের কোনো সসদুত্তর দিতে পারেনি। পরপরই গতরাতে আমরা সাব ইনসপেক্টর অনুপ কুমারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা তাকে তুলে নিয়েছে। এবং এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। ‘আপনি কেনো জানেন না? আপনি তো ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট থেকে জাস্ট আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হইছে। আমরা সহযোগিতা করেছি। এর বেশি কোনো তথ্য তিনি আমাদের দেননি। নানান গুজব ও কানাঘুষায় শত উৎকন্ঠায় রাত পার হওয়ার পর আজ সকাল ১০ ঘটিকায় সাইফুল ইসলামের মা এবং ভাই বায়জিদকে নিয়ে আমরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যায়। শুক্রবার থাকায় পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে সাক্ষাত করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা আমাদের জানিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামে কাউকে তারা গ্রেফতার করেন নাই এবং আমরা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের গারদেও সাইফুল ইসলামের কোনো সন্ধান পাইনি। এমতাবস্থায় আমরা অনতিবিলম্বে সাইফুল ইসলামের সন্ধান চাই। প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, শুধুমাত্র সাইফুল ইসলামকে গুম করার মধ্য দিয়ে এই বর্বর তান্ডব শেষ হয়নি। গত ৭ দিনে আমাদের উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখানোর মাত্রা চরমভাবে বেড়ে গিয়েছে। এলাকার স্থানীয় আওয়ামী গুন্ডারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর লেলিয়ে দিয়ে আমাদের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে একজোট হয়ে নেমেছে। গত ৪ তারিখ রাতে আমাদের দাকোপ উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব রুহুল আমিনকে তুলে নিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে দীর্ঘ ১২ ঘন্টা পর গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে চালান করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে আমাদের জেলা গণঅধিকারের সদস্য সচিবকে গ্রেফতার করে ব্যাপক নির্যাতনের পর দীর্ঘ ১২ ঘন্টারও বেশি সময় নিয়ে তাকে গ্রেফতারের কথা স্বীকার করা হয়। তবে এবারের ঘটনা অর্থাৎ আমাদের সাইফুলের ঘটনা যেনো অতীতের সব ঘটনাকেই হার মানিয়েছে। সাইফুলকে আকশ্মিকভাবে তুলে নেওয়ার ধরণ দেখে আমরা চরমভাবে আতঙ্কিত হয়েছি। কয়েকদিন আগে নেত্রনিউজে আমরা আইনা ঘরের কথা শুনেছি। আমরা জানতে চাই, আমাদের সহযোদ্ধা, আমার সহকর্মী সাইফুল ইসলামকে কি আয়নাঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে? সাইফুলকে তুলে নেওয়ার সময় ওর কাছে নিজের ব্যাবহৃত বাটন ফোন ছিল। যার নম্বর ০১৯৫৫৫৮৯৬৪৪। সাইফুলকে তুলে নেওয়ার পরবর্তী ৪৫/৫০ মিনিট পর্যন্ত আমরা উক্ত নম্বর খোলা পেয়েছি। পরবর্তীতে নম্বর বন্ধ করে রাখা হয়। আমরা আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল। এরেষ্ট ওয়ারেন্ট বা কোন তদন্তের প্রয়োজন হলে আমাদের জানাবেন আমরা স্বশরীরে স্বেচ্ছায় উপস্থিত তাদের সহযোগিতা করবো। কিন্তু এ ধরণের গুমের ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধের সামিল। কোনরূপ অন্যায় ও অপকর্মের সাথে আমার তেরখাদা উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জড়িত নয়। আর যদি তার নামে কোনো ক্লেইম বা অভিযোগ থাকে তাহলে তাকে বন্দী করুন, গ্রেফতার দেখান। তবে যেভাবে, যে প্রকৃয়ায় তাকে তুলে নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ২৪ ঘন্টা পর এসেও তথ্য গোপন করা হচ্ছে এটা স্পষ্টতই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কিছুদিন আগেই সাইফুল ইসলামের একটি বড় ধরণের অপারেশন হয়। তার বাথরুমের নাড়ি ব্লাস্ট হয়ে যায়, এবং হার্নিয়ার অপারেশন হয়। আপনারা জানেন, অপারেশন ২ টি বড় এবং জটিল। এখনও তার নিয়মিত ঔষুধ খেতে হয়। তবে তাকে মেডিসিন গ্রহণেরও কোনো সুযোগ এখনও পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। যা চরমভাবে মানবাধিকারের লঙ্ঘন। সাইফুল সরকারী বঙবন্ধু কলেজ রুপসা’তে ডিগ্রি ২য় বর্ষে পড়াশোনা করে। এমতাবস্থায় আমরা জানতে চাই, তেরখাদা থানার সাব ইনসপেক্টর অনুপ কুমার উপস্থিত থেকে কার হাতে আমাদের সাইফুল ইসলামকে তুলে দিয়েছে? কেনো আমরা কোনো সন্ধান পাচ্ছি না? এই অনুপ কুমার নেপথ্যে থেকে কি আমাদের সাইফুল ইসলামকে গুম করে দিয়েছে? আমরা জানতে চাই.. কেনো আমরা দীর্ঘ প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরেও সাইফুলের সন্ধান পাচ্ছি না? আমরা সাইফুলের সন্ধান চাই।