১০:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভয়নগরে ভূয়া পশু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি পরিবার

###    যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এক ভূয়া পশু ডাক্তার পরিচয়দানকারীর সন্ধান মিলেছে। তিনি উপজেলার ৮নং সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের আমতলার বাসিন্দা হায়দার গাজীর ছেলে মোঃ হাফিজুর গাজী। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, কথিত এ পশু চিকিৎসকের বৈধ কোন কাগজ না থাকলেও এলাকার সবাইকে তিনি গরু বা পশু চিকিৎসক নামে পরিচয় দেন। তার ভূয়া পরিচয়ের ও ভূল চিকৎসার কারণে এলাকার অনেক মানুষের গরু ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। তেমনি এক ভুক্তভোগী সিদ্দিপাশা গ্রামের মৃত- রইজ ফারাজীর ছেলে মোঃ খবির জানান, আনুমানিক এক সপ্তাহ আগে আমার দু’টি ছাগলের বাচ্চা হয়। ছাগল দু’টি একটু অসুস্থ মনে হলে আমি ডাঃ হাফিজুর কাছ থেকে চিকিৎসা নেই।তার ভূল চিকিৎসায় ছাগলের দুধের স্থন ফেটে ঘা হয়েছে। তার কারনে আমার ছাগল ও ছাগলের বাচ্ছা দুটি মৃত্যুর পথে।এ চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায়  ৯ হাজার টাকা ব্যায় করেও সমস্যার সমাধান পাচ্ছি না। আমি এই ভূয়া পুশু ডাক্তারের শাস্তি চাই। অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, পশু চিকিৎসক এর শরনাপন্ন হওয়ায় অনেকেই তাদের গোয়ালের গরু ছাগল হারিয়েছে। এমন ভুক্তভোগীরা হলেন, সিদ্দিপাশা গ্রামের কবির শেখ এর ছেলে রবিউল শেখ, তোরাব মোল্লার ছেলে আকুব্বর মোল্লা, বাবু খার ছেলে রিজাউল খা, কালু সরদারের ছেলে মহির সরদার, ছাব্দুল মোল্লার ছেলে ফারুক মোল্লাসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঐ ভূয়া পশু চিকিৎসকের কারণে আমাদের এলাকার পশুগুলো চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছে। তারা আরোও বলেন, তিনি পশু ডাক্তার না হয়েও কেন পশুর চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রানী হত্যা করছে তার বিচার চাই। অভিযোগের বিষয়ে পশু চিকিৎসক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, আমি কোন পশু ডাক্তার না, আমি পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা করে থাকি। তার কাছে চিকিৎসা করার অনুমতি সনদ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কোন অনুমতিপত্র নেই। শুধু যুব উন্নয়নের একটি সার্টিফিকেট আছে। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা পশু কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিক বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব, রেজিষ্টারভুক্ত ডাক্তার না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

অভয়নগরে ভূয়া পশু ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ক্ষতিগ্রস্থ কয়েকটি পরিবার

প্রকাশিত সময় : ০৫:১০:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

###    যশোরের অভয়নগর উপজেলায় এক ভূয়া পশু ডাক্তার পরিচয়দানকারীর সন্ধান মিলেছে। তিনি উপজেলার ৮নং সিদ্দিপাশা ইউনিয়নের আমতলার বাসিন্দা হায়দার গাজীর ছেলে মোঃ হাফিজুর গাজী। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, কথিত এ পশু চিকিৎসকের বৈধ কোন কাগজ না থাকলেও এলাকার সবাইকে তিনি গরু বা পশু চিকিৎসক নামে পরিচয় দেন। তার ভূয়া পরিচয়ের ও ভূল চিকৎসার কারণে এলাকার অনেক মানুষের গরু ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। তেমনি এক ভুক্তভোগী সিদ্দিপাশা গ্রামের মৃত- রইজ ফারাজীর ছেলে মোঃ খবির জানান, আনুমানিক এক সপ্তাহ আগে আমার দু’টি ছাগলের বাচ্চা হয়। ছাগল দু’টি একটু অসুস্থ মনে হলে আমি ডাঃ হাফিজুর কাছ থেকে চিকিৎসা নেই।তার ভূল চিকিৎসায় ছাগলের দুধের স্থন ফেটে ঘা হয়েছে। তার কারনে আমার ছাগল ও ছাগলের বাচ্ছা দুটি মৃত্যুর পথে।এ চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায়  ৯ হাজার টাকা ব্যায় করেও সমস্যার সমাধান পাচ্ছি না। আমি এই ভূয়া পুশু ডাক্তারের শাস্তি চাই। অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, পশু চিকিৎসক এর শরনাপন্ন হওয়ায় অনেকেই তাদের গোয়ালের গরু ছাগল হারিয়েছে। এমন ভুক্তভোগীরা হলেন, সিদ্দিপাশা গ্রামের কবির শেখ এর ছেলে রবিউল শেখ, তোরাব মোল্লার ছেলে আকুব্বর মোল্লা, বাবু খার ছেলে রিজাউল খা, কালু সরদারের ছেলে মহির সরদার, ছাব্দুল মোল্লার ছেলে ফারুক মোল্লাসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঐ ভূয়া পশু চিকিৎসকের কারণে আমাদের এলাকার পশুগুলো চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছে। তারা আরোও বলেন, তিনি পশু ডাক্তার না হয়েও কেন পশুর চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রানী হত্যা করছে তার বিচার চাই। অভিযোগের বিষয়ে পশু চিকিৎসক মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, আমি কোন পশু ডাক্তার না, আমি পশুর প্রাথমিক চিকিৎসা করে থাকি। তার কাছে চিকিৎসা করার অনুমতি সনদ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কোন অনুমতিপত্র নেই। শুধু যুব উন্নয়নের একটি সার্টিফিকেট আছে। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা পশু কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিক বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব, রেজিষ্টারভুক্ত ডাক্তার না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।##