০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভারতীয় হাই কমিশনের উদ্যোগে কর্তৃক আইটেক দিবস উদযাপন :

আইটেকের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতার শিক্ষা নিয়ে ভারতও লাভবান হচ্ছে : প্রনয় র্ভামা

  • ঢাকা অফিস।।
  • প্রকাশিত সময় : ০২:১২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
  • ৮৪ পড়েছেন

####

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (আইটেক) দিবসেউদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মার আয়োজনে ও আইটেক অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(আইএএবি)-এর সহযোগীতায় আইটেক দিবস উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ ছাড়াও ১৮০জন আইটেক অ্যালামনাই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের আইটেক অ্যালামনাইগনের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় করেছে।এর মাধ্যমে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশও বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের আরও বেশী সংখ্যক আইটি স্পেশালিষ্টকে সুযোগ দেয়ার দাবী জানান।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগীসমূহের একটি হিসেবে আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। সুবর্ণ জয়ন্তী স্কলারশিপের অধীনে প্রতি বছর আইটেক-এ বাংলাদেশের জন্য নিবেদিত ৫০০টি স্লট রয়েছে। এবং সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি এন্টারপ্রাইজসমূহের জন্য বেশ কিছু চাহিদাভিত্তিক কর্মসূচি আছে যা বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, ভারত সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম আইটেক ভারতের উন্নয়ন সহায়ক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সুবিধা প্রদান করছে। প্রতি বছর, কৃষি, হিসাব নিরীক্ষা, সুশাসন অনুশীলন, ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, গ্রামীণ উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, সংসদীয় বিষয়, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, আইটি, ডেটা অ্যানালিটিক্স, রিমোট সেন্সিং, নবায়নযোগ্য শক্তি ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রথম সারির ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য আইটেক অংশীদার দেশসমূহকে ১০,০০০-এরও বেশি প্রশিক্ষণ স্লট দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৫হাজারেরও বেশি তরুণ বাংলাদেশি প্রফেশনালগণ আইটেক কর্মসূচিসমূহের অধীনে ভারতে এই ধরনের কোর্স করেছেন।

হাইকমিশনার ভার্মা বলেন, আইটেক সহযোগিতার অধীনে বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম মূল্যবান অংশীদার।২০২০-২১ সালে কোভিড অতিমারি পরবর্তী সময়ে বিশেষ ই-আইটেক-এর অধীনে ভার্চুয়ালভাবে বেশ কিছু কোর্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আইটেক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যক্তিবর্গের সামনে সেরা ভারতীয় অনুশীলনসমূহ তুলে সুযোগ প্রদান করে। ফল স্বরূপ বিশেষত কৃষি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন খাতে অসাধারণ অগ্রগতি সাধনকারী বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত সমানভাবে লাভবান হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কয়েকজন বিশিষ্ট আইটেক অ্যালামনাই তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। শেষে  সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার আটক

ভারতীয় হাই কমিশনের উদ্যোগে কর্তৃক আইটেক দিবস উদযাপন :

আইটেকের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতার শিক্ষা নিয়ে ভারতও লাভবান হচ্ছে : প্রনয় র্ভামা

প্রকাশিত সময় : ০২:১২:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

####

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (আইটেক) দিবসেউদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মার আয়োজনে ও আইটেক অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(আইএএবি)-এর সহযোগীতায় আইটেক দিবস উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক এমপি। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ ছাড়াও ১৮০জন আইটেক অ্যালামনাই এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশের আইটেক অ্যালামনাইগনের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় করেছে।এর মাধ্যমে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশও বিশেষভাবে উপকৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের আরও বেশী সংখ্যক আইটি স্পেশালিষ্টকে সুযোগ দেয়ার দাবী জানান।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতের ঘনিষ্ঠ উন্নয়ন সহযোগীসমূহের একটি হিসেবে আইটেক কর্মসূচিতে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। সুবর্ণ জয়ন্তী স্কলারশিপের অধীনে প্রতি বছর আইটেক-এ বাংলাদেশের জন্য নিবেদিত ৫০০টি স্লট রয়েছে। এবং সরকারি কর্মচারী ও বেসরকারি এন্টারপ্রাইজসমূহের জন্য বেশ কিছু চাহিদাভিত্তিক কর্মসূচি আছে যা বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, ভারত সরকারের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম আইটেক ভারতের উন্নয়ন সহায়ক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সুবিধা প্রদান করছে। প্রতি বছর, কৃষি, হিসাব নিরীক্ষা, সুশাসন অনুশীলন, ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, গ্রামীণ উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য, সংসদীয় বিষয়, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা, আইটি, ডেটা অ্যানালিটিক্স, রিমোট সেন্সিং, নবায়নযোগ্য শক্তি ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রথম সারির ভারতীয় প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য আইটেক অংশীদার দেশসমূহকে ১০,০০০-এরও বেশি প্রশিক্ষণ স্লট দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত ৫হাজারেরও বেশি তরুণ বাংলাদেশি প্রফেশনালগণ আইটেক কর্মসূচিসমূহের অধীনে ভারতে এই ধরনের কোর্স করেছেন।

হাইকমিশনার ভার্মা বলেন, আইটেক সহযোগিতার অধীনে বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম মূল্যবান অংশীদার।২০২০-২১ সালে কোভিড অতিমারি পরবর্তী সময়ে বিশেষ ই-আইটেক-এর অধীনে ভার্চুয়ালভাবে বেশ কিছু কোর্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আইটেক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যক্তিবর্গের সামনে সেরা ভারতীয় অনুশীলনসমূহ তুলে সুযোগ প্রদান করে। ফল স্বরূপ বিশেষত কৃষি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন খাতে অসাধারণ অগ্রগতি সাধনকারী বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারত সমানভাবে লাভবান হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কয়েকজন বিশিষ্ট আইটেক অ্যালামনাই তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। শেষে  সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়। ##