০৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় শতভাগ ডিজিটাল করা হবে: ভূমি সচিব

###   ‘ভূমিসেবা ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়নে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক কর্মশালা সোমবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনাকে প্রায় শতভাগ ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। ২০১৯সালের ১জুলাই থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়। এর সুফল দেশের প্রান্তিক মানুষ পেতে শুরু করেছে। আমরা অনিয়ম-দূর্নীতি ও জনগনের হয়রানি রোধে আর ম্যানুয়ালী ভুমি উন্নয়ন কর বা খাজনা নিতে চায় না। সব প্রস্তুতি শেষ করে আগামী ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের পদ্ধতি শতভাগ অনলাইনভিত্তিক করা হবে। তখন অফিস থেকে নগদ টাকা প্রদানের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করা ও দাখিলা পাওয়া যাবে না। সেবা গ্রহীতাদের সরাসরি অফিসে যেতে হবে না। এতে দুর্নীতি ও হয়রানির সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ হবে। ভূমির ই-নামজারিতে ২৮দিনে নিষ্পত্তির কথা বরা হলেও এখনও সেটা সম্ভব হয়নি। এখনও খুলনা বিভাগের ভূমির ই-নামজারিতে গড়ে সাতক্ষীরায় ৪৬দিন, যশোরে ৪৯দিন, মাগুরায় ৫৯দিন ও খুলনায় ৪৫দিন সময় লাগছে। যা অনেকটাই হতাশাজনক। তবে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই খুলনা বিভাগে ভূমির ই-নামজারিতে গড় নিষ্পত্তির সময় এখন ৪৫ দিনের মতো। এই সময়কে আরো কমিয়ে আনতে হবে। নামজারির কোন আবেদন বাতিল করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবশ্যই বাতিলের কারণ উল্লেখ করতে হবে। ই-পর্চা ডাকযোগে আবেদনকারীর ঠিকানায় পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে খুলনা জেলা প্রায় শতভাগ সফল উল্লেখ করে সচিব অন্য জেলাগুলোকে খুলনার মতো পদ্ধতি অনুসরণের আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, ই-মিউটেশনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল সেবা অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য মোবইল অ্যাপস ‘বার্তা’ শীঘ্রই চালু হবে। সচিব কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সেবা গ্রহীতাদের জন্য হৃদয়ে মমত্ববোধ থাকতে হবে। দাপ্তরিক কাজকে নিজের কাজ মনে করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান এবং ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য শশাঙ্ক শেখর ভৌমিক। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচক ছিলেন ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের পরিচালক মোজাফ্ফর আহমেদ এবং খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার। ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এই কর্মশালার আয়োজন করে।কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি)গণ অংশ গ্রহন করেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

বাগেরহাটে এ্যাডভোকেট নয়নের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন

আগামী ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় শতভাগ ডিজিটাল করা হবে: ভূমি সচিব

প্রকাশিত সময় : ০৬:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অক্টোবর ২০২২

###   ‘ভূমিসেবা ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়নে গৃহীত পদক্ষেপসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক কর্মশালা সোমবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনাকে প্রায় শতভাগ ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। ২০১৯সালের ১জুলাই থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কাজ শুরু করা হয়। এর সুফল দেশের প্রান্তিক মানুষ পেতে শুরু করেছে। আমরা অনিয়ম-দূর্নীতি ও জনগনের হয়রানি রোধে আর ম্যানুয়ালী ভুমি উন্নয়ন কর বা খাজনা নিতে চায় না। সব প্রস্তুতি শেষ করে আগামী ১লা ফেব্রুয়ারী থেকে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের পদ্ধতি শতভাগ অনলাইনভিত্তিক করা হবে। তখন অফিস থেকে নগদ টাকা প্রদানের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করা ও দাখিলা পাওয়া যাবে না। সেবা গ্রহীতাদের সরাসরি অফিসে যেতে হবে না। এতে দুর্নীতি ও হয়রানির সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ হবে। ভূমির ই-নামজারিতে ২৮দিনে নিষ্পত্তির কথা বরা হলেও এখনও সেটা সম্ভব হয়নি। এখনও খুলনা বিভাগের ভূমির ই-নামজারিতে গড়ে সাতক্ষীরায় ৪৬দিন, যশোরে ৪৯দিন, মাগুরায় ৫৯দিন ও খুলনায় ৪৫দিন সময় লাগছে। যা অনেকটাই হতাশাজনক। তবে সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই খুলনা বিভাগে ভূমির ই-নামজারিতে গড় নিষ্পত্তির সময় এখন ৪৫ দিনের মতো। এই সময়কে আরো কমিয়ে আনতে হবে। নামজারির কোন আবেদন বাতিল করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অবশ্যই বাতিলের কারণ উল্লেখ করতে হবে। ই-পর্চা ডাকযোগে আবেদনকারীর ঠিকানায় পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে খুলনা জেলা প্রায় শতভাগ সফল উল্লেখ করে সচিব অন্য জেলাগুলোকে খুলনার মতো পদ্ধতি অনুসরণের আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া, জলমহাল ব্যবস্থাপনা, ই-মিউটেশনসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সকল সেবা অটোমেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য মোবইল অ্যাপস ‘বার্তা’ শীঘ্রই চালু হবে। সচিব কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সেবা গ্রহীতাদের জন্য হৃদয়ে মমত্ববোধ থাকতে হবে। দাপ্তরিক কাজকে নিজের কাজ মনে করলে সব সমস্যার সমাধান হবে। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান এবং ভূমি সংস্কার বোর্ডের সদস্য শশাঙ্ক শেখর ভৌমিক। খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচক ছিলেন ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের পরিচালক মোজাফ্ফর আহমেদ এবং খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার। ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এই কর্মশালার আয়োজন করে।কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার(ভূমি)গণ অংশ গ্রহন করেন। ##