০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় র‌্যালি ও সমাবেশ :

আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না, নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না : গয়েশ্বর রায়

####

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যতোটুকু সময় প্রয়োজন এবং সেজন্য যেসব সংস্কার পদক্ষেপ নিতে হবে। সে পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিএনপি সমর্থন দেবে। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের জন্য বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করেছে। তাকে ১৬দিনের হিসেবে বিচার করলে চলবে না। সরকারের পতন হয়েছে কিন্তু দেশের মানুষ এখনো গণতন্ত্র ফেরত পাই নাই। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজের হাতে না দেয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। এতোদিন শেখ হাসিনার ফ্যাসিষ্ট দোসরদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছি। এখন অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করতে বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রস্তুত। তিনি বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা-বার্তা না বলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না। উস্কানীমূলক মন্তব্য করলে দলের নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না। বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত র‌্যালি ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার না করার কঠোর সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, আপনাদের নামের মামলাগুলো তো প্রত্যাহার করে নিলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধের মামলাগুলো কেনো এতোদিনে প্রত্যাহার করে নিলেন না। গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে কি আমরা রক্ত দেইনি? আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। বৈষম্যহীন সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষ্যমের সৃষ্টি করবেন না। আইন উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

সমাবেশে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জনপ্রশাসন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার সূক্ষ্মভাবে আওয়ামী দোসরদের দিয়ে প্রশাসন সাজাচ্ছেন। শেখ হাসিনার স্বৈরচারী দোসরদের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলকে ধুলিসাৎ করে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করে গণহত্যাকারীদের ফিরে আসার পথ সুগম করছেন। এর ফল ভালো হবে না।

খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।

নগরীর শিববাড়ী মোড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শিববাড়ী মোড় থেকে লোয়ার যশোর রোড হয়ে পাওয়ার হাউজ মোড়, ফেরীঘাট মোড়, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দান, খুলনা জিলা স্কুলের সামনে ঘুরে কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে যেয়ে শেষ হয়।

এরআগে বিভাগের ১০ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিট থেকে আসা বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী-সমর্থকদের মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে খুলনা মহানগরী। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় র‌্যালি ও সমাবেশ :

আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না, নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না : গয়েশ্বর রায়

প্রকাশিত সময় : ১২:৩৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য যতোটুকু সময় প্রয়োজন এবং সেজন্য যেসব সংস্কার পদক্ষেপ নিতে হবে। সে পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বিএনপি সমর্থন দেবে। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের জন্য বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ১৬ বছর ধরে আন্দোলন করেছে। তাকে ১৬দিনের হিসেবে বিচার করলে চলবে না। সরকারের পতন হয়েছে কিন্তু দেশের মানুষ এখনো গণতন্ত্র ফেরত পাই নাই। ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোট নিজের হাতে না দেয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। এতোদিন শেখ হাসিনার ফ্যাসিষ্ট দোসরদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছি। এখন অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলা করতে বিএনপি নেতাকর্মী-সমর্থকরা প্রস্তুত। তিনি বিএনপি ও তারেক রহমান সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা-বার্তা না বলার হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমাদেরকে বিরোধী দলে ঠেলে দেবেন না। উস্কানীমূলক মন্তব্য করলে দলের নেতাকর্মীরা চুপ করে বসে থাকবে না। বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত র‌্যালি ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার না করার কঠোর সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, আপনাদের নামের মামলাগুলো তো প্রত্যাহার করে নিলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধের মামলাগুলো কেনো এতোদিনে প্রত্যাহার করে নিলেন না। গত ১৬ বছরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতন আন্দোলনে কি আমরা রক্ত দেইনি? আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। বৈষম্যহীন সংস্কারের নামে নতুন করে বৈষ্যমের সৃষ্টি করবেন না। আইন উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক মামলাগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।

সমাবেশে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জনপ্রশাসন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার সূক্ষ্মভাবে আওয়ামী দোসরদের দিয়ে প্রশাসন সাজাচ্ছেন। শেখ হাসিনার স্বৈরচারী দোসরদের জেলা প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলকে ধুলিসাৎ করে নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করে গণহত্যাকারীদের ফিরে আসার পথ সুগম করছেন। এর ফল ভালো হবে না।

খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. এসএম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবীব, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমুখ।

নগরীর শিববাড়ী মোড়ে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শিববাড়ী মোড় থেকে লোয়ার যশোর রোড হয়ে পাওয়ার হাউজ মোড়, ফেরীঘাট মোড়, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস মোড় হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দান, খুলনা জিলা স্কুলের সামনে ঘুরে কে.ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে যেয়ে শেষ হয়।

এরআগে বিভাগের ১০ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিট থেকে আসা বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী-সমর্থকদের মিছিলে মিছিলে মুখরিত হয়ে উঠে খুলনা মহানগরী। ##