০১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদের প্রধান জামাত সার্কিট হাউজ মাঠে সকাল আটটায়

###   খুলনায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহার যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে  সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদ-উল-আযহার প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে।এ জামাতে ইমামতি করবেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল আটটায় টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে সাতটায় খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে সকাল সাড়ে সাতটায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে সকাল ৭টায় এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ৩১টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সকালে খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পুলক কুমার মন্ডলসহ কর্মকর্তারা খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এ সময় সিটি মেয়র বলেন, ঈদ-উল-আযহার প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল আটটায় সার্কিট হাউজ ময়দানে হবে। আমাদের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে সকাল আটটায় টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।এ সময় সিটি মেয়রের সাথে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে বরা হয়েছে, ঈদের দিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি,বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনে যথাযথভাবে সঠিক রঙ ও মাপের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউস ময়দান জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক (বাংলা ও আরবী) খচিত ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে এ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদ-উল-আযহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালানো যাবে না।

ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় যত্রতত্র গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙালে রাস্তা সংকুচিত হয়ে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে এবং শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এজন্য গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার না টাঙানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।এছাড়া ঈদের সময় অজ্ঞান ও মলম পার্টি, ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের তৎপরতা বন্ধে টার্মিনাল সংযোগ সড়ক, রেলস্টেশন, বাস ও নৌযান টার্মিনালসমূহে সাদা পোষকধারী পুলিশ মোতায়েন এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়া জাল টাকার বিস্তাররোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে বাস-মিনিবাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা এবং বাসের ছাদে বা হাতল ঝুলে কোন যাত্রী বহন না করতে প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে দৌলতপুর খেয়াঘাট, জেলাখানা ঘাট ও রূপসা ঘাটসহ সকল লঞ্চ, খেয়া ও ফেরি ঘাটে অতিরিক্ত টোল/ভাড়া আদায় করা যাবে না এবং লঞ্চ,নৌকা ও ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। সকল ঘাটে ভিজিলেন্স টিম ও ভ্রাম্যমাণ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঈদুল আজহার পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা ও চাদাবাজি এবং জাল টাকা প্রতিরোধে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি ও মনিটোরিং করা হচ্ছে। মানুষ তাদের পচ্ছন্দমত কোরবানীল পশু যেন কেনাবেচা করতে পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া ভালোভাবে ছাড়ানো, রক্ষণাবেক্ষণ এবং কোরবানির পর পশুর রক্ত দ্রুত ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধুয়ে ফেলাসহ দ্রুততম সময়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পশুর চামড়া নির্ধারিত দামে ক্রয় করা এবং এতিমখানা মাদ্রাসাসহ অন্যান্যরা যাতে চামড়ার ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি রাখা হচ্ছে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

ঈদের প্রধান জামাত সার্কিট হাউজ মাঠে সকাল আটটায়

প্রকাশিত সময় : ১১:৪০:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

###   খুলনায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহার যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে  সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদ-উল-আযহার প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল আটটায় খুলনা সার্কিট হাউজ ময়দানে।এ জামাতে ইমামতি করবেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ। আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে সকাল আটটায় টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং তৃতীয় জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে সাতটায় খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা মডেল মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে সকাল সাড়ে সাতটায়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে সকাল ৭টায় এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও ৩১টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পৃথক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সকালে খুলনা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পুলক কুমার মন্ডলসহ কর্মকর্তারা খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠ পরিদর্শন করেছেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।এ সময় সিটি মেয়র বলেন, ঈদ-উল-আযহার প্রথম ও প্রধান জামাত সকাল আটটায় সার্কিট হাউজ ময়দানে হবে। আমাদের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। তবে যদি বৃষ্টি হয় তাহলে সকাল আটটায় টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রথম ও প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।এ সময় সিটি মেয়রের সাথে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে বরা হয়েছে, ঈদের দিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি,বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনে যথাযথভাবে সঠিক রঙ ও মাপের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা এবং সূর্যাস্তের পূর্বে নামানো হবে। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কসমূহ ও গুরুত্বপূর্ণ চত্বর, সড়কদ্বীপ ও সার্কিট হাউস ময়দান জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারক (বাংলা ও আরবী) খচিত ব্যানার দিয়ে সজ্জিত করা হবে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে এ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে। ঈদে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদ-উল-আযহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালানো যাবে না।

ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় যত্রতত্র গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙালে রাস্তা সংকুচিত হয়ে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে এবং শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। এজন্য গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার না টাঙানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।এছাড়া ঈদের সময় অজ্ঞান ও মলম পার্টি, ছিনতাইকারী ও পকেটমারদের তৎপরতা বন্ধে টার্মিনাল সংযোগ সড়ক, রেলস্টেশন, বাস ও নৌযান টার্মিনালসমূহে সাদা পোষকধারী পুলিশ মোতায়েন এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। এছাড়া জাল টাকার বিস্তাররোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ঈদ উপলক্ষ্যে বাস-মিনিবাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা এবং বাসের ছাদে বা হাতল ঝুলে কোন যাত্রী বহন না করতে প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে দৌলতপুর খেয়াঘাট, জেলাখানা ঘাট ও রূপসা ঘাটসহ সকল লঞ্চ, খেয়া ও ফেরি ঘাটে অতিরিক্ত টোল/ভাড়া আদায় করা যাবে না এবং লঞ্চ,নৌকা ও ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না। সকল ঘাটে ভিজিলেন্স টিম ও ভ্রাম্যমাণ মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করবে। উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, ঈদুল আজহার পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা ও চাদাবাজি এবং জাল টাকা প্রতিরোধে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নজরদারি ও মনিটোরিং করা হচ্ছে। মানুষ তাদের পচ্ছন্দমত কোরবানীল পশু যেন কেনাবেচা করতে পারে তার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া ভালোভাবে ছাড়ানো, রক্ষণাবেক্ষণ এবং কোরবানির পর পশুর রক্ত দ্রুত ব্লিচিং পাউডার দিয়ে ধুয়ে ফেলাসহ দ্রুততম সময়ে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পশুর চামড়া নির্ধারিত দামে ক্রয় করা এবং এতিমখানা মাদ্রাসাসহ অন্যান্যরা যাতে চামড়ার ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি রাখা হচ্ছে। ##