০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপকুলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে ক্লাইমেট দুর্গত অঞ্চল ঘোষণাসহ ১৪দফা বাস্তবায়নের দাবি

####

সিডর, আইলা ও রিমেলের মত প্রলয়ংকারী র্ঘূনিঝড়ে বিধ্বস্থ খুলনাসহ উপকুলীয় এলাকায় ন্যাপ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে ক্লাইমেট দুর্গত অঞ্চল ঘোষণাসহ ১৪ দফা দাবি উপস্থাপন করে বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংসগঠন গ্রীণ প্ল্যানেট বাংলাদেশ।র্ঘূনিঝড় বিধ্বস্থ উপকুলীয় এসব এলাকার র্পূণগঠন ও র্পূনবাসনের জন্য দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে মারাত্নক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশংকা স্থানীয় পরিবেশবাদীদের।  বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এসব দাবি উপস্থাপন করেন গ্রীন প্ল্যানেট-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তালুকদার। দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে- দেশের উপকুলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে ক্লাইমেট দুর্গত অঞ্চল ঘোষণা করতে হবে। দুর্গত মানুষ ও জনপদের র্পূনগঠন ও পুনর্বাসনের জন্য স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। স্থানীয় সরকার কাঠামোর প্রতি স্তরে জলবায়ু সংক্রান্ত পদ সৃষ্টি করা, উপকুলীয় এলাকায় ন্যাপ (NAP) বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক ফান্ড সংগ্রহ করতে কপ ঘোষিত লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড, গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফান্ড পেতে আন্তর্জাতিক গাইডলাইন মেনে প্রকল্প গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট বিশেষজ্ঞ প্যানেল ও দেশীয় বিশেষজ্ঞগনের কোলাবেরেশন অপরিহার্য। উপকূলের সব হারানো মানুষের জলবায়ুর ক্ষতিপূরণ পেতে আইনী সহায়তা দিতে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে ক্ষতিপূরণ মামলা করতে হবে। খুলনাতে ক্লাইমেট ডাটা সেন্টার ও গবেষণা কেন্দ্র করতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রতিটি শহরকে গ্রীন সিটি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করা। জলাশয় ভরাট ও বৃক্ষনিধন নিরুৎসাহিত করা। গ্রীন এনার্জি বাবহারে উৎসাহিত করতে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।

গ্রীণ প্ল্যানেট বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আশরাফুল ইসলাম নূরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, শহিদুল ইসলাম, লিটন তালুকদার, বশির আহমেদ, রাফাতুল ইসলাম প্রমুখ।

মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সিডর, আইলা কিংবা রিমাল’র ফলে উপকূলীয় জনপদ আজ বিপর্যস্ত।বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম ও জীববৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন। রিমালের আঘাতে ৩৯টি হরিনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা আজ হুমকির সম্মুক্ষীন। এবার উচ্চ তাপমাত্রার ফলে খুলনা সিটি স্তব্ধ হয়ে যায়, যা অতীতে দেখা যায়নি। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৪২ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ‘হিট স্ট্রেসে’ মানুষের মৃত্যুর হয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রা গাছপালা ও শষ্য ক্ষেত সহ্য করতে পারছে না। ফলে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। সাগরের লবণ পানির প্লাবন কৃষি জমিতে প্রবেশ করে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। কৃষি জমি হ্রাস পাওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে। সুপেয় পানির অভাবে উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষ লবণ মিস্তৃত পানি পান করছেন। বিপন্ন মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে এখনি সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠিকে উপকূল সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকবেলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে স্থানীয় জ্ঞান ও বিজ্ঞান  এ দুইয়ের সমন্বয় করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে উদ্যোগ নিতে হবে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার আটক

উপকুলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে ক্লাইমেট দুর্গত অঞ্চল ঘোষণাসহ ১৪দফা বাস্তবায়নের দাবি

প্রকাশিত সময় : ১০:৫৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

####

সিডর, আইলা ও রিমেলের মত প্রলয়ংকারী র্ঘূনিঝড়ে বিধ্বস্থ খুলনাসহ উপকুলীয় এলাকায় ন্যাপ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে ক্লাইমেট দুর্গত অঞ্চল ঘোষণাসহ ১৪ দফা দাবি উপস্থাপন করে বাস্তবায়নের দাবী জানিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংসগঠন গ্রীণ প্ল্যানেট বাংলাদেশ।র্ঘূনিঝড় বিধ্বস্থ উপকুলীয় এসব এলাকার র্পূণগঠন ও র্পূনবাসনের জন্য দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে মারাত্নক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশংকা স্থানীয় পরিবেশবাদীদের।  বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে এসব দাবি উপস্থাপন করেন গ্রীন প্ল্যানেট-বাংলাদেশের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তালুকদার। দাবীগুলোর মধ্যে রয়েছে- দেশের উপকুলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে ক্লাইমেট দুর্গত অঞ্চল ঘোষণা করতে হবে। দুর্গত মানুষ ও জনপদের র্পূনগঠন ও পুনর্বাসনের জন্য স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। স্থানীয় সরকার কাঠামোর প্রতি স্তরে জলবায়ু সংক্রান্ত পদ সৃষ্টি করা, উপকুলীয় এলাকায় ন্যাপ (NAP) বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক ফান্ড সংগ্রহ করতে কপ ঘোষিত লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ড, গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফান্ড পেতে আন্তর্জাতিক গাইডলাইন মেনে প্রকল্প গ্রহণ করা। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট বিশেষজ্ঞ প্যানেল ও দেশীয় বিশেষজ্ঞগনের কোলাবেরেশন অপরিহার্য। উপকূলের সব হারানো মানুষের জলবায়ুর ক্ষতিপূরণ পেতে আইনী সহায়তা দিতে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে ক্ষতিপূরণ মামলা করতে হবে। খুলনাতে ক্লাইমেট ডাটা সেন্টার ও গবেষণা কেন্দ্র করতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রতিটি শহরকে গ্রীন সিটি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করা। জলাশয় ভরাট ও বৃক্ষনিধন নিরুৎসাহিত করা। গ্রীন এনার্জি বাবহারে উৎসাহিত করতে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।

গ্রীণ প্ল্যানেট বাংলাদেশের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আশরাফুল ইসলাম নূরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, শহিদুল ইসলাম, লিটন তালুকদার, বশির আহমেদ, রাফাতুল ইসলাম প্রমুখ।

মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সিডর, আইলা কিংবা রিমাল’র ফলে উপকূলীয় জনপদ আজ বিপর্যস্ত।বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম ও জীববৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন। রিমালের আঘাতে ৩৯টি হরিনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে । দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা আজ হুমকির সম্মুক্ষীন। এবার উচ্চ তাপমাত্রার ফলে খুলনা সিটি স্তব্ধ হয়ে যায়, যা অতীতে দেখা যায়নি। গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৪২ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ‘হিট স্ট্রেসে’ মানুষের মৃত্যুর হয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রা গাছপালা ও শষ্য ক্ষেত সহ্য করতে পারছে না। ফলে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। সাগরের লবণ পানির প্লাবন কৃষি জমিতে প্রবেশ করে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। কৃষি জমি হ্রাস পাওয়ায় খাদ্য নিরাপত্তা আজ হুমকির মুখে। সুপেয় পানির অভাবে উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষ লবণ মিস্তৃত পানি পান করছেন। বিপন্ন মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে এখনি সরকারি-বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক গোষ্ঠিকে উপকূল সুরক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। উপকূলীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকবেলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে স্থানীয় জ্ঞান ও বিজ্ঞান  এ দুইয়ের সমন্বয় করে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে উদ্যোগ নিতে হবে। ##