০৭:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত

  • মধুমতি ডেক্স :
  • প্রকাশিত সময় : ১০:১০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৪ পড়েছেন

####

ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির আলোচনার মধ্যে “গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি”র সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির অফিসিয়াল পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। গত বছরের ৪ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করেছিল “গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি”। এ সংগঠনটি থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়।  এই ছাত্র সংগঠনটি মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের ওঠে আসা। নাহিদ ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক।

“গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি”র নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। তিনি সদ্যগঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। “গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি”র মোট ৩১ জনের কমিটি ছিল। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক এবং সহ-সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে সংগঠনটির আহ্বায়ক আখতার হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব স্তরের নেতাকর্মীরা এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং এর সঙ্গে একীভূত হয়ে যান। এ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি স্বনামে সক্রিয় ছিল না এবং আমাদের ফেসবুক পেজেও আমরা কোনো ধরনের প্রেসরিলিজ দেইনি। আমাদের দুজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সরকারের উপদেষ্টা হন এবং ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্ররাজনীতির প্যাটার্ন কী হবে— তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, গণতন্ত্রিক ছাত্রশক্তির কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে এবং কার্যক্রমও স্থগিত করা হবে। এরইমধ্যে আমি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।” তিনি বলেন, “মূলত আগামীতে ছাত্ররাজনীতির প্যাটার্ন কী হবে, তার ওপরেই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কার্যক্রম নির্ভর করছে এবং তখন যারা দায়িত্ব পালন করতে চাইবেন, তারাই এই সিদ্ধান্ত নেবে।”

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন চলছে। শুক্রবারও তারা ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আট দফা বা ৯ দফার অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, কিন্তু সেই কথাই অনেকেই এখন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। সমন্বয়কদের অনেকেই এখন ছাত্র রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।  ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে “গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি”র সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা এলো।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত

প্রকাশিত সময় : ১০:১০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির আলোচনার মধ্যে “গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি”র সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির অফিসিয়াল পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। গত বছরের ৪ অক্টোবর আত্মপ্রকাশ করেছিল “গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি”। এ সংগঠনটি থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া হয়।  এই ছাত্র সংগঠনটি মূলত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদের ওঠে আসা। নাহিদ ছিলেন কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও আসিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক।

“গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি”র নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। তিনি সদ্যগঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। “গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি”র মোট ৩১ জনের কমিটি ছিল। তাদের সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমন্বয়ক এবং সহ-সমন্বয়কের ভূমিকায় ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে সংগঠনটির আহ্বায়ক আখতার হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির সব স্তরের নেতাকর্মীরা এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং এর সঙ্গে একীভূত হয়ে যান। এ আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি স্বনামে সক্রিয় ছিল না এবং আমাদের ফেসবুক পেজেও আমরা কোনো ধরনের প্রেসরিলিজ দেইনি। আমাদের দুজন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল সরকারের উপদেষ্টা হন এবং ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্ররাজনীতির প্যাটার্ন কী হবে— তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে, গণতন্ত্রিক ছাত্রশক্তির কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে এবং কার্যক্রমও স্থগিত করা হবে। এরইমধ্যে আমি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।” তিনি বলেন, “মূলত আগামীতে ছাত্ররাজনীতির প্যাটার্ন কী হবে, তার ওপরেই গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির কার্যক্রম নির্ভর করছে এবং তখন যারা দায়িত্ব পালন করতে চাইবেন, তারাই এই সিদ্ধান্ত নেবে।”

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন চলছে। শুক্রবারও তারা ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আট দফা বা ৯ দফার অন্যতম একটি দফা ছিল ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, কিন্তু সেই কথাই অনেকেই এখন ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলার চেষ্টা করছেন। সমন্বয়কদের অনেকেই এখন ছাত্র রাজনীতির পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।  ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে “গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি”র সব কমিটি ও কার্যক্রম স্থগিতের ঘোষণা এলো।