১২:৫৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় জমজমাট-ধানের চারার হাট

####

কচুয়ার বাধালে ধানের চারার (পাতো) হাট জমে উঠেছে। প্রতি রবি ও বৃহ¯পতিবার কাক ডাকা ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রতার হাকডাকে মুখরিত হয়ে থাকে এ ধানের চারার হাট। বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এ হাটে দুর দরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা ও ব্যবসায়ীরা ধানের চারা ক্রয়-বিক্রয় করতে আসে। প্রতি বছর পৌষমাসের শুরু থেকে মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এ হাটে ধানের চারা ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। শতাধীক ব্যবসায়ী ধানের চারার ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছে। প্রতি বছর তার কৃষকদের বীজতলা থেকে ধানের চারা ক্রয় করে এ হাটে এনে বিক্রয় করে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২১ টি ব¬কে হাইব্রীড জাতের ৬ হাজার ৮শ হেক্টর এবং উফশী জাতের ১ হাজার ৯শ হেক্টর জমি বোরো ধান চাষের আওতায় আনার লক্ষ্য মাত্রা আছে। এ মৌসুমে প্রায় ৪ শত ৯০ হেক্টর জমিতে বীজপাতা তৈরী করা হয়েছে।

বাঁধালের ধানের চারার হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পোন ধানের চারা (৮০মুটি) প্রকার ভেদে ২৯০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রয় হচ্ছে। ১কেজি বীজ ধানে ১২০ থেকে ১৩০ মুটি ধানের চারা উৎপাদিত হয় যার বর্তমান বাজার মূল্য ৬/৭শত টাকা। কচুয়া, মোড়েলগঞ্জ,বাধল, রঘুদত্তকাঠী, মসনী, গোপালপুর, বলভদ্রপুর, বিষখালী, রামচন্দ্রপুর, কচুবুনিয়া সহ পাশবর্তী জেলার কৃষকও এ হাটে এসে ধানের চারা ক্রয় করছে। চলতি মৌসুমে ধানের চারার দাম কম থাকায় চাহিদা বেড়ে গেছে। অনেক কৃষক তাদের জমি রোপনের পর অতিরিক্ত ধানের চারা হাটে এনে বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছে। ক্রেতারা ভালো মানের ধানের চারা ক্রয় করতে পারছে। ধানের চারার ব্যবষায়ী নাদের শেখ বলেন, ব্যবসার উদ্দেশ্যে ১০ হাজার টাকার বীজ ধান ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন করেছেন। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৫/১৬ হাজার টাকা। বীজতলা থেকে চারা তুলে বাজারে আনা পর্যন্ত খরচ হয় প্রতি পোন ৪শত থেকে ৫শত টাকা। এবছর ধানের চারার দাম কম থাকায় লাভ হবে না। তার পরেও চাহিদা আছে। কৃষক কালাম শেখ বলেন, চলতি মৌসুমে ধানের চারার চাহিদা কম সেই জন্য দামও কিছুটা কম। ৩ পোন ধানের চারা (পাতো) ক্রয় করার জন্য হাটে আসছি। এক পোন ধানের চারা থেকে ৩/৪ কাঠা জমি রোপন করা যায়।

কচুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ, সার বিতরণসহ কৃষকদের প্রশিক্ষনের ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে থাকি। এখন বরো মৌসুম আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে বীজতলা পরিদর্শন করে থাকে। অনেক কৃষক বাজার থেকে বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন তাদের জমিতে লাগিয়ে উদ্বৃত্ত চারা বাধাল বাজারে বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছে। অনেক কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে তার বাজার থেকে এই চারা ক্রয় করে সঠিক সময় তাদের জমিতে রোপন করতে পারছে।  এতে কৃষকরাই লাভবান হচ্ছেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

কচুয়ায় জমজমাট-ধানের চারার হাট

প্রকাশিত সময় : ০১:২৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

####

কচুয়ার বাধালে ধানের চারার (পাতো) হাট জমে উঠেছে। প্রতি রবি ও বৃহ¯পতিবার কাক ডাকা ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ক্রেতা বিক্রতার হাকডাকে মুখরিত হয়ে থাকে এ ধানের চারার হাট। বাগেরহাট-পিরোজপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত এ হাটে দুর দরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা ও ব্যবসায়ীরা ধানের চারা ক্রয়-বিক্রয় করতে আসে। প্রতি বছর পৌষমাসের শুরু থেকে মাঘ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত এ হাটে ধানের চারা ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। শতাধীক ব্যবসায়ী ধানের চারার ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছে। প্রতি বছর তার কৃষকদের বীজতলা থেকে ধানের চারা ক্রয় করে এ হাটে এনে বিক্রয় করে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ২১ টি ব¬কে হাইব্রীড জাতের ৬ হাজার ৮শ হেক্টর এবং উফশী জাতের ১ হাজার ৯শ হেক্টর জমি বোরো ধান চাষের আওতায় আনার লক্ষ্য মাত্রা আছে। এ মৌসুমে প্রায় ৪ শত ৯০ হেক্টর জমিতে বীজপাতা তৈরী করা হয়েছে।

বাঁধালের ধানের চারার হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পোন ধানের চারা (৮০মুটি) প্রকার ভেদে ২৯০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় পর্যন্ত বিক্রয় হচ্ছে। ১কেজি বীজ ধানে ১২০ থেকে ১৩০ মুটি ধানের চারা উৎপাদিত হয় যার বর্তমান বাজার মূল্য ৬/৭শত টাকা। কচুয়া, মোড়েলগঞ্জ,বাধল, রঘুদত্তকাঠী, মসনী, গোপালপুর, বলভদ্রপুর, বিষখালী, রামচন্দ্রপুর, কচুবুনিয়া সহ পাশবর্তী জেলার কৃষকও এ হাটে এসে ধানের চারা ক্রয় করছে। চলতি মৌসুমে ধানের চারার দাম কম থাকায় চাহিদা বেড়ে গেছে। অনেক কৃষক তাদের জমি রোপনের পর অতিরিক্ত ধানের চারা হাটে এনে বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছে। ক্রেতারা ভালো মানের ধানের চারা ক্রয় করতে পারছে। ধানের চারার ব্যবষায়ী নাদের শেখ বলেন, ব্যবসার উদ্দেশ্যে ১০ হাজার টাকার বীজ ধান ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন করেছেন। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১৫/১৬ হাজার টাকা। বীজতলা থেকে চারা তুলে বাজারে আনা পর্যন্ত খরচ হয় প্রতি পোন ৪শত থেকে ৫শত টাকা। এবছর ধানের চারার দাম কম থাকায় লাভ হবে না। তার পরেও চাহিদা আছে। কৃষক কালাম শেখ বলেন, চলতি মৌসুমে ধানের চারার চাহিদা কম সেই জন্য দামও কিছুটা কম। ৩ পোন ধানের চারা (পাতো) ক্রয় করার জন্য হাটে আসছি। এক পোন ধানের চারা থেকে ৩/৪ কাঠা জমি রোপন করা যায়।

কচুয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ, সার বিতরণসহ কৃষকদের প্রশিক্ষনের ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে থাকি। এখন বরো মৌসুম আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে বীজতলা পরিদর্শন করে থাকে। অনেক কৃষক বাজার থেকে বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরী করে চারা উৎপাদন তাদের জমিতে লাগিয়ে উদ্বৃত্ত চারা বাধাল বাজারে বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছে। অনেক কৃষকের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে তার বাজার থেকে এই চারা ক্রয় করে সঠিক সময় তাদের জমিতে রোপন করতে পারছে।  এতে কৃষকরাই লাভবান হচ্ছেন। ##