####
কমরেড রতন সেন ছিলেন বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রচার বিমুখ মানুষ। যে ব্যক্তি কুসংস্কার মুক্ত, সংগঠিত, সংশয়বাদী, জিজ্ঞাসুমনা, বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি ও প্রমাণের ওপর নির্ভরশীল এবং যে কোনো অন্ধবিশ্বাস দ্বারা পরিচালিত হয় না- তিনিই বিজ্ঞানমনস্ক। যখন একজন মানুষ চিন্তা ও চেতনায় যুক্তিবাদী হয়ে ওঠে তখন সে দৃষ্টি- ভঙ্গিতে হয়ে ওঠে বিজ্ঞানমনস্ক। কমরেড রতন সেন ছিলেন এমন একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। যিনি উপরের সবকয়টি গুণে সমৃদ্ধ ছিলেন। কমরেড রতন সেনের সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় ছাত্রাবস্থায়। তখন আমি ছাত্র ইউনিয়নের কেবলমাত্র সদস্য হয়েছি। সংগঠনের অফিসে মাঝে মধ্যে যাই। আমার এক বন্ধুর অনুরোধে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে প্রথম যাওয়া। যেয়ে দেখি কমরেড মনিরুজ্জামান, কমরেড ফিরোজ আহমেদ বসে আছেন। মনির ভাই ও ফিরোজ ভাইয়ের সাথে আগে থেকে মাঝে মধ্যে দেখা হয়েছে। কথাও বিনিময় হয়েছে। কিন্তু কমরেড রতন সেনকে এর আগে কখনও দেখিনি। আমরা যে রুমে বসে আছি তার বিপরীত দিক থেকে একজন বয়স্ক মানুষ বের হয়ে এলো। তাকে দেখে সবাই দাড়িয়ে পরলো। সকলে একসাথে দাঁড়িয়ে পরায় আমিও কিছু কারন না বুঝে দাঁড়িয়ে পরলাম। তিনি সবার সাথে কথা বরার পর আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার নাম কি ? আমি হতভম্ভ হয়ে বললাম মহেন্দ্র নাথ সেন। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন কোন সেন ? আমি প্রশ্নটি না বুঝায় চুপ করে রইলাম। তিনি আবার প্রশ্ন করলেন। কোন সেন তুমি জানো না? আমি বললাম না। বললেন কাল তোমার মা-বাবার কাছ থেকে তুমি শুনে আসবা। তোমরা কোন সেন। তখন বুঝলাম হয়তো হিন্দু ধর্মে যে বিভক্ত রয়েছে সেটা বুঝি। মনির ভাই ও ফিরোজ ভাইয়ের সাথে কথা বলে চলে গেলেন। আমি তখন ভাবছি লোকটি কে ? কেনইবা এত প্রশ্ন করলো? আমি বন্ধুকে বললাম চল আমার আর ভালো লাগছে না। বেড়িয়ে বললাম, লোকটি কে রে ? আমাকে এত প্রশ্ন করছিল কেন ? বন্ধু বললেন চিনিস না । আমি বললাম না। বলল কমরেড রতন সেন। বন্ধু আমার চোখের ভঙ্গিমা দেখে বুঝতে পারলো। আমার কাছে তার গুরুত্ব নেই। বন্ধু বললো এই অফিসে যতগুলো নেতা দেখলি না সবার থেকে এই নেতার গুরুত্ব বেশি। দুই বন্ধু আমরা দুইদিকে চলে গেলাম। সম্ভবত এই যে ঘটনা বলছি তা ১৯৯৭ অথবা ১৯৯৮ সাল। আবার একদিন ঐ বন্ধু যথারীতি অফিসে নিয়ে গেলো। ভেবেছিলাম রতন সেনের আমাকে যে প্রশ্ন করেছে তা তার মনে থাকবে না। আমরা দুই বন্ধু পার্টি অফিসে পত্রিকা পরছিলাম। এমন সময় রতন সেন প্রবেশ করলেন। উঠে দাঁড়ালাম। যথারীতি প্রশ্ন করলেন তোর বাবার কাছ থেকে শুনেছিস ? বললাম না। ও , তখন তিনি বললেন কায়স্থ সেন, বারই সেন, সেনগুপ্ত আছে। তোরা কোন সেন ? আমি বললাম কায়স্থ সেন। পরে তিনি তার রুমে প্রবেশ করলেন । আমার বন্ধুকে ডেকে বললেন সরকার সুইটসে যা। সেখানে গিয়ে কলাপাতা ধুয়ে তিন টাকার সন্দেশ কিনে দুই টাকার চা বলে আসবি। লোক না থাকলে চা নিয়ে আসিস। কাগজে একটু বেশি করে চিনি নিয়ে আসবি। বন্ধু আমাকে বসিয়ে চলে গেলো কিনতে। রতন সেন যে রুমে বসতেন সেই রুমে আমাকে ডাকলেন। কিছুক্ষণ পরে কোথা থেকে একটি নারকেলি কুল আমার হাতে দিয়ে বললেন এটা খা। আমি হাতে নিলাম কিন্তু খাচ্ছি না। তিনি বুঝতে পেলেন আমি কেন খাচ্ছি না। বললেন কুলটা খা। তখন আমি বললাম দাদা আমি সরস্বতী পূজার আগে নারকেরি কুল খাই না। তখন তিনি হাসলেন বললেন কুল খাসনা। কেন খাসনা ? আমি কারণ বলতে পারলাম না। দাদা বললেন খাসনা ভালো। আমি তোকে খেতে বলবো না। তবে কারণটা জানার চেষ্টা করবি না। বলে কুলটা নিয়ে নিলেন। বললেন কুলটা ফাল্গুণ মাসে পাকে। এর আগে কাঁচা অবস্থায় খেলে কাস হয়। তাঁর থেকে পরিত্রাণ পেতে মুরব্বীরা বলে স্রস্বতী পূজার আগে কুল খেতে নেই। নতুন ফল বিদ্যারদেবীকে দিয়ে খেতে হয়। এর মধ্যে আমার বন্ধু এলো। হাতে মগ কাগজে মোরা চিনি আর কলাপাতার মোরা সন্দেশ। দাদা কলাপাতা খুলে সন্দেশ তিন ভাগ করলেন । একভাগ নিজের জন্য রাখলেন। অন্য দুই ভাগ আমার বন্ধু ও আমাকে দিলেন। দাদা ঝোলার থাকা রুটি দিয়ে সন্দেশ খেয়ে নিলেন। এভাবে তিনি কর্মীদের বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতেন।
আমি এখন প্রায়ই অফিসে আসি। মাঝে মধ্যে সন্দেশ আনার দায়িত্ব আমি পাই। তিন ভাগের একভাগ আমি পাই। দাদা একভাগ খান অন্য ভাগ কলাপাতা মুরে সযতেœ রেখে দেয় নতুন কর্মীর হয়তো সন্ধানে। একবার দাদা শহীদ হাদিস পার্কের জনসভায় বক্তৃতা করবেন। প্রচার চলছে। দলীয় অফিসে থেকে ফিক্সড মাইকে প্রচার চলছে। আমি মাইকে বলছি আজ বিকালের জনসভা, রতন সেনের জনসভা। হাদিস পার্কের জনসভা, কমরেড রতন সেনের জনসভা। এভাবে প্রচার করছি । হঠাৎ পিছন থেকে আমার কান ধরে তুললেন। বললেন তোর আর প্রচার করা লাগবে না। আমি বুছতে পারলাম না, কি আমার ভুল। আমি উঠে গেলাম। একটু পরে বললেন, জনসভা তো কমিউনিস্ট পার্টির রতন সেনের তো নয়। তুই বারবার একথাটা বলছিস কেন ? ব্যাক্তির নাম তো এভাবে প্রচার করা ঠিক নয়। আমি হতবাক । আওয়ামীলীগ এভাবে প্রচার করে। বিএনপি এভাবে প্রচার করে। কমিউনিস্ট পার্টির জনসভায় কেন প্রচার করা যাবে না। কমরেড রতন সেন বলতেন ব্যাক্তি নয় দলের নাম প্রচার করতে হবে। এততো মনিষী । যার প্রতিটি অঙ্গে ছিলো দেশপ্রেম, মানবমুক্তির গন্ধ।
কমরেড রতন সেন ১৯২৩ সালের ৩ এপ্রিল বৃহত্তর বরিশালের উজিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। চোখে চশমা, গায়ে সাদা পাঞ্জাবি, পড়নে সাদা পায়জামা পড়তেন। পেশায় ছিলেন শিক্ষক। লেখায় ছিলেন পারদর্শী। ইংরেজী বই আর পত্র-পত্রিকা পড়ে দিনের শুরুটা কাটাতেন। সাপ্তাহিক একতা, মুক্তির দিগন্তসহ অনেক পত্রিকায় তাঁর লেখা নিয়মিত ছাপা হতো। চিরায়িত মার্কসবাদ ছাড়া চলতি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী নিয়ে তিনি পত্রিকায় লিখতেন। তা থেকে অর্থ উপার্জন করেছে কম নয়। মুক্তির দিগন্তের লেখা তিনি ইংরেজি পত্রিকা থেকে অনুবাদ করতেন। তিনি প্রবাসী ভারতীয় বিপ্লবী ও জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন নামে দুটি বই অনুবাদ করেন। ব্যক্তিজীবনে ছিলেন চিরকুমার। অনাড়ম্বর জীবন-যাপন করতেন। তাঁর সংগ্রহে অনেক বই ছিল কিন্তু রাখার কোনো সেলফ ছিল না। ১০ কি.মি. পথ একসময় হেঁটে, পরবর্তীতে সাইকেল ও ভ্যানে করে পার্টি অফিসে আসতেন।
কমরেড রতন সেনের পিতার নাম ছিল নরেন্দ্র্রনাথ সেনগুপ্ত। তিনি ছিলেন দৌলতপুর বি এল কলেজের প্রধান অফিস সহকারী। সে সুবাদে রতন সেনের শৈশব-কৈশোর কেটেছে দৌলতপুরে। স্কুলজীবন থেকে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। শুরুটা করেন দৌলতপুর মহসীন স্কুলে ছাত্রাবস্থায়। যোগ দেন নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতিতে। পরবর্তীকালে সমাজতন্ত্রে বিশ^াসী ছাত্র সংগঠন ছাত্র ফেডারেশন গঠিত হলে কাজ করতে শুরু করেন ছাত্র ফেডারেশনে। এই সময় তিনি বিএল কলেজে নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। বড়ভাই মোহিত লাল সেনগুপ্ত তাকে এই পথে আসতে অনুপ্রাণিত করেন।
কমরেড রতন সেন মার্কসবাদে দীক্ষা নিয়ে ১৯৪২ সালের আগস্ট মাসে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। প্রথমে শ্রমিক আন্দোলনে যোগদান করেন। ১৯৪৫ সালে পার্টির সিদ্ধান্তে বটিয়াঘাটার বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্ভর হাই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। উদ্দেশ্য গ্রামের কৃষকদের সংগঠিত করা। প্রতি শনিবার ১০ মাইল পথ পায়ে হেঁটে তিনি খুলনা শহরে আসতেন এবং রবিবার খুলনায় থেকে পার্টি ও পার্টির পত্রিকা ‘স্বাধীনতা’র জন্য কাজ করে সোমবার সকালে গিয়ে স্কুলে ক্লাস করতেন। তিনি ছিলেন ‘স্বাধীনতা’র খুলনার প্রতিনিধি। বটিয়াঘাটায় কৃষকদের নিয়ে তেভাগা আন্দোলন ও জমিদারীপ্রথা উচ্ছেদের আন্দোলন গড়ে তোলেন। ১৯৪৬ সালে খুলনা জেলার মৌভোগে প্রাদেশিক কিষাণ সভার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সারা প্রদেশ থেকে পাঁচশত প্রতিনিধি এবং প্রকাশ্য অধিবেশনে ত্রিশ হাজার কৃষক যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পার্টি ‘ইয়া আজাদী ঝুটা হ্যায়, লাখ ইনসান ভূখা হ্যায়’ ¯েøাগান দিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম শুরু করলে পার্টির নেতা-কর্মীদের উপর নেমে আসে দমন-পীড়ন। ১৯৪৮ সালে খুলনার প্রখ্যাত দন্ত চিকিৎসক ডাঃ অতুল দাসের চেম্বার থেকে গ্রেফতার হন। এক পর্যায়ে তাঁকে রাখা হয় রাজশাহী কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে। সেই সময়ে ওই জেলের কারা অন্তরালে ছিলেন ইলা মিত্র ও পশ্চিমবাংলার সাবেক মূখ্যমুন্ত্রী জ্যোতি বসু। ১৯৫৬ সালে তিনি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে চলে আসেন রূপসার মৈশাঘুনি গ্রামে জেলসাথী কৃষকনেতা শান্তি ঘোষের বাড়িতে। এলাকাবাসীর অনুরোধে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন আজগড়া হাই স্কুলে এবং পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। অল্প দিনে এলাকার মানুষের প্রিয় মাস্টার মহাশয় হয়ে ওঠেন। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসন জারি হলে কিছু দিনের মধ্যে দৌলতপুর রেল স্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। খুলনা রেল স্টেশনে আনা হয় এবং সেখান থেকে অত্যন্ত অমানবিকভাবে পুলিশের জিপ গাড়ির পিছনে বেঁধে টানতে টানতে খুলনা থানায় নিয়ে আসা হয়। মুক্তি পান ১৯৬৯ সালে ফেব্রæয়ারি মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময়। ইতোমধ্যে পার্টির নেতাকর্মীরা মাওবাদের অনুসারি হয়ে পার্টি ত্যাগ করেন।
১৯৭১ সালের মার্চের দিনগুলো তিনি খুলনা অঞ্চলের পার্টি কমরেডদের সংগঠিত করে ট্রেনিংয়ের জন্য ভারতে পাঠাতে থাকেন। ১১ এপ্রিল সহযোদ্ধা অমর কৃষকনেতা বিষ্ণু চ্যাটার্জী ঘাতক-দালালদের হাতে নিহত হওয়ার পর তিনি ভারতে চলে যান। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাটে পানতোড়, পরে টাকী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে অবস্থান করেন। আশেপাশের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ছাত্র, যুবকদের সংগঠিত করে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দিতেন। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে পার্টির দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তিনি ছিলেন খুলনা জেলা কমিটির সম্পাদক। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৮৯ সালে সভাপতির পদ সৃষ্টি হলে তিনি খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। কেন্দ্র্রীয় সম্পাদক থাকাকালে তিনি বেশকিছু দিন ঢাকায় অবস্থান করেন। সে সময় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ, দলিল, ইস্তেহার রচনা করেন। কিন্তু বেশিদিন তাঁকে ঢাকায় ধরে রাখা যায়নি, ফিরে আসেন খুলনায়। স্বাধীনতার পর খুলনার হাট-ঘাট-নদীখাল, খাস জমি নিয়ে অসংখ্য আন্দোলনের তিনি নেতৃত্ব দেন। এক সময় দক্ষিণাঞ্চলে চিংড়ি চাষের নামে চলতে থাকে অত্যাচার-নিপীড়ন। শুরু হয় এলাকায় প্রতিবাদ, প্রতিরোধ। তিনি পার্টি-কৃষক সমিতি-জনগণকে সংগঠিত করেন শুরু করেন আন্দোলন। দাকোপ-বটিয়াঘাটা-পাইকগাছায় কিছু সাফল্য অর্জিত হয়। এ আন্দোলন দেশের বিবেকবান মানুষের নজর কাড়ে। জাতীয় সংসদে চিংড়ি চাষের নীতিমালা প্রণয়নের দাবি ওঠে। রতন সেন বলতেন, চিংড়ি চাষে এ মুহূর্তে হয়তো কৃষক লাভবান হচ্ছেন। কিন্তু এক সময় আসবে যখন চিংড়িও হবে না, ফসলও হবে না এবং পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটবে। আজ রতন সেনের কথা সত্য হয়েছে। ১৯৯২ সালে দেশে গড়ে ওঠে একাত্তরের ঘাতক-দালাল বিরোধী আন্দোলন। ২৬ মার্চ গোলাম আযমের বিচার করা হয় গণ-আদালতে। এ সময়ে সরকার ২৪ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা দায়ের করে। খুলনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে দেয়া হয় মিথ্যা মামলা। এর মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী শক্তির মুখপত্র দৈনিক মিল্লাত পত্রিকায় খুলনার ঘাতক বিরোধী ৩৫ জন নেতবৃন্দকে কটাক্ষ করে ভারতের দালাল নামে পত্রিকায় তালিকা প্রকাশ করে। রতন সেন ছিলেন ঐ তালিকার শীর্ষে। তার দুই মাসের মধ্যে ৩১ জুলাই খুলনা ডিসি-এসপি অফিসের সামনে কমরেড রতন সেনকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। মৃত্যু হয়েছে রতন সেনের দেহের। চেতনা ধারন করে আজও বেঁচে আছে রতন সেনের অনুসারিরা। কমরেড রতন সেন লাল সলাম।
লেখক ঃ সাংবাদিক, সাধারন সম্পাদক, গুণীজন স্মৃতি পরিষদ।
অফিস : ৬৯/৭০ কেসিসি সুপার মার্কেট ( ২য় তলা ) খুলনা সদর, খুলনা। প্রকাশক - সম্পাদক : সুনীল দাস বার্তা সম্পাদক : তরিকুল ইসলাম ডালিম চিফ রিপোর্টার : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ । যোগাযোগ : dainikmadhumati@gmail.com, newsdainikmadhumoti@gmail.com Office No : Editor : 01712680702 / 01912067948
© All rights reserved by www.dainikmadhumati.com (Established in 2022)