১০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলসকাঠীর চন্দ্রনাথ মুখার্জি চাঁনের ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজি দিনেরদিন বেড়েই চলেছে

বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৯নং ইউনিয়নের কলসকাঠী গ্রামের সন্তোষ কুমার মুখার্জির পুত্র চন্দ্র নাথ মুখার্জি চাঁনে দূর্নীতির আমল নামা বেড়িয়ে এসে । সরজমিনে গনমাধ্যম কর্মি গিয়ে এলাকাবাসীর নিকট থেকে জানতে পারেন, চন্দ্র নাথ মুখার্জি চাঁনের অপকর্মের ফিরিস্তি। চন্দ্র নাথ মুখার্জির কলসকাঠী ডিগ্রি কলেজের ৯৯শতাশং জমির উপর কলেজের দিঘি নিজ নামে লিজ জবর দখল করে নেয়া। কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী , এছাড়াও রয়েছে
সতীন্র নাথ গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের জমি লোপাটের অপচেষ্টা , আশ্রমের কমিটির সদস্য চঞ্চল চট্টপাধ্যায়কে মারধর ও কুপিয়ে জখম করা,এবিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় চ‌ঞ্চল চট্টপাধ্যায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, উক্ত মামলায় চন্দ্র নাথ মুখার্জি চাঁনকে দুই নং আসামী করে । মামলায় বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন পেলে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কিছু মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ কে হাতে পায়ে ধরে, উক্ত মামলা থেকে অব্যাহিত পান। এরকিছুদিন যেতেই আবার কলসকাঠি বাজারে বসে চঞ্চল চট্টোপাধ্যায়েকে একা পেয়ে মারধর ,করেন ও তাকে প্রাননাশের হুমকি দেয় এবিষয়ে চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় বাকেরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডাইড়ি করেন। চন্দ্র নাথ মুখার্জি চাঁন কলসকাঠী ঐতিহ্যর হাঁটখোলা শিব মন্দির সংলগ্নে জগদ্বাত্রী পূজা হয় ঐ পূজার সময় মেলা বসায় মনন্দীরে পাসে সেখান থেকে যে অর্থ আসে তা সবি যায় তার ভোগে, মন্দিরের অনুদানের নয়। এছাড়াও চন্দ্র নাথ মুখার্জি চাঁন হাঁটছেন পূর্ব পুরুষের মতো করেই । কলসকাঠী ডিগ্রি কলেজের জমি বিক্রয় করে গেছেন তার পিতা ও কাকা সন্তোষ কুমার মুখার্জি ও কানাই লাল মুখার্জি ১৯৭০সালে যাহার দলিল নং ৪৩৭৭ কলেজর সাধারণ সম্পাদকের নিকট ৯শতাশং, বর্তমানে চাঁন কলসকাঠী ডিগ্রী কলেজের জমি জবরদখল করে ভোগদখল আছেন (৭) সাত শতাংশ, যাহার খতিয়ান নং ৩৫৫দাগ নং ৩৫৬ এছাড়াও তার ভোগদখলে রয়েছে (২০)বিশ শতাংশ ,যাহার খতিয়ান নং ৩৭০দাগ নং ৩৫৪ গণমাধ্যম কর্মী নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি চানের এবিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা যতদূর জানি কলেজের জমি ভোগদখল করে, তিনি নাকি কানাই লাল ব্যানার্জীর নিকট থেকে ক্রয় করেছে। কিন্তু বাস্তবে আসলে জমির মালিক চাঁন না মালিক হয়েছেন আ :ছোবাহান মিয়া এ বিষয়ে কলস কাঠি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছি বর্তমানে এর আগে উনি কি করে এগুলো করেছেন সে বিষয়ে আমার জানা নেই। এদিকে এলাকাবাসী বলেন আমরা চন্দ্রনাথ মুখার্জী চানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ যে দল ক্ষমতায় আসে, সেই দলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন মানুষের জমি জবরদখল করে নেওয়ার অপচেষ্টা। বর্তমানে তার সহধর্মিনী অঞ্জলি মুখার্জী কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য। কিন্তু ইউপি সদস্য অঞ্জলি মুখার্জি নামে আছে কাজে নেই সবকিছুই সহধর্মিনীর কার্যক্রম পরিষদের পরিচালনায় রয়েছে চন্দ্র নাথ মুখার্জির হাতে, অঞ্জলি মুখার্জির তিনটি ওয়ার্ডের অনেক ভুক্তভোগী ভোটাররাই বলেন আমরা আমাদের ইউপি সদস্য অঞ্জলি মুখার্জির কাছে গেলে কোনো বিষয়ে, তিনি তার স্বামী চন্দ্রনাথ মুখার্জির সাথে কথা বলতে বলেন, আমরা তার সাথে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন কাজের বিষয় সে বিভিন্ন তাল বাহানা করে ।কয়েকদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলে , বর্তমানে টাকা পয়সা ছাড়া কোনো কিছুই হয় না আপনারা জানেন না, আপনাদের যে কাজ কর্ম এগুলো করতে গেলে বিভিন্ন খাতে টাকা দেওয়া লাগে ।এভাবে করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাক্ষাদ্বিক টাকা, আমরা এলাকাবাসী এই ডাঙ্গাবাছ, অত্যাচারী, ভূমিদস্যুর হাত থেকে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

কলসকাঠীর চন্দ্রনাথ মুখার্জি চাঁনের ভূমিদস্যুতা ও চাঁদাবাজি দিনেরদিন বেড়েই চলেছে

প্রকাশিত সময় : ০১:১৩:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৯নং ইউনিয়নের কলসকাঠী গ্রামের সন্তোষ কুমার মুখার্জির পুত্র চন্দ্র নাথ মুখার্জি চাঁনে দূর্নীতির আমল নামা বেড়িয়ে এসে । সরজমিনে গনমাধ্যম কর্মি গিয়ে এলাকাবাসীর নিকট থেকে জানতে পারেন, চন্দ্র নাথ মুখার্জি চাঁনের অপকর্মের ফিরিস্তি। চন্দ্র নাথ মুখার্জির কলসকাঠী ডিগ্রি কলেজের ৯৯শতাশং জমির উপর কলেজের দিঘি নিজ নামে লিজ জবর দখল করে নেয়া। কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়া সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী , এছাড়াও রয়েছে
সতীন্র নাথ গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের জমি লোপাটের অপচেষ্টা , আশ্রমের কমিটির সদস্য চঞ্চল চট্টপাধ্যায়কে মারধর ও কুপিয়ে জখম করা,এবিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় চ‌ঞ্চল চট্টপাধ্যায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, উক্ত মামলায় চন্দ্র নাথ মুখার্জি চাঁনকে দুই নং আসামী করে । মামলায় বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন পেলে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কিছু মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ কে হাতে পায়ে ধরে, উক্ত মামলা থেকে অব্যাহিত পান। এরকিছুদিন যেতেই আবার কলসকাঠি বাজারে বসে চঞ্চল চট্টোপাধ্যায়েকে একা পেয়ে মারধর ,করেন ও তাকে প্রাননাশের হুমকি দেয় এবিষয়ে চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় বাকেরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডাইড়ি করেন। চন্দ্র নাথ মুখার্জি চাঁন কলসকাঠী ঐতিহ্যর হাঁটখোলা শিব মন্দির সংলগ্নে জগদ্বাত্রী পূজা হয় ঐ পূজার সময় মেলা বসায় মনন্দীরে পাসে সেখান থেকে যে অর্থ আসে তা সবি যায় তার ভোগে, মন্দিরের অনুদানের নয়। এছাড়াও চন্দ্র নাথ মুখার্জি চাঁন হাঁটছেন পূর্ব পুরুষের মতো করেই । কলসকাঠী ডিগ্রি কলেজের জমি বিক্রয় করে গেছেন তার পিতা ও কাকা সন্তোষ কুমার মুখার্জি ও কানাই লাল মুখার্জি ১৯৭০সালে যাহার দলিল নং ৪৩৭৭ কলেজর সাধারণ সম্পাদকের নিকট ৯শতাশং, বর্তমানে চাঁন কলসকাঠী ডিগ্রী কলেজের জমি জবরদখল করে ভোগদখল আছেন (৭) সাত শতাংশ, যাহার খতিয়ান নং ৩৫৫দাগ নং ৩৫৬ এছাড়াও তার ভোগদখলে রয়েছে (২০)বিশ শতাংশ ,যাহার খতিয়ান নং ৩৭০দাগ নং ৩৫৪ গণমাধ্যম কর্মী নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি চানের এবিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন আমরা যতদূর জানি কলেজের জমি ভোগদখল করে, তিনি নাকি কানাই লাল ব্যানার্জীর নিকট থেকে ক্রয় করেছে। কিন্তু বাস্তবে আসলে জমির মালিক চাঁন না মালিক হয়েছেন আ :ছোবাহান মিয়া এ বিষয়ে কলস কাঠি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা বেগমের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছি বর্তমানে এর আগে উনি কি করে এগুলো করেছেন সে বিষয়ে আমার জানা নেই। এদিকে এলাকাবাসী বলেন আমরা চন্দ্রনাথ মুখার্জী চানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ যে দল ক্ষমতায় আসে, সেই দলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন মানুষের জমি জবরদখল করে নেওয়ার অপচেষ্টা। বর্তমানে তার সহধর্মিনী অঞ্জলি মুখার্জী কলসকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য। কিন্তু ইউপি সদস্য অঞ্জলি মুখার্জি নামে আছে কাজে নেই সবকিছুই সহধর্মিনীর কার্যক্রম পরিষদের পরিচালনায় রয়েছে চন্দ্র নাথ মুখার্জির হাতে, অঞ্জলি মুখার্জির তিনটি ওয়ার্ডের অনেক ভুক্তভোগী ভোটাররাই বলেন আমরা আমাদের ইউপি সদস্য অঞ্জলি মুখার্জির কাছে গেলে কোনো বিষয়ে, তিনি তার স্বামী চন্দ্রনাথ মুখার্জির সাথে কথা বলতে বলেন, আমরা তার সাথে কথা বলতে গেলে বিভিন্ন কাজের বিষয় সে বিভিন্ন তাল বাহানা করে ।কয়েকদিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলে , বর্তমানে টাকা পয়সা ছাড়া কোনো কিছুই হয় না আপনারা জানেন না, আপনাদের যে কাজ কর্ম এগুলো করতে গেলে বিভিন্ন খাতে টাকা দেওয়া লাগে ।এভাবে করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাক্ষাদ্বিক টাকা, আমরা এলাকাবাসী এই ডাঙ্গাবাছ, অত্যাচারী, ভূমিদস্যুর হাত থেকে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।