ইউক্রেনের কারকিভে অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন রোহান চৌধুরী নামের এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। বর্তমানে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে অবস্থান করছেন তিনি।
বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদি আমি পাঁচ মিনিট পরে বের হয়ে আসতাম, তাহলে আজকে আমি বেঁচে থাকতাম না। আমি যেখানে থাকি, সেখানে অনেক বোমা বর্ষণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, ভারতীয় দূতাবাস থেকে কিছু পরমর্শ এসেছিল, যেগুলো আমরা অনুসরণ করেছি। কারণ বাংলাদেশ ও ভারতীয় দূতাবাস প্রায়ই একই ধরনের তথ্য সরবরাহ করে। ভারতীয় দূতাবাস বলছে, যত ভারতীয় আছেন, তাদের কারকিভ থেকে বের হতে হবে ২ মার্চ রাত আটটার মধ্যে। তার মানে সবার হাতে খুবই অল্প সময় ছিল। কারকিভ থেকে বের হতে আমরা যখন ট্রেন স্টেশনে যাই, প্রায় আঠারো ঘণ্টা শীতের মধ্যে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার পর আমরা ট্রেন পেয়েছিলাম।
রোহান চৌধুরী বলেন, তবে ট্রেনটি সীমান্তে না, শুধু কারকিভ থেকে বাইরে যাচ্ছে। আমাদের সারা শরীর ব্যথা হয়ে গেছে, তবু আমাদের সহ্য করতে হয়েছে। কারণ বাড়ি যেতে হবে। যখন আমরা লাভিভে পৌঁছাই, সেখানেও পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।
‘কারণ লাভিভ থেকে সীমান্তে যাওয়ার কোনো বাস নেই। পরে ভারতীয় দূতাবাস কতগুলো বাসের ব্যবস্থা করেছিল। আমরা কিছু টাকা দিয়ে লাভিভ থেকে সীমান্তে আসি। লাভিভ থেকে সীমান্তে আসতে পাঁচ ঘণ্টা লেগেছিল, ওই সীমান্তের নাম ছিল চপ।’
আরও পড়ুন: বাইডেনকে পাত্তাই দিলেন না সৌদি-আমিরাতের যুবরাজ
এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, যখন আমরা সীমান্তে আসি, তখন ইউক্রেনের রেডক্রসের একটি দল ওখানে ছিল। এরপর জাগোনি সীমান্ত দিয়ে আমরা হাঙ্গেরিতে প্রবেশ করি। ওখান থেকে তারা আমাদের নিজেদের বাচ্চার মতো করে যত্ন করেছে। সেখান থেকে বুদাপেস্টে চলে যান রোহান।
বললেন, আমি অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে কথা বলেছিলাম, তারা একজন সেচ্ছাসেবক পেয়েছেন। যার বাসায় এখন আমরা আছি। বাংলাদেশ দূতাবাস আমাদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা এখানেই আছি।
তিনি বলেন, আমার তিন বছর বয়সে ওমানে চলে গেছি। ওখানে বড় হয়েছি ও ভারতীয় স্কুলে লেখাপড়া করেছি। আমার বন্ধুরা বেশিরভাগ পশ্চিমবঙ্গের ছিল।
শেষ মুহূর্তে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে রোহান চৌধুরী বললেন, ভেবেছিলাম, কারকিভে থেকে যাব, কিন্তু পরিস্থিতি খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। আমি আসলে খুবই ভাগ্যবান বলতে পারি, আমার আশপাশে দুতিনবার বোমা হামলা হয়েছে। আর পাঁচ মিনিট দেরি করলেই হয়তো আপনাদের সাথে আমার কথা হতো না।
অফিস : ৬৯/৭০ কেসিসি সুপার মার্কেট ( ২য় তলা ) খুলনা সদর, খুলনা। প্রকাশক - সম্পাদক : সুনীল দাস বার্তা সম্পাদক : তরিকুল ইসলাম ডালিম চিফ রিপোর্টার : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ । যোগাযোগ : dainikmadhumati@gmail.com, newsdainikmadhumoti@gmail.com Office No : Editor : 01712680702 / 01912067948
© All rights reserved by www.dainikmadhumati.com (Established in 2022)