১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুয়েটে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানান অভিযোগে সহকারী রেজিস্ট্রারের কক্ষ ভাংচুর

  • অফিস ডেক্স :
  • প্রকাশিত সময় : ০১:১৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪
  • ৬ পড়েছেন

####

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(কুয়েট) অনিয়ম,নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুজ্জামানকে ধাওয়া দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় তার কক্ষে ভাংচুর এবং নেমপ্লেট ভেঙে ফেলা হয়। মঙ্গলবার সকালে তিনি তার অফিস কক্ষে গেলে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় তিনি অনেকের কাকুতি-মিনতি করে রক্ষা পান।

বিক্ষব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে, কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া এবং ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম নিবিড় রেজার দাপট দেখিয়ে অনিয়ম-দুনীতি, নিয়োগ বানিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে র্দীঘদিন ধরে বিভিন্ন অন্যায় করেছেন মোঃ মনিরুজ্জামান। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগে কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগসাজসে বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে ডাটা প্রসেসর পদে মেহেদী হাসান, শেখ রাসেল,  সুজয় কুন্ড, মোঃ ইব্রাহিম শেখ ও মোছাঃ হালিমা খাতুনসহ ৫ জনকে নিয়োগ দেন। এছাড়া অফিস অ্যাসিসটেন্ট কাম ডাটা প্রসেসর পদে নিয়োগ পান সোহেল আহমেদ। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই সাথে মাস্টাররোলে দায়িত্বরত গার্ডদের স্থাযী না করে বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে দুইজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক লেবার হিসাবে চাকুরী দিয়েছেন বেশ কয়েকজনকে। এছোড়া প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকলেও টাকার বিনিময়ে বেশ কয়েকজনকে প্রমোশন দেওয়ার ব্যবস্থাও করার অভিযোগ রয়েছে। কৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান বিভিন্ন সরকারের সময়ে ও বিগত ভাইস-চ্যান্সেলরদের আমলেই প্রশাসনের কাছাকাছি থেকে সুবিধা নিয়েছে। তার ক্ষমতার অপব্যবহারের কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞাসহ সকল রেজিস্ট্রার চরম র্দূভোগে ছিলেন, সব কিছুই ছিলো মনিরুজ্জামানের নিযন্ত্রণে।

অভিযোগ রয়েছে, মোঃ মনিরুজ্জামান প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকা স্বত্তেও ২০০৬ সালে সহকারী সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান। এ বিষয়ে অনিয়ম ধরা পড়লে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে তাকে বর্তমান পদ থেকে অব্যহতি ও বিগত সময়ে গ্রহণকৃত অর্ধকোটিরও বেশী টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অডিট আপত্তিসহ কুয়েটে পত্র দিয়েছেন তারা। বিষয়টি কুয়েটের কম্পট্রোলার অফিস নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে কুয়েটের সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুজ্জামানের বক্তব্য নিতে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

কুয়েটে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানান অভিযোগে সহকারী রেজিস্ট্রারের কক্ষ ভাংচুর

প্রকাশিত সময় : ০১:১৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

####

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(কুয়েট) অনিয়ম,নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুজ্জামানকে ধাওয়া দিয়েছেন নির্যাতনের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এসময় তার কক্ষে ভাংচুর এবং নেমপ্লেট ভেঙে ফেলা হয়। মঙ্গলবার সকালে তিনি তার অফিস কক্ষে গেলে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় তিনি অনেকের কাকুতি-মিনতি করে রক্ষা পান।

বিক্ষব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে, কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া এবং ছাত্রলীগের সভাপতি রুদ্রনীল সিংহ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম নিবিড় রেজার দাপট দেখিয়ে অনিয়ম-দুনীতি, নিয়োগ বানিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার করে র্দীঘদিন ধরে বিভিন্ন অন্যায় করেছেন মোঃ মনিরুজ্জামান। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগে কুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগসাজসে বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে ডাটা প্রসেসর পদে মেহেদী হাসান, শেখ রাসেল,  সুজয় কুন্ড, মোঃ ইব্রাহিম শেখ ও মোছাঃ হালিমা খাতুনসহ ৫ জনকে নিয়োগ দেন। এছাড়া অফিস অ্যাসিসটেন্ট কাম ডাটা প্রসেসর পদে নিয়োগ পান সোহেল আহমেদ। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই সাথে মাস্টাররোলে দায়িত্বরত গার্ডদের স্থাযী না করে বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে দুইজনকে নিয়োগ দিয়েছেন। ৪ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক লেবার হিসাবে চাকুরী দিয়েছেন বেশ কয়েকজনকে। এছোড়া প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকলেও টাকার বিনিময়ে বেশ কয়েকজনকে প্রমোশন দেওয়ার ব্যবস্থাও করার অভিযোগ রয়েছে। কৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান বিভিন্ন সরকারের সময়ে ও বিগত ভাইস-চ্যান্সেলরদের আমলেই প্রশাসনের কাছাকাছি থেকে সুবিধা নিয়েছে। তার ক্ষমতার অপব্যবহারের কারনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আনিছুর রহমান ভূঞাসহ সকল রেজিস্ট্রার চরম র্দূভোগে ছিলেন, সব কিছুই ছিলো মনিরুজ্জামানের নিযন্ত্রণে।

অভিযোগ রয়েছে, মোঃ মনিরুজ্জামান প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকা স্বত্তেও ২০০৬ সালে সহকারী সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান। এ বিষয়ে অনিয়ম ধরা পড়লে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে তাকে বর্তমান পদ থেকে অব্যহতি ও বিগত সময়ে গ্রহণকৃত অর্ধকোটিরও বেশী টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য অডিট আপত্তিসহ কুয়েটে পত্র দিয়েছেন তারা। বিষয়টি কুয়েটের কম্পট্রোলার অফিস নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে কুয়েটের সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ মনিরুজ্জামানের বক্তব্য নিতে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।