১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার রকিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে, রামপাল বিএনপির মিশ্র প্রতিক্রিয়া 

####

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোয় রামপালে  বিএনপির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। খুলনার বরখাস্ত হওয়া সদ্য সাবেক মেয়রের চাপে খুলনা মেট্রোতে দায়িত্ব পালন করাই কি কাল হলো বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া, না কি অন্য কিছু ? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রামপাল ও মোংলা জুড়ে। মোংলা উপজেলার সোনাইলতলার সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেন সরদার রকিবুল ইসলাম। মাধ্যমিকে পেড়িখালী মডেল স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে রামপাল সরকারি কলেজে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রামপাল কলেজে থাকার সময় তিনি ছাত্রদলে যোগ দেন। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালিন শেখ মুজিব হলে থেকে ছাত্রদলের নেতৃত্ব পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবর হলের হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন রামপালের আরেক কৃতি সন্তান তালুকদার মাহাবুবুর রহমান। ওই সময় তার কমিটির সাহিত্য-পত্রিকা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন সরদার রকিবুল ইসলাম। পরে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। চাকুরী করা কালিন সময়ে তিনি দুইবার জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

তার সহধর্মিণী তানভীর আক্তার মুক্তি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলের আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ওই সময় তিনিও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। সরদার রকিবুল ইসলামের আপন শ্যালক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক। অভিযোগ রয়েছে তার নিকট আত্মীয়রা সব বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তার প্রোমোশন হয়নি। তার জুনিয়ার পুলিশ অফিসারগণ তাকে টপকিয়ে উচ্চ পদে প্রোমোশন পেলেও রকিবুলের ভাগ্যে সেটি জোটেনি। বার বার আটকে থাকে তার প্রোমোশন। সাবেক খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেকের চাপে বরং তার বদলী ও প্রোমোশন আটকে দিয়ে খুলনা মেট্রোতে রাখা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সরকারের পরিবর্তন হওয়ায় অনেকটা বলির পাঠা হলেন ওই কর্মকর্তা! একরাস অপবাদের বোঝা মাথায় নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হলো তাকে।

তার শ্যালক রামপাল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় আমার ছোট ভগ্নিপতি রকিবুলের প্রোমোশন আটকে গেছে। তাকে জোর করে খুলনাতে রাখা হয়েছে। আমার বোন আইন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করলেও তার সরকারি চাকুরী হয়নি বিএনপি পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে। এখন রকিবের ও অলৌকিক কারণে অবসরে যেতে হলো। বিগত আওয়ামীলীগ আমলে তার প্রোমোশন তো হলোই না, বোনটির সরকরি চাকুরী হলো না।

গত ইংরেজি ২৭ আগষ্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব ডঃ মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলে খুলনা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম কে বাধ্যতামূলকভাবে অবসরে পাঠানো হয়।#

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার রকিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে, রামপাল বিএনপির মিশ্র প্রতিক্রিয়া 

প্রকাশিত সময় : ০৬:৫৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

####

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোয় রামপালে  বিএনপির মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। খুলনার বরখাস্ত হওয়া সদ্য সাবেক মেয়রের চাপে খুলনা মেট্রোতে দায়িত্ব পালন করাই কি কাল হলো বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া, না কি অন্য কিছু ? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রামপাল ও মোংলা জুড়ে। মোংলা উপজেলার সোনাইলতলার সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেন সরদার রকিবুল ইসলাম। মাধ্যমিকে পেড়িখালী মডেল স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে রামপাল সরকারি কলেজে ভর্তি হন। কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রামপাল কলেজে থাকার সময় তিনি ছাত্রদলে যোগ দেন। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াকালিন শেখ মুজিব হলে থেকে ছাত্রদলের নেতৃত্ব পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবর হলের হল শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন রামপালের আরেক কৃতি সন্তান তালুকদার মাহাবুবুর রহমান। ওই সময় তার কমিটির সাহিত্য-পত্রিকা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন সরদার রকিবুল ইসলাম। পরে তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিসিএস ক্যাডারের কর্মকর্তা পদে যোগ দেন। চাকুরী করা কালিন সময়ে তিনি দুইবার জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কৃতিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

তার সহধর্মিণী তানভীর আক্তার মুক্তি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলের আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। ওই সময় তিনিও ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। সরদার রকিবুল ইসলামের আপন শ্যালক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক। অভিযোগ রয়েছে তার নিকট আত্মীয়রা সব বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তার প্রোমোশন হয়নি। তার জুনিয়ার পুলিশ অফিসারগণ তাকে টপকিয়ে উচ্চ পদে প্রোমোশন পেলেও রকিবুলের ভাগ্যে সেটি জোটেনি। বার বার আটকে থাকে তার প্রোমোশন। সাবেক খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আঃ খালেকের চাপে বরং তার বদলী ও প্রোমোশন আটকে দিয়ে খুলনা মেট্রোতে রাখা হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে সরকারের পরিবর্তন হওয়ায় অনেকটা বলির পাঠা হলেন ওই কর্মকর্তা! একরাস অপবাদের বোঝা মাথায় নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে যেতে হলো তাকে।

তার শ্যালক রামপাল উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকায় আমার ছোট ভগ্নিপতি রকিবুলের প্রোমোশন আটকে গেছে। তাকে জোর করে খুলনাতে রাখা হয়েছে। আমার বোন আইন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে পাশ করলেও তার সরকারি চাকুরী হয়নি বিএনপি পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে। এখন রকিবের ও অলৌকিক কারণে অবসরে যেতে হলো। বিগত আওয়ামীলীগ আমলে তার প্রোমোশন তো হলোই না, বোনটির সরকরি চাকুরী হলো না।

গত ইংরেজি ২৭ আগষ্ট রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব ডঃ মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলে খুলনা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম কে বাধ্যতামূলকভাবে অবসরে পাঠানো হয়।#