০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেশবপুরে উপসহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দখলের অভিযোগ

####

যশোরের কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি ও পাঁজিয়া উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে উৎকোচ নিয়ে অবৈধভাবে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নামজারি, জোরপূর্বক জমি দখল, রাস্তা দখল, অসদাচারণসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির উঠেছে। একই কর্মস্থলে ০৯-১০ বছর যাবৎ থাকায় অনিয়ম-দূর্নীতির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও অর্থবানিজ্য করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তার এ অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা, যশোরের কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি(কাটাখালি) ও পাঁজিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন অনিয়ম ও দুর্নীতির গড়ে তুলে মোটা অংকের বিনিময়ে জালিয়াতি করে অবৈধভাবে নামজারি, নামজারি করতে গেলে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ, জোরপূর্বক লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে জমি দখল, জমির রাস্তা দখল, হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, খারাপ আচারণসহ দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির করে আসছে। অসহায় দরিদ্র কৃষক, বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দীর্ঘদিন একই ইউনিয়নে থেকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে এবং অবৈধ কোটি কোটি টাকার মালিক, কোটি টাকার বাড়ী, দোকানঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর নির্মাণ করেছে। এছাড়া নিজ এবং স্ত্রীর নামেও কোটি কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেছে। ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন দুলাল চন্দ্র সাহার ২৭১নং খতিয়ানে ১৬৭ দাগ হতে প্রতারনা করে ৪.৮০ শতক জমি নামজারি করে জমিতে যাওয়ার রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দূর্নীতির মাধ্যমে দলিল গ্রহীতার জমি নারায়নপুর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ শাহানারা পারভীনের নামে ২৬৩০/IX-I/২০১৬-২০১৭ নং কেস জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নামজারি করে দিয়েছেন। যাহা ১৬৭৮ খতিয়ান ভুক্ত হয়েছে। প্রিন্ট পর্চায় ১৩১নং খতিয়ানে দলিল দাতার নামে রেকর্ড না থাকায় নামপত্তনের আদেশ হওয়ায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দূর্নীতিতে জড়ানো এটা সুস্পষ্ট। পাশাপাশি কেশবপুর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাভুক্ত ১২১নং নারায়নপুর মৌজার বারোটা দলিলে প্রায় ২ একর ৬৭ শতক ২৫ পয়েন্ট জমি গ্রহিতা আনিছুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান ২৬২৯/IX-I/২০১৬-২০১৭নং নামজারি কেসের মাধ্যমে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেনের সহযোগীতায় ১৬৭৯নং খতিয়ান ভুক্ত করান। উক্ত খতিয়ানে ২একর ৬৭ শতক ২৫ পয়েন্ট জমির মধ্যে চারটি দলিলের প্রায় ২ একর ১৭.৫০ শতক জমি উক্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কাটাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্তৃক জালজালিয়াতি ও অবৈধভাবে ২০১৭-২০১৮ইং সালে মোটা অংকের অর্থের মাধ্যমে গ্রহিতা মোঃ হাবিবুর রহমানের আপন ভাই ও বোনের নিকট থেকে ক্রয় করে। যার ২৯/০৫/২০০৫ তারিখ, দলিল নম্বর- ৩১৬৬, জমি-৩৩ শতাংশ জমি। এই দলিলে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন দাগ সৃষ্টি করে, ০৩/০৪/২০০৫ তারিখ দলিল নম্বর-১৮৫৭, জমি-৯৪.৫০ শতক জমি এই দলিলের ফটোকপিতে কয়েকটি নতুন দাগ সৃষ্টি করেছে। ২৬/০২/২০০৫ তারিখ, দলিল নম্বর-১১১৬, জমি-৪২ শতক, ০৮/০৫/২০০৫ই তারিখ, দলিল নম্বর- ২৪৬৭, জমি- ৪৮ শতক মোট জমি ২ একর ১৭.৫০ শতক সম্পূর্ণ জাল জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে করেছে কাটাখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন নামজারি কেসের মাধ্যমে ১৬৭৯নং খতিয়ান ভুক্ত করান। যাহা উক্ত মৌজার ৩১৬৬নং দলিলে জমি দাতা মোছা মেহেরুন্নেছার নাম ১৩১নং খতিয়ানে না থাকলেও উক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জাল জালিয়াতি প্রতারনা ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে উক্ত গ্রহিতার নামে ১৬৭৯নং খতিয়ান ভুক্ত করান। গ্রহিতা মোঃ হাবিবুর রহমান উক্ত মৌজার ৩১৬৬নং দলিলে ২৭৯৫, ২৭৯৬, ২৭৯৭, ২৯০৯, ২৯৫৩ ও ২৮৩০ ফটোকপিতে দাগ সৃষ্টি করে নামপত্তন করেছে। ১৮৫৭নং দলিলে কয়েকটি দাগ সৃষ্টি করে নাম পত্তন করে দিয়েছে যা উক্ত গ্রহিতা উক্ত ৪টি দলিলে দাগসৃষ্টি জমি জাল জালিয়াতি, প্রতারণা ও দূর্নীতির মাধ্যমে ৩১ ধারায় দিয়েছে একবার এবং আর একবার নিয়েছে নামপত্তনের মাধ্যমে।

অন্যদিকে, বাদী আবুল কাশেমের পৈত্রিক ভাগ বাটোয়ারা ১৮১ দাগের সম্পত্তি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ দখলকৃত অংশ মোঃ আমজাদ হোসেন অন্য শরিকদের অন্য জায়গায় দখলকৃত সম্পত্তি ক্রয় করে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক আবুল কাশেমের দখলীয় অংশ দখল করে নিয়েছেন। এবং আবুল কাশেমের ভাগ্নি হালিমা খাতুনের নামজারিকৃত খতিয়ান ১৩৩, দাগ নং- ১৬৭ হতে ১.১৫ শতক জমি জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দিচ্ছে।

এছাড়া শেখ শাহাজান, অমলকান্তি বিশ্বাস, সুভাষ চন্দ্র হালদার সহ অনেকের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনার টাকা গ্রহণ, হয়রানী, অসদাচারণ করেছেন। সেলিনা বেগমের ভিটাবাড়ি নামজারির জন্য ৭ হাজার টাকা নিয়ে খারাপ ব্যবহার এবং হয়রানি করেছেন। এমনকি টাকার দেয়ার কথা কোথাও জানালে ঘর ছাড়া করবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে সিআর-১৯৯/২৩ নং জালিয়াতী মামলা ও বহু অভিযোগ আছে।

দুর্নীতিবাজ ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আমজাদ ও তার স্ত্রীর নামে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। যা দলিল নং-৯৯৪ ও তারিখ-১৪/০২/২০১৭, দলিল নং-৩৫২৫ ও তারিখ-১৪/০৭/২০১৭, দলিল নং-১৪৮৪ ও তারিখ-১৪/০৩/২০১৭, দলিল নং-৭০৩ ও তারিখ-০৫/০২/২০১৭, দলিল নং-৪৮৬ ও তারিখ-২৩/০১/২০১৭, দলিল নং-৫৩৭ ও তারিখ-১৯/০১/২০১৭, দলিল নং-৬২১০ ও তারিখ-১৯/১২/২০১৮, দলিল নং-৬২১৯ ও তারিখ-১৯/১২/২০১৮ দলিলগুলোর মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ মোঃ আমজাদ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে গায়ের জোরে টাকা এবং মাস্তান দিয়ে একের পর এক জমির মালিকদের সাথে অন্যায় অবিচার এবং জুলুম করে যাচ্ছে। এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ একই কর্মস্থলে ০৯-১০ বছর কর্মরত ইউনিয়ন উপসহকারী ভুমি অফিসার মোঃ আমজাদ হোসেনকে বদলি ওতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দশকাহনিয়া গ্রামের এস, এম শামীমউল আলমসহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিয়েছেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

কেশবপুরে উপসহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত সময় : ১২:৫৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

যশোরের কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি ও পাঁজিয়া উপ-সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে উৎকোচ নিয়ে অবৈধভাবে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নামজারি, জোরপূর্বক জমি দখল, রাস্তা দখল, অসদাচারণসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির উঠেছে। একই কর্মস্থলে ০৯-১০ বছর যাবৎ থাকায় অনিয়ম-দূর্নীতির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও অর্থবানিজ্য করে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন। তার এ অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা, যশোরের কেশবপুর উপজেলার সুফলাকাটি(কাটাখালি) ও পাঁজিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন অনিয়ম ও দুর্নীতির গড়ে তুলে মোটা অংকের বিনিময়ে জালিয়াতি করে অবৈধভাবে নামজারি, নামজারি করতে গেলে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ, জোরপূর্বক লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে জমি দখল, জমির রাস্তা দখল, হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, খারাপ আচারণসহ দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির করে আসছে। অসহায় দরিদ্র কৃষক, বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দীর্ঘদিন একই ইউনিয়নে থেকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে এবং অবৈধ কোটি কোটি টাকার মালিক, কোটি টাকার বাড়ী, দোকানঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর নির্মাণ করেছে। এছাড়া নিজ এবং স্ত্রীর নামেও কোটি কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেছে। ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন দুলাল চন্দ্র সাহার ২৭১নং খতিয়ানে ১৬৭ দাগ হতে প্রতারনা করে ৪.৮০ শতক জমি নামজারি করে জমিতে যাওয়ার রাস্তা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দূর্নীতির মাধ্যমে দলিল গ্রহীতার জমি নারায়নপুর গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ শাহানারা পারভীনের নামে ২৬৩০/IX-I/২০১৬-২০১৭ নং কেস জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নামজারি করে দিয়েছেন। যাহা ১৬৭৮ খতিয়ান ভুক্ত হয়েছে। প্রিন্ট পর্চায় ১৩১নং খতিয়ানে দলিল দাতার নামে রেকর্ড না থাকায় নামপত্তনের আদেশ হওয়ায় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দূর্নীতিতে জড়ানো এটা সুস্পষ্ট। পাশাপাশি কেশবপুর উপজেলার কাটাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাভুক্ত ১২১নং নারায়নপুর মৌজার বারোটা দলিলে প্রায় ২ একর ৬৭ শতক ২৫ পয়েন্ট জমি গ্রহিতা আনিছুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মোঃ হাবিবুর রহমান ২৬২৯/IX-I/২০১৬-২০১৭নং নামজারি কেসের মাধ্যমে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেনের সহযোগীতায় ১৬৭৯নং খতিয়ান ভুক্ত করান। উক্ত খতিয়ানে ২একর ৬৭ শতক ২৫ পয়েন্ট জমির মধ্যে চারটি দলিলের প্রায় ২ একর ১৭.৫০ শতক জমি উক্ত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কাটাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্তৃক জালজালিয়াতি ও অবৈধভাবে ২০১৭-২০১৮ইং সালে মোটা অংকের অর্থের মাধ্যমে গ্রহিতা মোঃ হাবিবুর রহমানের আপন ভাই ও বোনের নিকট থেকে ক্রয় করে। যার ২৯/০৫/২০০৫ তারিখ, দলিল নম্বর- ৩১৬৬, জমি-৩৩ শতাংশ জমি। এই দলিলে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন দাগ সৃষ্টি করে, ০৩/০৪/২০০৫ তারিখ দলিল নম্বর-১৮৫৭, জমি-৯৪.৫০ শতক জমি এই দলিলের ফটোকপিতে কয়েকটি নতুন দাগ সৃষ্টি করেছে। ২৬/০২/২০০৫ তারিখ, দলিল নম্বর-১১১৬, জমি-৪২ শতক, ০৮/০৫/২০০৫ই তারিখ, দলিল নম্বর- ২৪৬৭, জমি- ৪৮ শতক মোট জমি ২ একর ১৭.৫০ শতক সম্পূর্ণ জাল জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে করেছে কাটাখালী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন নামজারি কেসের মাধ্যমে ১৬৭৯নং খতিয়ান ভুক্ত করান। যাহা উক্ত মৌজার ৩১৬৬নং দলিলে জমি দাতা মোছা মেহেরুন্নেছার নাম ১৩১নং খতিয়ানে না থাকলেও উক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আমজাদ হোসেন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে জাল জালিয়াতি প্রতারনা ও দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে উক্ত গ্রহিতার নামে ১৬৭৯নং খতিয়ান ভুক্ত করান। গ্রহিতা মোঃ হাবিবুর রহমান উক্ত মৌজার ৩১৬৬নং দলিলে ২৭৯৫, ২৭৯৬, ২৭৯৭, ২৯০৯, ২৯৫৩ ও ২৮৩০ ফটোকপিতে দাগ সৃষ্টি করে নামপত্তন করেছে। ১৮৫৭নং দলিলে কয়েকটি দাগ সৃষ্টি করে নাম পত্তন করে দিয়েছে যা উক্ত গ্রহিতা উক্ত ৪টি দলিলে দাগসৃষ্টি জমি জাল জালিয়াতি, প্রতারণা ও দূর্নীতির মাধ্যমে ৩১ ধারায় দিয়েছে একবার এবং আর একবার নিয়েছে নামপত্তনের মাধ্যমে।

অন্যদিকে, বাদী আবুল কাশেমের পৈত্রিক ভাগ বাটোয়ারা ১৮১ দাগের সম্পত্তি দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ দখলকৃত অংশ মোঃ আমজাদ হোসেন অন্য শরিকদের অন্য জায়গায় দখলকৃত সম্পত্তি ক্রয় করে লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক আবুল কাশেমের দখলীয় অংশ দখল করে নিয়েছেন। এবং আবুল কাশেমের ভাগ্নি হালিমা খাতুনের নামজারিকৃত খতিয়ান ১৩৩, দাগ নং- ১৬৭ হতে ১.১৫ শতক জমি জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দিচ্ছে।

এছাড়া শেখ শাহাজান, অমলকান্তি বিশ্বাস, সুভাষ চন্দ্র হালদার সহ অনেকের কাছ থেকে অতিরিক্ত খাজনার টাকা গ্রহণ, হয়রানী, অসদাচারণ করেছেন। সেলিনা বেগমের ভিটাবাড়ি নামজারির জন্য ৭ হাজার টাকা নিয়ে খারাপ ব্যবহার এবং হয়রানি করেছেন। এমনকি টাকার দেয়ার কথা কোথাও জানালে ঘর ছাড়া করবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে সিআর-১৯৯/২৩ নং জালিয়াতী মামলা ও বহু অভিযোগ আছে।

দুর্নীতিবাজ ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আমজাদ ও তার স্ত্রীর নামে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। যা দলিল নং-৯৯৪ ও তারিখ-১৪/০২/২০১৭, দলিল নং-৩৫২৫ ও তারিখ-১৪/০৭/২০১৭, দলিল নং-১৪৮৪ ও তারিখ-১৪/০৩/২০১৭, দলিল নং-৭০৩ ও তারিখ-০৫/০২/২০১৭, দলিল নং-৪৮৬ ও তারিখ-২৩/০১/২০১৭, দলিল নং-৫৩৭ ও তারিখ-১৯/০১/২০১৭, দলিল নং-৬২১০ ও তারিখ-১৯/১২/২০১৮, দলিল নং-৬২১৯ ও তারিখ-১৯/১২/২০১৮ দলিলগুলোর মাধ্যমে রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। দুর্নীতিবাজ মোঃ আমজাদ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে গায়ের জোরে টাকা এবং মাস্তান দিয়ে একের পর এক জমির মালিকদের সাথে অন্যায় অবিচার এবং জুলুম করে যাচ্ছে। এলাকার ভুক্তভোগী মানুষ একই কর্মস্থলে ০৯-১০ বছর কর্মরত ইউনিয়ন উপসহকারী ভুমি অফিসার মোঃ আমজাদ হোসেনকে বদলি ওতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দশকাহনিয়া গ্রামের এস, এম শামীমউল আলমসহ বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিয়েছেন। ##