####
সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেড প্রদান ও স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে ২৬ জুন (বুধবার) টানা দ্বিতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন ও দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির আহ্বানে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা। কর্মবিরতি চলাকালে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. তরুণ কান্তি বোস ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর সেহরীশ খান, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আজহারুল ইসলাম এবং অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রভাষক মো. মেহেদী হাসান।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত মে মাস থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে আন্দোলন চলছে। এখনো এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আমরা পাইনি। ২৫ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত অর্ধদিবসব্যাপী কর্মবিরতি চলবে। ৩০ জুন পরীক্ষাকে আওতামুক্ত রেখে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও দাবি পূরণ না হলে ১লা জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি (ক্লাস, পরীক্ষা ও সমস্ত দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে) পালন করা হবে। বক্তারা অবিলম্বে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত না করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রণয়ন এবং সুপার গ্রেড প্রদানের দাবি জানান।