০৭:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুবি উপার্চায্যের পদত্যাগ চায় না শিক্ষার্থীরা : ভিসি কার্যালয়সহ প্রশাসন ভবনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

####

ছাত্র-জনতার গনআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্যদের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে শির্ক্ষাথীরা। সেকানে একমাত্র ব্যতিক্রম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের পদত্যাগ চায় না বিশ্ববিদ্যালয়ের শির্ক্ষাথীরা। রবিবার বিকেলে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করছেন’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সমাবেত হয়ে উপার্চায্যের পদত্যাগ চায় না দাবীতে বিক্ষোভ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের নানা শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকা। এ সময় উপার্চায্য নিজের দপ্তরে অবস্থান করছিলেন। পরে শির্ক্ষাথীরা এক পর্যায়ে উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করে বলে, আমরা জানতে পেরেছি আপনি আজ পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আমরা আপনার পদত্যাগ চাই না। আমরা কেনোভাবেই আপনার পদত্যাগ মেনে নিবো না। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনে অবস্থান করে ‍উপার্চায্যকে পদত্যাগ না করার দাবী জানিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে।

পরে এক পর্যায়ে উপার্চায্য প্রশাসন ভবনের নিচে নেমে শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জহুরুল তানভীর বলেন, আমাদের একটাই দাবি উপার্চায্য স্যারের পদত্যাগ কোনো অবস্থাতেই মেনে নেব না। উপার্চায্য স্যার বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যেভাবে কাজ করছেন সেভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। তাতে যদি কোন বাধা আসে আমরা তা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করবো। উপার্চায্য স্যারের পদত্যাগ বিষয়ে যদি অভ্যন্তরীণ বা বাইরের কোন চাপ থাকে তাও শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে। উপার্চায্য মহোদয় যেন পদত্যাগে বাধ্য না হন- এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপার্চায্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্য শুধু একা নন-এখানে একটি টিম কাজ করে। সে সাথে আছেন উপ-উপার্চায্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বডির সদস্য, শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সবাই একত্রে কাজ করেন। তোমরা যে বিষয় নিয়ে এসেছো-তা আমি ভেবে দেখবো এবং এ বিষয়ে আমি আমার টিমের সাথে কথা বলে তারপর তোমাদের সাথে আবার কথা বলবো। তিনি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, বিক্ষোভ ও বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, আমার শিক্ষকতা জীবনের এটি একটি বড় পাওয়া।

পরে উপাচার্য তার দপ্তরে ফিরে উপ-উপার্চায্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুসসহ শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এদিকে, উপার্চায্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহমুদ হোসেনের বক্তব্যের পর বিক্ষোভরত শির্ক্ষাথীরা ফিরে যান। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আয়মান আহাদ, জহুরুল ইসলাম, ,সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ, আল শাহরিয়ার, মিনহাজুল ইসলাম, বিপুল শাহরিয়ার, সাইফ নেওয়াজ, মো: শাহাবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুবি উপার্চায্যের পদত্যাগ চায় না শিক্ষার্থীরা : ভিসি কার্যালয়সহ প্রশাসন ভবনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত সময় : ০৮:৪৩:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

####

ছাত্র-জনতার গনআন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্যদের অপসারণের দাবীতে বিক্ষোভ, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে শির্ক্ষাথীরা। সেকানে একমাত্র ব্যতিক্রম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের পদত্যাগ চায় না বিশ্ববিদ্যালয়ের শির্ক্ষাথীরা। রবিবার বিকেলে ‘খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করছেন’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সমাবেত হয়ে উপার্চায্যের পদত্যাগ চায় না দাবীতে বিক্ষোভ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের নানা শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন এলাকা। এ সময় উপার্চায্য নিজের দপ্তরে অবস্থান করছিলেন। পরে শির্ক্ষাথীরা এক পর্যায়ে উপাচার্যের কক্ষে প্রবেশ করে বলে, আমরা জানতে পেরেছি আপনি আজ পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আমরা আপনার পদত্যাগ চাই না। আমরা কেনোভাবেই আপনার পদত্যাগ মেনে নিবো না। প্রায় দুই ঘন্টা ধরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনে অবস্থান করে ‍উপার্চায্যকে পদত্যাগ না করার দাবী জানিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে।

পরে এক পর্যায়ে উপার্চায্য প্রশাসন ভবনের নিচে নেমে শিক্ষার্থীদের সামনে আসেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ও পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী জহুরুল তানভীর বলেন, আমাদের একটাই দাবি উপার্চায্য স্যারের পদত্যাগ কোনো অবস্থাতেই মেনে নেব না। উপার্চায্য স্যার বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য যেভাবে কাজ করছেন সেভাবে কাজ চালিয়ে যাবেন। তাতে যদি কোন বাধা আসে আমরা তা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করবো। উপার্চায্য স্যারের পদত্যাগ বিষয়ে যদি অভ্যন্তরীণ বা বাইরের কোন চাপ থাকে তাও শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হবে। উপার্চায্য মহোদয় যেন পদত্যাগে বাধ্য না হন- এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মহামান্য রাষ্ট্রপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপার্চায্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপার্চায্য শুধু একা নন-এখানে একটি টিম কাজ করে। সে সাথে আছেন উপ-উপার্চায্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বডির সদস্য, শিক্ষকবৃন্দ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সবাই একত্রে কাজ করেন। তোমরা যে বিষয় নিয়ে এসেছো-তা আমি ভেবে দেখবো এবং এ বিষয়ে আমি আমার টিমের সাথে কথা বলে তারপর তোমাদের সাথে আবার কথা বলবো। তিনি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, বিক্ষোভ ও বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, আমার শিক্ষকতা জীবনের এটি একটি বড় পাওয়া।

পরে উপাচার্য তার দপ্তরে ফিরে উপ-উপার্চায্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুসসহ শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এদিকে, উপার্চায্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহমুদ হোসেনের বক্তব্যের পর বিক্ষোভরত শির্ক্ষাথীরা ফিরে যান। এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আয়মান আহাদ, জহুরুল ইসলাম, ,সাজ্জাদুল ইসলাম আজাদ, আল শাহরিয়ার, মিনহাজুল ইসলাম, বিপুল শাহরিয়ার, সাইফ নেওয়াজ, মো: শাহাবুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  ##