####

খুলনায় গত ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া টানা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে আসে। এ সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ উঠেছিল। গত ১ মে খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২৯ এপ্রিল খুলনায় গত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হলেও দেখা মেলেনি না খুলনায়। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যায় অবশেষে খুলনায় সেই কাঙ্খিত বৃষ্টি হয়েছে। এতে জনজীবনে স্বস্তি নেমে এসেছে। এদিন দুপুর থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল। কখনো রোদ আবার কখনো মেঘের আনাগোনা ছিল খুলনার আকাশে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। সাড়ে ৬টার দিকে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রবৃষ্টি। বৃষ্টিতে প্রকৃতি শীতল করে দিয়েছে।

বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করে নগরীর শীববাড়ি এলাকার গৃহবধু প্রিয়াংকা ঘোষ বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আজ বিকেল থেকে আকাশে মেঘ ছিল, বাতাসও বইছিল বেশ। খুলনার মানুষের অবশেষে বৃষ্টির অপেক্ষার অবসান হয়েছে। সন্ধ্যায় বৃষ্টি শুরুর পর থেকে আবহাওয়া অনেকটা ঠান্ডা। খুব ভালো লাগছে। ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

বয়রা এলাকার মুদি দোকানের কর্মচারী ইসমাইল হোসেন বলেন, গরমে একেবারেই হাসপাশ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে রোববার থেকে খুলনায় তাপমাত্রা কমেছে। আজকে বৃষ্টির আশায় ছিলাম। সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে। সন্ধ্যায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আবহাওয়া অনেকটা স্বস্তিদায়ক। খুব ভালো লাগছে। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, তীব্র তাপদাহের পর খুলনায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। কত মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে তা বৃষ্টি শেষ হলে জানা যাবে। তবে এদিন বিকেল ৩টায় খুলনায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস জানান তিনি। ##