০১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় আ’লীগ নেতার ষড়যন্ত্রে ১৫ বছরেও এমপিও ভুক্ত হয়নি ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

####

খুলনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার চাচাতো ভাই সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের প্রভাব খাটিয়ে ১৫ বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্তি আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে নগরীর সোনাডঙ্গার তিন আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয় আ’লীগ নেতা মো. কাজী মুনজেদ উদ্দীন আহম্মেদ চাঁন, কাজী মোহাম্মদ মোমতাজ উদ্দীন আকাশ ও কাজী আলিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন আকিমুন সাঈদ বিজ্ঞান প্রযুক্তি স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি  অধ্যক্ষ মুফতি মো. দিদারুল ইসলাম এবং প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ লায়লা ইসলাম। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সোনাডাঙ্গার দারুল আমান মহল্লার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে‌ এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন। এ সময় তারা বলেন, এ তিন জন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়ার কারণে ক্ষমতা প্রদর্শন করে স্কুল এবং কলেজের ক্রয়কৃত জমি রেজিস্ট্রি না দিয়ে ২০০৯ সালে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ২টি যাতে সরকারি এমপিও ভুক্ত না হয় সে জন্য তারা আ’লীগের তৎকালীর এমপি মন্ত্রীদের মাধ্যমে তদবির করে প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্তি বারবার বাতিল করে দিয়েছে।

এ সময় অধ্যক্ষ মুফতি মোঃ দিদারুল ইসলাম বলেন, খুলনা সোনাডাঙ্গা থানাধীন দারুল আমান মহল্লায় আকিমুন সাঈদ বিজ্ঞান প্রযুক্তি স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ এবং আমাদের বসত বাড়ি স্থাপনার জন্য ২০০৫ সালে মোঃ কাজী মুনজেদ উদ্দীন আহম্মেদ চাঁনের কাছ থেকে  ০.১১৫০ একর এবং কাজী আলিম উদ্দীনের কাছ থেকে ০.০৫ একর সহ সর্বমোট ০.১৬৫০ একর জমি ক্রয় করি। নগদ ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে জমির মালিকদেরকে মূল্য পরিশোধ করে চুক্তিপত্র দলিল সম্পন্ন করা হয়। চুক্তিপত্র সম্পন্ন হওয়ার পর স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সাক্ষী স্বরূপ একটি হলফনামা নোটারি পাবলিক হতে রেজিস্ট্রি করে আমাদেরকে প্রদান করেন এবং যথা নিয়মে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সামনে জমির চৌহদ্দী নির্ণয় করে উভয়ের মূল দলিলসহ সকল কাগজপত্র জমির মালিকরা আমাদেরকে হস্তান্তর করেন। আমরা জমির চৌহদ্দী বুঝে পাওয়ার পর জমির চারপাশে পাকা বাউন্ডারি ওয়াল ও সামনে পিছনে দুইটি বড় স্টিলের গেট নির্মাণ করি।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে এসএসসি (ভোকেশনাল) শিক্ষাক্রম ও এইচএসসি (বিএম) শিক্ষাক্রম ২টি অনুমোদন পাই। ২০০৯ সাল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত পাবলিক সমাপনী পরীক্ষায় স্কুল ও কলেজ শিক্ষাক্রম হতে বর্তমান পর্যন্ত সর্বমোট ১৬টি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়। দেড় বছর আগে আ’লীগ নেতা মো. কাজী মুনজেদ উদ্দীন আহম্মেদ চাঁন মারা গেলেও তার ছেলে কাজী মোহাম্মদ মোমতাজ উদ্দীন আকাশও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আসছেন।

২০০৫ সালে জমি ক্রয় বাবদ সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পরও এই পর্যন্ত জমির মালিকদের থেকে জমি রেজিস্ট্রি পাচ্ছি না। শুরু থেকে রেজিস্ট্রির কথা বারবার বলা সত্ত্বেও আজকাল বলে জমির মালিকরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আওয়ামী সরকারের ক্ষমতাবান ব্যক্তি হওয়ার কারণে পেশিশক্তি প্রদর্শন ও দলীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমাদের নামে উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অস্বীকার করে। এবং আমাদের জামায়াত বিএনপির লোক বলে আক্ষায়িত করেন। তাদের ক্ষমতার কারণে আমরা কোথাও অভিযোগ করেও সমাধান পাইনি। বহুবার আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা থানায় জিডিও করেছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা এ বিষয়ের সমাধান কামনা করছি।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

খুলনায় আ’লীগ নেতার ষড়যন্ত্রে ১৫ বছরেও এমপিও ভুক্ত হয়নি ২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

প্রকাশিত সময় : ০৬:৩৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

####

খুলনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার চাচাতো ভাই সাবেক এমপি শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলের প্রভাব খাটিয়ে ১৫ বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্তি আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে নগরীর সোনাডঙ্গার তিন আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে। স্থানীয় আ’লীগ নেতা মো. কাজী মুনজেদ উদ্দীন আহম্মেদ চাঁন, কাজী মোহাম্মদ মোমতাজ উদ্দীন আকাশ ও কাজী আলিম উদ্দীনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন আকিমুন সাঈদ বিজ্ঞান প্রযুক্তি স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি  অধ্যক্ষ মুফতি মো. দিদারুল ইসলাম এবং প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ লায়লা ইসলাম। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সোনাডাঙ্গার দারুল আমান মহল্লার স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে‌ এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন। এ সময় তারা বলেন, এ তিন জন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়ার কারণে ক্ষমতা প্রদর্শন করে স্কুল এবং কলেজের ক্রয়কৃত জমি রেজিস্ট্রি না দিয়ে ২০০৯ সালে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান ২টি যাতে সরকারি এমপিও ভুক্ত না হয় সে জন্য তারা আ’লীগের তৎকালীর এমপি মন্ত্রীদের মাধ্যমে তদবির করে প্রতিষ্ঠানের এমপিও ভুক্তি বারবার বাতিল করে দিয়েছে।

এ সময় অধ্যক্ষ মুফতি মোঃ দিদারুল ইসলাম বলেন, খুলনা সোনাডাঙ্গা থানাধীন দারুল আমান মহল্লায় আকিমুন সাঈদ বিজ্ঞান প্রযুক্তি স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ এবং আমাদের বসত বাড়ি স্থাপনার জন্য ২০০৫ সালে মোঃ কাজী মুনজেদ উদ্দীন আহম্মেদ চাঁনের কাছ থেকে  ০.১১৫০ একর এবং কাজী আলিম উদ্দীনের কাছ থেকে ০.০৫ একর সহ সর্বমোট ০.১৬৫০ একর জমি ক্রয় করি। নগদ ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে জমির মালিকদেরকে মূল্য পরিশোধ করে চুক্তিপত্র দলিল সম্পন্ন করা হয়। চুক্তিপত্র সম্পন্ন হওয়ার পর স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সাক্ষী স্বরূপ একটি হলফনামা নোটারি পাবলিক হতে রেজিস্ট্রি করে আমাদেরকে প্রদান করেন এবং যথা নিয়মে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সামনে জমির চৌহদ্দী নির্ণয় করে উভয়ের মূল দলিলসহ সকল কাগজপত্র জমির মালিকরা আমাদেরকে হস্তান্তর করেন। আমরা জমির চৌহদ্দী বুঝে পাওয়ার পর জমির চারপাশে পাকা বাউন্ডারি ওয়াল ও সামনে পিছনে দুইটি বড় স্টিলের গেট নির্মাণ করি।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড হতে এসএসসি (ভোকেশনাল) শিক্ষাক্রম ও এইচএসসি (বিএম) শিক্ষাক্রম ২টি অনুমোদন পাই। ২০০৯ সাল থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত পাবলিক সমাপনী পরীক্ষায় স্কুল ও কলেজ শিক্ষাক্রম হতে বর্তমান পর্যন্ত সর্বমোট ১৬টি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়। দেড় বছর আগে আ’লীগ নেতা মো. কাজী মুনজেদ উদ্দীন আহম্মেদ চাঁন মারা গেলেও তার ছেলে কাজী মোহাম্মদ মোমতাজ উদ্দীন আকাশও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আসছেন।

২০০৫ সালে জমি ক্রয় বাবদ সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করার পরও এই পর্যন্ত জমির মালিকদের থেকে জমি রেজিস্ট্রি পাচ্ছি না। শুরু থেকে রেজিস্ট্রির কথা বারবার বলা সত্ত্বেও আজকাল বলে জমির মালিকরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আওয়ামী সরকারের ক্ষমতাবান ব্যক্তি হওয়ার কারণে পেশিশক্তি প্রদর্শন ও দলীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমাদের নামে উক্ত জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অস্বীকার করে। এবং আমাদের জামায়াত বিএনপির লোক বলে আক্ষায়িত করেন। তাদের ক্ষমতার কারণে আমরা কোথাও অভিযোগ করেও সমাধান পাইনি। বহুবার আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা থানায় জিডিও করেছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমরা এ বিষয়ের সমাধান কামনা করছি।