০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বৃষ্টি-দমকা হাওয়া, জনজীবনে দূর্ভোগ

####

খুলনায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ সারাদিনই মেঘলা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত সূয্যর দেখা মেলেনি। শুক্রাবার (১৭ নভেম্বর) ভোর থেকে গুড়ি গুড়ি ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। এদিন খুলনায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে বিকেলের দিকে ঘুর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করায় খুলনাঞ্চলে বৃষ্টি হয়নি। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় বিধিলি’র প্রভাবে খুলনা মহানগরীসহ উপকূল এলাকায় মাঝারী আকারের বৃষ্টি হয়েছে। খুলনার উপকূল এলাকায় ঘন্টায় ১০কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বিকালের দিকে উপকূল অতিক্রম করায় বিকেল থেকে খুলনায় কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট পানি বেড়েছে।

এদিকে, ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বৃষ্টি ও কিছুটা দমকা হাওয়ার কারনে নগরীবাসীকে দূভোর্গে পড়তে হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর রাস্তায় তেমন যানবাহন চলাচল করেনি। ছুটির দিন থাকলেও জরুরী প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তারা বিপাকে পড়েছেন। নগরীর কোন কোন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় নগরীবাসীর দূভোর্গে আরও বেড়ে যায়। তবে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারনে খুলনার কোথাও কোন দূঘর্টনা ও ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রধান মোকাবেলায় প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। সকল উপজেলা প্রশাসন বিশেষ উপকূলীয় দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় সাধারন মানুষকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। জেলার সাড়ে ৫শতাধিক সাইক্লোন শেল্টার ও রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্চাসেবীরা প্রস্তুত রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

বাগেরহাটে এ্যাডভোকেট নয়নের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন

খুলনায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বৃষ্টি-দমকা হাওয়া, জনজীবনে দূর্ভোগ

প্রকাশিত সময় : ০৭:৫৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

####

খুলনায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ সারাদিনই মেঘলা। সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত সূয্যর দেখা মেলেনি। শুক্রাবার (১৭ নভেম্বর) ভোর থেকে গুড়ি গুড়ি ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। এদিন খুলনায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তবে বিকেলের দিকে ঘুর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করায় খুলনাঞ্চলে বৃষ্টি হয়নি। খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় বিধিলি’র প্রভাবে খুলনা মহানগরীসহ উপকূল এলাকায় মাঝারী আকারের বৃষ্টি হয়েছে। খুলনার উপকূল এলাকায় ঘন্টায় ১০কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টি বিকালের দিকে উপকূল অতিক্রম করায় বিকেল থেকে খুলনায় কোন বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট পানি বেড়েছে।

এদিকে, ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বৃষ্টি ও কিছুটা দমকা হাওয়ার কারনে নগরীবাসীকে দূভোর্গে পড়তে হয়েছে। সকাল থেকে নগরীর রাস্তায় তেমন যানবাহন চলাচল করেনি। ছুটির দিন থাকলেও জরুরী প্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তারা বিপাকে পড়েছেন। নগরীর কোন কোন এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় নগরীবাসীর দূভোর্গে আরও বেড়ে যায়। তবে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার কারনে খুলনার কোথাও কোন দূঘর্টনা ও ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।

খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রধান মোকাবেলায় প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। সকল উপজেলা প্রশাসন বিশেষ উপকূলীয় দাকোপ, পাইকগাছা ও কয়রা উপজেলায় সাধারন মানুষকে নিরাপদ রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। জেলার সাড়ে ৫শতাধিক সাইক্লোন শেল্টার ও রেডক্রিসেন্টের স্বেচ্চাসেবীরা প্রস্তুত রয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকলকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ##