০৬:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় ছাত্রশিবিরের সাথী সমাবেশ : কেউ জুলুম-অত্যাচার করতে আসলে তাকেও শেখ হাসিনার মত তছনছ করে দেয়া হবে : ছাত্রশিবির সভাপতি

####
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্র-জনতা যেভাবে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে ঠিক সেভাবে জুলুমতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে দেশের প্রতিটি সেক্টরে ইনসাফ কায়েম করার জন্য ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ছাত্রশিবিরের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে নৈতিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ক্যাস্পাসগুলোতে তরুণ ছাত্রসমাজকে মাদক-সন্ত্রাস থেকে দূরে রেখে ইসলামের সুমহান আদর্শের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেকটি জনশক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল জুলুম-বাধা আদর্শিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করেছে, তাই দেশের যে কোন সংকট ও ক্রান্তিকালে ছাত্রশিবির সর্বশক্তি দিয়ে সব ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙা জবাব দিবে। হাসিনার জুলুম যেভাবে তছনছ করে দিয়েছে এই ছাত্র সমাজ। ঠিক সেইভাবে কেউ জুলুম অত্যাচার করতে আসলে তাকেও তছনছ করে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা অঞ্চলের সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রশিবিরের সাথীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ব্যক্তি হিসেবে আরো উন্নত চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর আমাদের দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের দেখে কেউ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির করে না। যারা সাথী বা স্থানীয় দায়িত্বশীল তাদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়। শিক্ষাঙ্গন আজ সন্ত্রাসী মুক্ত তাই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সব শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সেরা পরিবেশ তৈরি করবে। আমাদের সাথে কোন সংগঠনের তুলনা করা হয় না, আর হবেও না। কারণ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আল্লাহর সেরা উপহার। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের পরে আমরা আরো সচেতন থাকবো। ছাত্র আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা রয়েছে তার উদাহরণ রাজশাহী মহানগরী ছাত্র শিবিরের সভাপতি আলী রায়হানের শাহাদাত বরণ। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে যায় না। শাহাদাতের বাসনা থাকে তারা পালায় না। আমাদের আহবান অন্যদের মতো হবে না। মন্দের জবাব ভালো দিয়ে হবে ইনশাআল্লাহ। ক্যাম্পাসে কোন বৈষম্য থাকবে না। জাতি আসলে কি চাই আমরা তা উপহার দিতে চাই। তিনি আরও বলেন, শেষ রাতে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। আর সকাল হলে দাওয়াতি ময়দানে কাজ করতে হবে। বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসকে মনে রাখতে হবে। এ আন্দোলনে কত রক্ত, কত লাশ মর্গে দেখেছি। পরিচয়হীন লাশ। এই ইতিহাস জাতিকে জানাতে হবে। ৪৭, ৫২, ৭১ সর্বশেষ ২৪ সব ইতিহাসকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আমরা কখনো উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসবাদে জড়িত নই আর থাকবো না। কিন্তু যারা এগুলো করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান হবে কঠোর।
কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে ও খুলনা মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের পরিচালনায় সাথী সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক গালিব আব্দুল্লাহ, খুলনা মহানগর সেক্রেটারি এস এম নূরুল্লাহ, সাতক্ষীরা শহর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ইমামুল হোসেন, খুলনা জেলা উত্তর সভাপতি হাফেজ বেলাল হোসাইন রিয়াদ, জেলা দক্ষিণ সভাপতি আবু জার গিফারী, বাগেরহাট জেলা সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফ প্রমুখ। খুলনা মহানগরী, খুলনা জেলা, সাতক্ষীরা জেলা ও বাগেরহাট জেলার দুই সহ¯্রাধিক সাথী উপস্থিত ছিলেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনায় ছাত্রশিবিরের সাথী সমাবেশ : কেউ জুলুম-অত্যাচার করতে আসলে তাকেও শেখ হাসিনার মত তছনছ করে দেয়া হবে : ছাত্রশিবির সভাপতি

প্রকাশিত সময় : ০৯:১০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্র-জনতা যেভাবে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে ঠিক সেভাবে জুলুমতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে দেশের প্রতিটি সেক্টরে ইনসাফ কায়েম করার জন্য ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ছাত্রশিবিরের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে নৈতিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। ক্যাস্পাসগুলোতে তরুণ ছাত্রসমাজকে মাদক-সন্ত্রাস থেকে দূরে রেখে ইসলামের সুমহান আদর্শের পরিচয় তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেকটি জনশক্তিকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর থেকে সকল জুলুম-বাধা আদর্শিক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করেছে, তাই দেশের যে কোন সংকট ও ক্রান্তিকালে ছাত্রশিবির সর্বশক্তি দিয়ে সব ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙা জবাব দিবে। হাসিনার জুলুম যেভাবে তছনছ করে দিয়েছে এই ছাত্র সমাজ। ঠিক সেইভাবে কেউ জুলুম অত্যাচার করতে আসলে তাকেও তছনছ করে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা অঞ্চলের সাথী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রশিবিরের সাথীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ব্যক্তি হিসেবে আরো উন্নত চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর আমাদের দায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলদের দেখে কেউ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির করে না। যারা সাথী বা স্থানীয় দায়িত্বশীল তাদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়। শিক্ষাঙ্গন আজ সন্ত্রাসী মুক্ত তাই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সব শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার সেরা পরিবেশ তৈরি করবে। আমাদের সাথে কোন সংগঠনের তুলনা করা হয় না, আর হবেও না। কারণ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আল্লাহর সেরা উপহার। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আল্লাহর কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেয়। তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়ের পরে আমরা আরো সচেতন থাকবো। ছাত্র আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা রয়েছে তার উদাহরণ রাজশাহী মহানগরী ছাত্র শিবিরের সভাপতি আলী রায়হানের শাহাদাত বরণ। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির মৃত্যুর ভয়ে পালিয়ে যায় না। শাহাদাতের বাসনা থাকে তারা পালায় না। আমাদের আহবান অন্যদের মতো হবে না। মন্দের জবাব ভালো দিয়ে হবে ইনশাআল্লাহ। ক্যাম্পাসে কোন বৈষম্য থাকবে না। জাতি আসলে কি চাই আমরা তা উপহার দিতে চাই। তিনি আরও বলেন, শেষ রাতে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে। আর সকাল হলে দাওয়াতি ময়দানে কাজ করতে হবে। বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাসকে মনে রাখতে হবে। এ আন্দোলনে কত রক্ত, কত লাশ মর্গে দেখেছি। পরিচয়হীন লাশ। এই ইতিহাস জাতিকে জানাতে হবে। ৪৭, ৫২, ৭১ সর্বশেষ ২৪ সব ইতিহাসকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আমরা কখনো উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসবাদে জড়িত নই আর থাকবো না। কিন্তু যারা এগুলো করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান হবে কঠোর।
কেন্দ্রীয় ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে ও খুলনা মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের পরিচালনায় সাথী সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চলের পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় তথ্য সম্পাদক গালিব আব্দুল্লাহ, খুলনা মহানগর সেক্রেটারি এস এম নূরুল্লাহ, সাতক্ষীরা শহর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি ইমামুল হোসেন, খুলনা জেলা উত্তর সভাপতি হাফেজ বেলাল হোসাইন রিয়াদ, জেলা দক্ষিণ সভাপতি আবু জার গিফারী, বাগেরহাট জেলা সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফ প্রমুখ। খুলনা মহানগরী, খুলনা জেলা, সাতক্ষীরা জেলা ও বাগেরহাট জেলার দুই সহ¯্রাধিক সাথী উপস্থিত ছিলেন। ##