১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট, ১৪ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ, জনভোগান্তী চরমে

####

জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ ৩দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছে খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। রোববার সকাল থেকে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন শুরু করে। বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতি যৌথভাবে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।ব্যবসায়ীদের ০৩দফা দাবি হলো-জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭.৫শতাংশ করা এবং ব্যবসায়ীদেরকে কমিশন এজেন্ট হিসেবে সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।

রবিবার দুপুরে নগরীর খালিশপুর নতুন রাস্তার মোড়ের শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসের সামনে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়াতে হবে। তা না হলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না। সেজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছি। এর ফলে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ০৩ ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৪ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩দফা দাবি পূরণে ৩১আগস্ট পযর্ন্ত বেঁধে দিয়ে আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু সরকার দাবি পূরণ না করায় রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে, নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, বয়রা, ফুলবাড়ী গেটের কয়েকটি পেট্রোল পাম্প ঘুরে দেখা যায় সেখানে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। খালিশপুরের ৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। সেখানে কয়েক’শ ট্যাংক-লরি তেল অপেক্ষায় রয়েছে। তেল সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকায় শনিবার রাত থেকেই খুলনার পাম্পগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। কয়েকটি পাম্প ঘুরে দেখা যায় ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল নিয়ে তেলের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন অনেকেই। খুলনার নতুন রাস্তার মোড়ের এলেনা পেট্রোল পাম্পের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। এরআগে গত ২৩ আগস্ট জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ ০৩ দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পযর্ন্ত আল্টিমেটাম দেয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট, ১৪ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ, জনভোগান্তী চরমে

প্রকাশিত সময় : ০৭:২১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

####

জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ ৩দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করছে খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। রোববার সকাল থেকে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন শুরু করে। বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতি যৌথভাবে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।ব্যবসায়ীদের ০৩দফা দাবি হলো-জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭.৫শতাংশ করা এবং ব্যবসায়ীদেরকে কমিশন এজেন্ট হিসেবে সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।

রবিবার দুপুরে নগরীর খালিশপুর নতুন রাস্তার মোড়ের শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসের সামনে বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়াতে হবে। তা না হলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না। সেজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছি। এর ফলে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ০৩ ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৪ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩দফা দাবি পূরণে ৩১আগস্ট পযর্ন্ত বেঁধে দিয়ে আল্টিমেটাম দেয়া হয়। কিন্তু সরকার দাবি পূরণ না করায় রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে, নগরীর খালিশপুর, দৌলতপুর, বয়রা, ফুলবাড়ী গেটের কয়েকটি পেট্রোল পাম্প ঘুরে দেখা যায় সেখানে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। খালিশপুরের ৩টি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা থেকে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। সেখানে কয়েক’শ ট্যাংক-লরি তেল অপেক্ষায় রয়েছে। তেল সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকায় শনিবার রাত থেকেই খুলনার পাম্পগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। কয়েকটি পাম্প ঘুরে দেখা যায় ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল নিয়ে তেলের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন অনেকেই। খুলনার নতুন রাস্তার মোড়ের এলেনা পেট্রোল পাম্পের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। এরআগে গত ২৩ আগস্ট জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানোসহ ০৩ দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পযর্ন্ত আল্টিমেটাম দেয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। ##