১০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কেএমপি সদর দপ্তরে মতবিনিময়  :

খুলনায় তোপের মুখে পুলিশ কমিশনার-রাজনৈতিক নেতারা, পুরিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবী ছাত্রদের

####

খুলনা শহরে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মেট্রোপলিটন পুরিশ কমিশনারের অফিসে মতবিনিময় সভায় ছাত্র নেতাদের চরম তোপের মুখে পেড়েছেন কেএমপি কমিশনার ও রাজনৈতিক নেতারা। এ সময় কমিশনারের পদত্যাগও দাবী করেন ছাত্ররা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কেএমপি সদর দপ্তরে খুলনার রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে কেএমপি। এই সভায়  কেএমপি কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক ও উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাত্রনেতাদের তোপের মুখে পড়েন। কেএমপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।  সভার শুরুতেই ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে কেএমপি কমিশনারকে বলেন, আপনারা এতদিন একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছেন৷ এখন আরেকটা রাজনৈতিক দলের সাথে বসে আমাদের সাথে সভা করার জন্য ডেকেছেন। আপনাদের চাটুকারিতা কমে নাই। আমরা আপনাদের মতো চাটুকার পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলী চাই। আপনারা নিজ বিভাগের মধ্যে সংস্কার করেন। চাটুকারীতা বাদ দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হকের পদত্যাগ দাবি করেন।

এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল মুজাহিদ আকাশ পুলিশ কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে কেন আপনারা আমাদের উপর গুলি চালালেন। ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালানোর আপনারা কে? কার নির্দেশে আপনারা আমাদের উপর গুলি চালালেন?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, প্রয়োজনে ২০ বছর এই জাতীয় সরকার থাকবে। তবে বিএনপি বা আওয়ামী লীগের মত দলকে আমরা ক্ষমতায় চাই না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ার সাথে সাথে তারা লুটপাট শুরু করে দিয়েছে। আমরা এই দেশটা সাজাতে চাই, নষ্ট করতে চাই না।

এ সময় শিক্ষার্থীদের নানামুখী প্রশ্নের প্রেক্ষিতে কেএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের কেন এগুলো করতে হয়েছিল, এই আইনের অধীনে থাকলে তোমরা বুঝতে। প্রেক্ষিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের কর্মকাণ্ডের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক। এক পর্যায়ে সভা শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নেন পুলিশ কমিশনার।

সভায় ট্রেজারি বেঞ্চে পুলিশ কমিশনারের একপাশে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, অন্যপাশের সদস্য সচিব  শফিকুল ইসলাম তুহিনসহ বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা বসা ছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা বলেন, খুলনায় নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের নাম শোনা যাচ্ছে। আপনারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন, সতর্ক হয়ে যান। না হলে আপনাদের অবস্থাও আওয়ামী লীগের মতো হবে।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, সারা শহরে যা হচ্ছে এর সঙ্গে আপনাদের নাম আসছে। আওয়ামী লীগের পরিণতি দেখে আপনারা শিক্ষা নিচ্ছেন না কেন ? আপনারা যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনাদের জন্যই ক্ষতির কারণ হবে।

ছাত্রদের দাবীর প্রেক্ষিতে মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, সাম্প্রতিক যেসব সহিংসতা ঘটেছে এতে যদি বিএনপি’র কোন কর্মী জড়িত থাকে। তবে তাদের অবশ্যই বিচার করা হবে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

কেএমপি সদর দপ্তরে মতবিনিময়  :

খুলনায় তোপের মুখে পুলিশ কমিশনার-রাজনৈতিক নেতারা, পুরিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবী ছাত্রদের

প্রকাশিত সময় : ০৯:০৭:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অগাস্ট ২০২৪
####

খুলনা শহরে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মেট্রোপলিটন পুরিশ কমিশনারের অফিসে মতবিনিময় সভায় ছাত্র নেতাদের চরম তোপের মুখে পেড়েছেন কেএমপি কমিশনার ও রাজনৈতিক নেতারা। এ সময় কমিশনারের পদত্যাগও দাবী করেন ছাত্ররা। বৃহস্পতিবার বিকেলে কেএমপি সদর দপ্তরে খুলনার রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে কেএমপি। এই সভায়  কেএমপি কমিশনার মো: মোজাম্মেল হক ও উপস্থিত রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ছাত্রনেতাদের তোপের মুখে পড়েন। কেএমপি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত সভায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।  সভার শুরুতেই ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে কেএমপি কমিশনারকে বলেন, আপনারা এতদিন একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করেছেন৷ এখন আরেকটা রাজনৈতিক দলের সাথে বসে আমাদের সাথে সভা করার জন্য ডেকেছেন। আপনাদের চাটুকারিতা কমে নাই। আমরা আপনাদের মতো চাটুকার পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলী চাই। আপনারা নিজ বিভাগের মধ্যে সংস্কার করেন। চাটুকারীতা বাদ দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মোজাম্মেল হকের পদত্যাগ দাবি করেন।

এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল মুজাহিদ আকাশ পুলিশ কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে কেন আপনারা আমাদের উপর গুলি চালালেন। ছাত্র-জনতার উপরে গুলি চালানোর আপনারা কে? কার নির্দেশে আপনারা আমাদের উপর গুলি চালালেন?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, প্রয়োজনে ২০ বছর এই জাতীয় সরকার থাকবে। তবে বিএনপি বা আওয়ামী লীগের মত দলকে আমরা ক্ষমতায় চাই না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা ছাড়ার সাথে সাথে তারা লুটপাট শুরু করে দিয়েছে। আমরা এই দেশটা সাজাতে চাই, নষ্ট করতে চাই না।

এ সময় শিক্ষার্থীদের নানামুখী প্রশ্নের প্রেক্ষিতে কেএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের কেন এগুলো করতে হয়েছিল, এই আইনের অধীনে থাকলে তোমরা বুঝতে। প্রেক্ষিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের কর্মকাণ্ডের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান কেএমপি কমিশনার মোজাম্মেল হক। এক পর্যায়ে সভা শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নেন পুলিশ কমিশনার।

সভায় ট্রেজারি বেঞ্চে পুলিশ কমিশনারের একপাশে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, অন্যপাশের সদস্য সচিব  শফিকুল ইসলাম তুহিনসহ বিএনপি ও জামায়াতের নেতারা বসা ছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য করে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা বলেন, খুলনায় নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি ও লুটপাটের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের নাম শোনা যাচ্ছে। আপনারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেন, সতর্ক হয়ে যান। না হলে আপনাদের অবস্থাও আওয়ামী লীগের মতো হবে।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীরা বলেন, সারা শহরে যা হচ্ছে এর সঙ্গে আপনাদের নাম আসছে। আওয়ামী লীগের পরিণতি দেখে আপনারা শিক্ষা নিচ্ছেন না কেন ? আপনারা যদি ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনাদের জন্যই ক্ষতির কারণ হবে।

ছাত্রদের দাবীর প্রেক্ষিতে মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, সাম্প্রতিক যেসব সহিংসতা ঘটেছে এতে যদি বিএনপি’র কোন কর্মী জড়িত থাকে। তবে তাদের অবশ্যই বিচার করা হবে। ##