০৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় পশুরহাটে বড় গরুর আমদানী বেশী-চাহিদা মাঝারি গরুর

####

খুলনায় কোরবানির বিভিন্ন পশুরহাটে বড় গরুর বেশী আমদানী হয়েছে। তবে বেশীরভাগ মানুষের চাহিদা মাঝারি সাইজের গরু। চাহিদা বেশী হওয়ায় মাঝারি সাইজের গরুর দামও চড়া। এতে বড় বড় সাইজের গরু আমাদানীকারকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ সক্ষমতা অনুযায়ী মাঝারি সাইজের গরুর দাম চড়া হওয়ায় হাটগুলোতে গরু কিনতে এসে হতাশ হচ্ছেন। খুলনা মহানগরী ও বিভিন্ন উপজেলার কোরবানির পশুরহাটে ঘুরে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরের দিকে নগরীর জোড়াগেট কোরবানীর পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে দুপুর পর্যন্ত গরুর আমদানি কম ছিল। তবে খুলনার পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকে ট্রাক ও ট্রলার ভর্তি গরু হাটে আসছে। হাটে যত গরুর আমদানী হয়েছে তার মধ্যে বড় গরুর আমদানি অনেক বেশি। ক্রেতা কম থাকায় হাটে বড় গরুর বিক্রি তুলনামূলক কম। অন্যদিকে, মাঝারি সাইজের গরুর আমদানী কম হলেও ক্রেতাদের বেশী চাহিদা মাঝারি সাইজের গরুর। চাহিদা বেশি ও সরবরাহ কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাঝারি সাইজের গরু। শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা সমাগমও প্রচুর। ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই কোথাও। গত বছরের চাইতে চড়া দামে গরু ও ছাগল বিক্রি করে হাসি ফুটেছে খামারী ও ব্যবসায়ীদের মুখে। শনিবার দুপুর পযর্ন্ত হাটে সাড়ে তিনশো গরু এবং ২১৬টি ছাগল বিক্রি হয়েছে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে এবার ভারতীয় গরু আসেনি। এজন্য দেশী গরুর দাম চড়া। হাটে বড় গরুর সংখ্যা বেশি। মাঝারি ও ছোট গরু কম। সেই তুলনায় ক্রেতা অনেক বেশি। সরবরাহ কম থাকায় উচু দর হাকছেন গরু ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন দাম কমাতে। তবে অনেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন শেষ রাতে দাম কমার প্রত্যাশায়।

কালিয়ার গরু ব্যবসায়ী শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ১৩টি গরু এনেছেন। রাতেই মাঝারি সাইজের ৪টি বিক্রি হয়ে গেছে। মাঝারি সাইজের গরু ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন। বড় ৯টি গরুর দাম শুনতে অনেকেই আসছে কিন্তু দাম শুনে চলে যাচ্ছে। তিনি বড় গরু ২ লাখ টাকার কাছাকাছি হলে বিক্রি করবেন।

নগরীর টুটপাড়া থেকে গরু কিনতে হাটে এসেছেন আল মামুন, আমিরুল ইসলাম ও পিটিআই এলাকা থেকে নুরাইন খোন্দকার। তারা জানান, গত দুইদিন ধরে হাটে গরু খুঁজছেন। মাঝারি সাইজের দুই থেকে তিন মন ওজনের গরুর দাম চাইছে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ ২০হাজার টাকা। স্বাভাবিক সময়ে এই গরু ৭০ থেকে পঁচাত্তর হাজার টাকার মধ্যে কেনা যেতো। এখন অপেক্ষা করছি শেষের দিকে দামটা একটু কমে কিনা।

এছাড়া ডুমুরিযার খর্নিয়া পশুর হাট, শাহপুর ও মোস্তফার মোড়, ফুলতলার শিরোমনি, রূপসার পালেরহাট, বটিয়াঘাটার হাটবাটি পশুরহাটে গিয়ে একই রকম অবস্থা দেখা গেছে।

খুলনার জেলা প্রানিসম্পদ অফিসার ডা: মো: শরিফুল ইসলাম জানান, খূলনায় কোরবানির চাহিদার বেশী সংখ্যক গুর ও ছাগল মওজুদ রয়েছে। কোন ঘাটতির সম্ভাবনা নেই। তবে কোন কোন হাটে গরুর আমদানি ও চাহিদার উপর দামও কিছুটা র্নিভর করে, সে কারনে দামের তারতম্য হতে পারে। কোন হাটেই যেন রোগাক্রান্ত ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন ট্যাবলেট ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে যেন গুরু-ছাগল আনতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনায় পশুরহাটে বড় গরুর আমদানী বেশী-চাহিদা মাঝারি গরুর

প্রকাশিত সময় : ১১:০৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

####

খুলনায় কোরবানির বিভিন্ন পশুরহাটে বড় গরুর বেশী আমদানী হয়েছে। তবে বেশীরভাগ মানুষের চাহিদা মাঝারি সাইজের গরু। চাহিদা বেশী হওয়ায় মাঝারি সাইজের গরুর দামও চড়া। এতে বড় বড় সাইজের গরু আমাদানীকারকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।অন্যদিকে, সাধারণ মানুষ সক্ষমতা অনুযায়ী মাঝারি সাইজের গরুর দাম চড়া হওয়ায় হাটগুলোতে গরু কিনতে এসে হতাশ হচ্ছেন। খুলনা মহানগরী ও বিভিন্ন উপজেলার কোরবানির পশুরহাটে ঘুরে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে।

শনিবার দুপুরের দিকে নগরীর জোড়াগেট কোরবানীর পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে দুপুর পর্যন্ত গরুর আমদানি কম ছিল। তবে খুলনার পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকে ট্রাক ও ট্রলার ভর্তি গরু হাটে আসছে। হাটে যত গরুর আমদানী হয়েছে তার মধ্যে বড় গরুর আমদানি অনেক বেশি। ক্রেতা কম থাকায় হাটে বড় গরুর বিক্রি তুলনামূলক কম। অন্যদিকে, মাঝারি সাইজের গরুর আমদানী কম হলেও ক্রেতাদের বেশী চাহিদা মাঝারি সাইজের গরুর। চাহিদা বেশি ও সরবরাহ কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাঝারি সাইজের গরু। শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা সমাগমও প্রচুর। ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা নেই কোথাও। গত বছরের চাইতে চড়া দামে গরু ও ছাগল বিক্রি করে হাসি ফুটেছে খামারী ও ব্যবসায়ীদের মুখে। শনিবার দুপুর পযর্ন্ত হাটে সাড়ে তিনশো গরু এবং ২১৬টি ছাগল বিক্রি হয়েছে। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাটে এবার ভারতীয় গরু আসেনি। এজন্য দেশী গরুর দাম চড়া। হাটে বড় গরুর সংখ্যা বেশি। মাঝারি ও ছোট গরু কম। সেই তুলনায় ক্রেতা অনেক বেশি। সরবরাহ কম থাকায় উচু দর হাকছেন গরু ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন দাম কমাতে। তবে অনেকেই অপেক্ষায় রয়েছেন শেষ রাতে দাম কমার প্রত্যাশায়।

কালিয়ার গরু ব্যবসায়ী শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ১৩টি গরু এনেছেন। রাতেই মাঝারি সাইজের ৪টি বিক্রি হয়ে গেছে। মাঝারি সাইজের গরু ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন। বড় ৯টি গরুর দাম শুনতে অনেকেই আসছে কিন্তু দাম শুনে চলে যাচ্ছে। তিনি বড় গরু ২ লাখ টাকার কাছাকাছি হলে বিক্রি করবেন।

নগরীর টুটপাড়া থেকে গরু কিনতে হাটে এসেছেন আল মামুন, আমিরুল ইসলাম ও পিটিআই এলাকা থেকে নুরাইন খোন্দকার। তারা জানান, গত দুইদিন ধরে হাটে গরু খুঁজছেন। মাঝারি সাইজের দুই থেকে তিন মন ওজনের গরুর দাম চাইছে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ ২০হাজার টাকা। স্বাভাবিক সময়ে এই গরু ৭০ থেকে পঁচাত্তর হাজার টাকার মধ্যে কেনা যেতো। এখন অপেক্ষা করছি শেষের দিকে দামটা একটু কমে কিনা।

এছাড়া ডুমুরিযার খর্নিয়া পশুর হাট, শাহপুর ও মোস্তফার মোড়, ফুলতলার শিরোমনি, রূপসার পালেরহাট, বটিয়াঘাটার হাটবাটি পশুরহাটে গিয়ে একই রকম অবস্থা দেখা গেছে।

খুলনার জেলা প্রানিসম্পদ অফিসার ডা: মো: শরিফুল ইসলাম জানান, খূলনায় কোরবানির চাহিদার বেশী সংখ্যক গুর ও ছাগল মওজুদ রয়েছে। কোন ঘাটতির সম্ভাবনা নেই। তবে কোন কোন হাটে গরুর আমদানি ও চাহিদার উপর দামও কিছুটা র্নিভর করে, সে কারনে দামের তারতম্য হতে পারে। কোন হাটেই যেন রোগাক্রান্ত ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন ট্যাবলেট ও কেমিক্যাল ব্যবহার করে যেন গুরু-ছাগল আনতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। ##