### বৃহত্তর খুলনার বাগেরহাটের ফয়লায় নির্মিতব্য বিমান বন্দর প্রকল্পটি প্রত্যাহার ও বাতিল না করার দাবী জানিয়েছে খুলনা নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার সংগঠনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আ ফ ম মহসীন ও সদস্য সচিব অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার এক বিবৃতিতে বলেন, সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বে (পিপিপি) ভিত্তিত্বে বিমান বন্দরটি নির্মাণ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হলেও কার্যকর বিনিয়োগকারী না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উক্ত প্রকল্পটি প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, এহেন অপ্রত্যাশিত ঘোষণা খুলনা অঞ্চলের মানুষের জন্য খুবই দুঃখজনক ও হতাশাব্যাঞ্জক। এটি কুলনাঞ্চলের মানুষের লালিত স্বপ্ন ভঙ্গও বটে। কার্যকরী বিনিয়োগকারী না পেলে প্রয়োজনে রাজস্ব খাতের আওতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, মোংলা বন্দর, খানজাহান আলীর মাজার, ষাটগু¤ু^জ, সুন্দরবনের পর্যটন, শিল্পনগরীর খুলনার শিল্প-বাণিজ্য সচল রাখা, মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা ও অর্থনৈতিক জোন কার্যকর করা, এ অঞ্চলের প্রখর উর্বরা শক্তিসম্পন্ন বিস্তীর্ণ এলাকা বিবেচনায়Ñসর্বোপরি শিল্প-বাণিজ্যে পদ্ম সেতুর সুফল ভোগ করার জন্য খুলনায় একটি বিমান বন্দর অপরিহার্য। কেননা পদ্ম সেতু নির্মাণের ফলে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সুগমন ও সময়ানুকূল্য হলেও বিশেষ করে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং পর্যটকদের জন্য আরামদায়ক যাতায়াত ও সময় স্বল্পতায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হলে ইতোপূর্বে জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন বাবদ ব্যয় হওয়ায় বিপুল অঙ্কের অর্থের অপচয় হবে এবং অন্যদিকে অধিগ্রহণকৃত জমি অনাবাদি-অব্যবহৃত থাকবে। তাই দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলার গুরুত্ব বিবেচনায় এবং এ অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতি গতিশীল রাখতে খুলনায় একটি বিমান বন্দর সময়ের একান্ত দাবী যা জাতীয় অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। নেতৃদ্বয় এ ব্যাপারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। ##