১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় বিমান বন্দর নির্মাণ ও পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহে বাজেটে অর্থ বরাদ্দের দাবি

####

খুলনায় বিমান বন্দর নির্মাণ ও পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহে আগামী বাজেটে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে ঘিরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যে বিনিয়োগের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা ভিশন-২০৪১ অর্জনে মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে। খুলনার প্রাকৃতিক এবং ভূ-রাজনীতির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সড়ক, রেল, নৌ এবং সমুদ্র পথে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব। এই সমুদ্র বন্দর ও সুন্দরবনকে আবর্তিত করেই সমৃদ্ধ হচ্ছে খুলনা উপকূলের অর্থনীতি। যে জন্য খুলনা এবং মোংলা অর্থনীতির হাব বা কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। পদ্মা সেতুর ইতিবাচক প্রভাব আর্থ-সামাজিক ও আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। এখন প্রয়োজন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। মোংলা বন্দরকে গতিশীল করা এবং সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা মাথায় রেখে ১৯৯৬ সালে ২৭ জানুয়ারি রামপাল উপজেলার মোংলা মহাসড়কের পাশে হযরত খানজাহান আলী (রহ:) বিমান বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৪৪ হেক্টর জমিতে আংশিক মাটি ভরাটের কাজ দিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে আরও ১৫০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে টাকা পরিশোধ করা হয়। সর্বমোট ১৯৪ হেক্টর জমি বিমান বন্দরের জন্য নির্ধারিত থাকলেও খুলনা বিভাগীয় শহর হিসেবে গত ২৭-২৮ বছরেও এই বিমান বন্দর চালু করা সম্ভব হয়নি। পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগে দ্রুততম সময়ে বিনিয়োগকারীদের যাতায়াতের জন্য বন্দর চালু করা এখন সময়ের দাবি। বিমান বন্দর নির্মাণে পিপিপি’র সিদ্ধান্ত বাতিল করে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বিমান বন্দর নির্মাণ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। এই দাবী বাস্তবায়নে আগামী ২০২৪-২৫ র্থ বছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ দেয়ার দাবী জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে বিমান বন্দর নির্মাণ, পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ ও অর্থনৈতিক জোন নির্ধারণের দাবিতে আগামি ২১মে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ আন্দোলনের র্মসূচী ঘোষনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান,

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ মনিরুজ্জামান রহিমসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

খুলনায় বিমান বন্দর নির্মাণ ও পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহে বাজেটে অর্থ বরাদ্দের দাবি

প্রকাশিত সময় : ০৭:২৬:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

####

খুলনায় বিমান বন্দর নির্মাণ ও পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহে আগামী বাজেটে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এ দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে ঘিরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যে বিনিয়োগের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তা ভিশন-২০৪১ অর্জনে মাইল ফলক হিসেবে কাজ করবে। খুলনার প্রাকৃতিক এবং ভূ-রাজনীতির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সড়ক, রেল, নৌ এবং সমুদ্র পথে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে বাণিজ্যিক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব। এই সমুদ্র বন্দর ও সুন্দরবনকে আবর্তিত করেই সমৃদ্ধ হচ্ছে খুলনা উপকূলের অর্থনীতি। যে জন্য খুলনা এবং মোংলা অর্থনীতির হাব বা কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। পদ্মা সেতুর ইতিবাচক প্রভাব আর্থ-সামাজিক ও আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। এখন প্রয়োজন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। মোংলা বন্দরকে গতিশীল করা এবং সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা মাথায় রেখে ১৯৯৬ সালে ২৭ জানুয়ারি রামপাল উপজেলার মোংলা মহাসড়কের পাশে হযরত খানজাহান আলী (রহ:) বিমান বন্দরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ৪৪ হেক্টর জমিতে আংশিক মাটি ভরাটের কাজ দিয়ে শুরু হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে আরও ১৫০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করে টাকা পরিশোধ করা হয়। সর্বমোট ১৯৪ হেক্টর জমি বিমান বন্দরের জন্য নির্ধারিত থাকলেও খুলনা বিভাগীয় শহর হিসেবে গত ২৭-২৮ বছরেও এই বিমান বন্দর চালু করা সম্ভব হয়নি। পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগে দ্রুততম সময়ে বিনিয়োগকারীদের যাতায়াতের জন্য বন্দর চালু করা এখন সময়ের দাবি। বিমান বন্দর নির্মাণে পিপিপি’র সিদ্ধান্ত বাতিল করে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বিমান বন্দর নির্মাণ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। এই দাবী বাস্তবায়নে আগামী ২০২৪-২৫ র্থ বছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ দেয়ার দাবী জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে বিমান বন্দর নির্মাণ, পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ ও অর্থনৈতিক জোন নির্ধারণের দাবিতে আগামি ২১মে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ আন্দোলনের র্মসূচী ঘোষনা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান,

ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ মনিরুজ্জামান রহিমসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ##