১০:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, টিয়ালশেল-লাঠির্চাজে আহত-৩০, আটক অর্ধশতাধিক

####

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের রাজপথে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিলের সময় পুলিশের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে নগরীর সাতরাস্তা মোড়ে অবস্তান নিতে গেলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে এ সংঘর্ষ ময়লাপোতা মোড়, রয়েল মোড়, শান্তিধাম, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, মৌলভিপাড়া, পিটিআই মোড় ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অসংখ্য টিয়ারশেল ছোড়ে ও লাঠর্চাজ করে। এ সময় শির্ক্ষাথীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিজিবিও পুলিশের সাথে যোগ দেয়। এতে ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আন্দোলনকারীরা। সংঘর্ষ এর পর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর নগরীল রয়েল মোড়, সাতরাস্তা ও ময়লাপোতা মোড় এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এরআগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সাতরাস্তা মোড় ও পুরাতন সন্ধ্যাবাজর এলাকায় জড়ো হয়ে  মিছিলের চেষ্টাকালে শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শির্ক্ষাথীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় আন্দোলনকারীরা দুটি প্রাইভেট কার, একটি বাস ও একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করে। এক র্পযায়ে শিক্ষার্থীরা ময়লাপোতা মোড়ের আহসানউল্লাহ কলেজে ঢুকে আশ্রয় নেয়। তারা ভবনের ভেতর একটি কক্ষে প্রবেশ করে তালা লাগিয়ে দেয়। সেখানে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করে ‍পুলিশ। পরে কেএমপি কমিশনার ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদেরকে আটক বা হয়রানি না করতে পুলিশকে র্নিদেশ দেয়। এ সময় ময়লাপোতা মোড়ের দিক থেকে একদল আন্দোলনকালী লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। সেকানে একজনকে তাড়া করে সিটি মেডিকেল কলেজের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা হাসপাতালে ঢুকে একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করে ও ফুটপথের কয়েকটি দোকানও ফেলে দেয়। পরে ‍পুলিশের বিশেষ মটরসাইকেল টিম ধাওয়া দিলে শির্ক্ষাথীরা পিছু হটে যায়। সেখান থেকে পুলিশ ১৫-১৬জনকে আটক করে।

আন্দোলনকারীরা জানান, সারাদেশে নিহত ছাত্রদের হত্যার বিচারের দাবিতে  বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি ছিল। ‍খুলনায় বেলা ১১টায় রয়েল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সকাল থেকে নগরীর রয়েল মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বেলা ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা রয়েল মোড়ের আশপাশে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেই তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের মোবাইল ফোন চেক করে করতে দেখা যায় পুলিশকে।

এ সময় ছাত্রলীগের একটি মিছিল ওই এলাকায় আসলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘাত এড়াতে ময়লাপোতা মোড়ে বিপুল সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

পরে বেলা ২টার দিকে বেশকিছু শিক্ষার্থী লাঠিসোটাসহ শ্রোগান দিতে দিতে ময়রাপোতা মোড় হয়ে সাতরাস্তা মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ দুইদিক থেকে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এ সময় বিজিবি, পুলিশের দুটি এপিসি সাজোয়া যান ও র্নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেখানে উপস্থিত হয়ে শির্ক্ষাথীদেরকে শান্তির্পূণভাবে অবস্থান শেষ করে চলে যেতে বলেন। কিন্তু শির্ক্ষাথীরা মূল সড়ক থ্যাগ না করায় আড়াইটার দিকে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ সশয় শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ শিতলাবাড়ীর দিকে, আরেকটি অংশ ইকবালনগর স্কুলের দিকে এবং অপর একটি অংশ শান্তিধাম মোড়ের দিকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে শির্ক্ষাথীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে তাকে। পরে ক্রমান্বয়ে সংঘর্ষ রয়েল মোড়, শান্তিধাম, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, মৌলভিপাড়া, পিটিআই মোড় এবং ফেরীঘাট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে ভয়ে আতংকে ওই সব এলাকার দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়।

অণ্যদিক, নগরীর ফেরীঘাট ও ডাকবাংলা এলাকা থেকে একটি মিছিল আওয়ামীলীগ অফিসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতার্কমীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। বিকাল ৪টার দিকে ‍বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা শান্তির্পূণভাবে বিক্ষোভ করতে রয়েল মোড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেলের আঘাতে ৩০-৪০জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে। তাদের সন্ধ্যার মধ্যে মুক্তি দেওয়া না হলে আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবো।

খুলনা সদর থানার ওসি মো: কামাল হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার খুলনার আন্দোলনকারী শির্ক্ষাথীরা তাদের সকল কর্মসূচী প্রত্যাহার করে। সে কারনে পুলিশ কোন বিকে।সাভ সমাবেশ করতে না দেয়ার ঘোষনা দেয়। কিন্তু কিছু উশৃঙ্খলকারী পুলিশের উপর পুলিশের উপর হামলা করেছে। সে কারনে পুলিশ আইনগত ব্যভস্থা নিয়েছে। এখন পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খুলনা সার্কিট হাউজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার ১১জন সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের নিয়ে বৈঠক করেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মেয়র, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা। বৈঠকের পর তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সমন্বয়করা কর্মসূচি প্রত্যাহারেরর ঘোষণা দেন।

তবে রাতেই শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রত্যাখান করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্যাডে ‘স্পষ্ট বিবৃতি’ শিরোনামে আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক গ্রুপ ‘কেইউ ইনসাইডার’ এবং ‘থট বিহাইন্ড দ্যা কেইউ’ প্রকাশ করা হয়। এতোদিন এই দুটি গ্রুপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি ঘোষণা এবং প্রকাশ করতেন। স্পষ্ট বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলমান আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট কোনো সমন্বয়ক ছিলো না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে যে প্রেস ব্রিফিং করানো হয়েছে তা নোংরা রাজনীতির অংশ ছাড়া কিছুই নয়। এ অবস্থায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এই বিবৃতি প্রত্যাখান করছি।’ পরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পক্ষ থেকে একই বিবৃতি দেওয়া হয়। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনায় শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, টিয়ালশেল-লাঠির্চাজে আহত-৩০, আটক অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত সময় : ০৯:০১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

####

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের রাজপথে অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিলের সময় পুলিশের সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে নগরীর সাতরাস্তা মোড়ে অবস্তান নিতে গেলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে এ সংঘর্ষ ময়লাপোতা মোড়, রয়েল মোড়, শান্তিধাম, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, মৌলভিপাড়া, পিটিআই মোড় ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অসংখ্য টিয়ারশেল ছোড়ে ও লাঠর্চাজ করে। এ সময় শির্ক্ষাথীদের ছত্রভঙ্গ করতে বিজিবিও পুলিশের সাথে যোগ দেয়। এতে ৩০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আন্দোলনকারীরা। সংঘর্ষ এর পর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর নগরীল রয়েল মোড়, সাতরাস্তা ও ময়লাপোতা মোড় এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এরআগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর সাতরাস্তা মোড় ও পুরাতন সন্ধ্যাবাজর এলাকায় জড়ো হয়ে  মিছিলের চেষ্টাকালে শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শির্ক্ষাথীরা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় আন্দোলনকারীরা দুটি প্রাইভেট কার, একটি বাস ও একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করে। এক র্পযায়ে শিক্ষার্থীরা ময়লাপোতা মোড়ের আহসানউল্লাহ কলেজে ঢুকে আশ্রয় নেয়। তারা ভবনের ভেতর একটি কক্ষে প্রবেশ করে তালা লাগিয়ে দেয়। সেখানে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে হটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করে ‍পুলিশ। পরে কেএমপি কমিশনার ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদেরকে আটক বা হয়রানি না করতে পুলিশকে র্নিদেশ দেয়। এ সময় ময়লাপোতা মোড়ের দিক থেকে একদল আন্দোলনকালী লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। সেকানে একজনকে তাড়া করে সিটি মেডিকেল কলেজের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা হাসপাতালে ঢুকে একটি এ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর করে ও ফুটপথের কয়েকটি দোকানও ফেলে দেয়। পরে ‍পুলিশের বিশেষ মটরসাইকেল টিম ধাওয়া দিলে শির্ক্ষাথীরা পিছু হটে যায়। সেখান থেকে পুলিশ ১৫-১৬জনকে আটক করে।

আন্দোলনকারীরা জানান, সারাদেশে নিহত ছাত্রদের হত্যার বিচারের দাবিতে  বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর জাস্টিস কর্মসূচি ছিল। ‍খুলনায় বেলা ১১টায় রয়েল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সকাল থেকে নগরীর রয়েল মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বেলা ১২টা থেকে শিক্ষার্থীরা রয়েল মোড়ের আশপাশে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলেই তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের মোবাইল ফোন চেক করে করতে দেখা যায় পুলিশকে।

এ সময় ছাত্রলীগের একটি মিছিল ওই এলাকায় আসলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সংঘাত এড়াতে ময়লাপোতা মোড়ে বিপুল সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

পরে বেলা ২টার দিকে বেশকিছু শিক্ষার্থী লাঠিসোটাসহ শ্রোগান দিতে দিতে ময়রাপোতা মোড় হয়ে সাতরাস্তা মোড়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ দুইদিক থেকে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। এ সময় বিজিবি, পুলিশের দুটি এপিসি সাজোয়া যান ও র্নিবাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সেখানে উপস্থিত হয়ে শির্ক্ষাথীদেরকে শান্তির্পূণভাবে অবস্থান শেষ করে চলে যেতে বলেন। কিন্তু শির্ক্ষাথীরা মূল সড়ক থ্যাগ না করায় আড়াইটার দিকে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ সশয় শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ শিতলাবাড়ীর দিকে, আরেকটি অংশ ইকবালনগর স্কুলের দিকে এবং অপর একটি অংশ শান্তিধাম মোড়ের দিকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে শির্ক্ষাথীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে তাকে। পরে ক্রমান্বয়ে সংঘর্ষ রয়েল মোড়, শান্তিধাম, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, মৌলভিপাড়া, পিটিআই মোড় এবং ফেরীঘাট এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এতে ভয়ে আতংকে ওই সব এলাকার দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়।

অণ্যদিক, নগরীর ফেরীঘাট ও ডাকবাংলা এলাকা থেকে একটি মিছিল আওয়ামীলীগ অফিসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতার্কমীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। বিকাল ৪টার দিকে ‍বৃষ্টি শুরু হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা শান্তির্পূণভাবে বিক্ষোভ করতে রয়েল মোড়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেলের আঘাতে ৩০-৪০জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে। তাদের সন্ধ্যার মধ্যে মুক্তি দেওয়া না হলে আমরা স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবো।

খুলনা সদর থানার ওসি মো: কামাল হোসেন জানান, গতকাল মঙ্গলবার খুলনার আন্দোলনকারী শির্ক্ষাথীরা তাদের সকল কর্মসূচী প্রত্যাহার করে। সে কারনে পুলিশ কোন বিকে।সাভ সমাবেশ করতে না দেয়ার ঘোষনা দেয়। কিন্তু কিছু উশৃঙ্খলকারী পুলিশের উপর পুলিশের উপর হামলা করেছে। সে কারনে পুলিশ আইনগত ব্যভস্থা নিয়েছে। এখন পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খুলনা সার্কিট হাউজে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনার ১১জন সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের নিয়ে বৈঠক করেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মেয়র, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা। বৈঠকের পর তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিংয়ে সমন্বয়করা কর্মসূচি প্রত্যাহারেরর ঘোষণা দেন।

তবে রাতেই শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রত্যাখান করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্যাডে ‘স্পষ্ট বিবৃতি’ শিরোনামে আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক গ্রুপ ‘কেইউ ইনসাইডার’ এবং ‘থট বিহাইন্ড দ্যা কেইউ’ প্রকাশ করা হয়। এতোদিন এই দুটি গ্রুপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি ঘোষণা এবং প্রকাশ করতেন। স্পষ্ট বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চলমান আন্দোলনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট কোনো সমন্বয়ক ছিলো না। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে যে প্রেস ব্রিফিং করানো হয়েছে তা নোংরা রাজনীতির অংশ ছাড়া কিছুই নয়। এ অবস্থায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এই বিবৃতি প্রত্যাখান করছি।’ পরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের পক্ষ থেকে একই বিবৃতি দেওয়া হয়। ##