১০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় শিক্ষার্থী-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা দায়ের, আটক ১১জন কারাগারে

####

খুলনায় বুধবার (৩১ জুলাই)পুলিশের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতেই খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করে। পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২০০শতাধিক আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আটক ১১ জনকে বৃহষ্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, নগরীর সদর থানার এসআই হাসানুর রহমান বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায়  ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় বুধবার আটক ৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষের সময় গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সুমন মন্ডল বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোনাডাঙ্গা থানার মামলায় আটক ৫ শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করতে কিছু শির্ক্ষাথী বিভিন্ন সড়কে জড়ো হয়। পরে তারা নগরীর রয়েল মোড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সাত রাস্তা মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় শির্ক্ষাথীরা পুলিশে দিকে ইটপাটকেল ছুড়লে ‍পুলিশও তাদেরকে ধাওয়া দেয়। এ সময় ময়লাপোতা মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে।পরে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কিছু শিক্ষর্অথী আহসানউল্রাহ কলেজে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে।

পরবর্তীতে নিরালা এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে রয়েল মোড় এলাকায় এলে পুলিশ তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে। শিক্ষার্থীরা এ সময় রাস্তায় বসে পড়ে বিভিন্ন শ্রোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে দুপুর সোয়া ২টার দিকে শির্ক্ষাথীদের রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বললে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে শির্ক্ষাথীরা। এ সময় ধাক্কাধাক্কির পর সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় শির্ক্ষাথীরা নগরীর ময়লাপোতা মোড়, শেরে বাংলা রোড, সাতরাস্তা মোড়, শান্তিধাম মোড়, দোলখোলা মোড়, রয়েল মোড়, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, মৌলভীপাড়া মোড় ও টুটপাড়া মোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় ‍পুলিশ ৪৬জনকে আটক ও ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।

পুলিশ জানায়, বুধবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে সোনাডাঙ্গা, খুলনা সদর, খালিশপুর ও দৌলতপুর থেকে ৯০ থেকে ৯৫ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছিল। রাতে যাচাই-বাছাই শেষে শিক্ষার্থীদের তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১১ জনকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম জানান, বুধবারের ঘটনায় আটক শিক্ষার্থীদেরকে রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে অন্য যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদেরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনায় শিক্ষার্থী-পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলা দায়ের, আটক ১১জন কারাগারে

প্রকাশিত সময় : ০৭:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

####

খুলনায় বুধবার (৩১ জুলাই)পুলিশের সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতেই খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করে। পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২০০শতাধিক আসামি করা হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আটক ১১ জনকে বৃহষ্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, নগরীর সদর থানার এসআই হাসানুর রহমান বাদী হয়ে দায়েরকৃত মামলায়  ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় বুধবার আটক ৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষের সময় গাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার এসআই সুমন মন্ডল বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোনাডাঙ্গা থানার মামলায় আটক ৫ শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করতে কিছু শির্ক্ষাথী বিভিন্ন সড়কে জড়ো হয়। পরে তারা নগরীর রয়েল মোড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সাত রাস্তা মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় শির্ক্ষাথীরা পুলিশে দিকে ইটপাটকেল ছুড়লে ‍পুলিশও তাদেরকে ধাওয়া দেয়। এ সময় ময়লাপোতা মোড়ের দিকে যাওয়ার সময় কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর করে।পরে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় কিছু শিক্ষর্অথী আহসানউল্রাহ কলেজে আশ্রয় নিলে সেখান থেকে পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে।

পরবর্তীতে নিরালা এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল করে রয়েল মোড় এলাকায় এলে পুলিশ তাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে রাখে। শিক্ষার্থীরা এ সময় রাস্তায় বসে পড়ে বিভিন্ন শ্রোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে দুপুর সোয়া ২টার দিকে শির্ক্ষাথীদের রাস্তা ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বললে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে শির্ক্ষাথীরা। এ সময় ধাক্কাধাক্কির পর সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় শির্ক্ষাথীরা নগরীর ময়লাপোতা মোড়, শেরে বাংলা রোড, সাতরাস্তা মোড়, শান্তিধাম মোড়, দোলখোলা মোড়, রয়েল মোড়, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, মৌলভীপাড়া মোড় ও টুটপাড়া মোড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় ‍পুলিশ ৪৬জনকে আটক ও ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।

পুলিশ জানায়, বুধবার নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে সোনাডাঙ্গা, খুলনা সদর, খালিশপুর ও দৌলতপুর থেকে ৯০ থেকে ৯৫ জন আন্দোলনকারীকে আটক করা হয়েছিল। রাতে যাচাই-বাছাই শেষে শিক্ষার্থীদের তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১১ জনকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলাম জানান, বুধবারের ঘটনায় আটক শিক্ষার্থীদেরকে রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে অন্য যারা বিশৃঙ্খলা করেছে তাদেরকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  ##