০৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় স্বাধীনতা ও মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

####

খুলনায় স্বাধীনতা ও মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। শনিবার এ দিবস উপলক্ষে প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নগরীর গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে প্রথমে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সদস্যবৃন্দ। পরে  শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, খুলনা বেতার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগ এবং এর অংগ ও সহযোগি সংগঠন, খুলনা প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ।

সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট ও গার্লস গাইড এর অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি’র আয়োজনে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আরোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আলমগীর কবীরের সঞ্চাণলনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংবিধান প্রণেতা এ্যাডভোকেট এনায়েত আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সরদার মাহাবুবার রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নতুন প্রজন্মের নিকট জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন।

এদিকে, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিভাগীয় ও জেলা হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও শিশু পরিবারসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে বেলা দুইটা  হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত  উম্মুক্ত রাখা হয়। জেলা ও উপজেলা সদরে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবল ও কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিনেমা হলে বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ও ফুলতলার দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়।

অন্যদিকে, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা-বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য-দীর্ঘায়ু, জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদযোহর মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

বিজয় দিবসে নগরীর পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে বিকাল তিনটায় নারীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা এবং বিকাল সাড়ে তিনটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে কেসিসি বনাম জেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে প্রদর্শনী ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা তথ্য অফিস শহিদ হাদিস পার্ক, শিববাড়ি মোড় এবং দৌলতপুর শহিদ মিনার চত্বরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে। পূর্ব রূপসাঘাটে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মাজার প্রাঙ্গণে তাঁর বীরত্ব ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে খুলনা বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনায় স্বাধীনতা ও মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

প্রকাশিত সময় : ০৬:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

####

খুলনায় স্বাধীনতা ও মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। শনিবার এ দিবস উপলক্ষে প্রত্যুষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নগরীর গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ৬টায় গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে প্রথমে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড সদস্যবৃন্দ। পরে  শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, খুলনা বেতার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আওয়ামী লীগ এবং এর অংগ ও সহযোগি সংগঠন, খুলনা প্রেসক্লাব, সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ।

সকাল সাড়ে আটটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিশু-কিশোর সংগঠন, কারারক্ষী, বাংলাদেশ স্কাউট, রোভার স্কাউট ও গার্লস গাইড এর অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনার বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন। এ সময় পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। নগরীর শহীদ হাদিস পার্কে খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি’র আয়োজনে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্থিরচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।

দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আরোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ আলমগীর কবীরের সঞ্চাণলনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি জয়দেব চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংবিধান প্রণেতা এ্যাডভোকেট এনায়েত আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সরদার মাহাবুবার রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নতুন প্রজন্মের নিকট জাতীয় পতাকা হস্তান্তর করেন।

এদিকে, বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বিভাগীয় ও জেলা হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রম, এতিমখানা, ডে-কেয়ার, শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও শিশু পরিবারসমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। নৌ-বাহিনীর জাহাজ জনসাধারণের দর্শনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ রকেট ঘাটে বেলা দুইটা  হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত  উম্মুক্ত রাখা হয়। জেলা ও উপজেলা সদরে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের সমাবেশ, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ফুটবল ও কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিনেমা হলে বিনা টিকিটে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর ও ফুলতলার দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র স্মৃতি জাদুঘর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য উম্মুক্ত রাখা হয়।

অন্যদিকে, শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফিরাত এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা-বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুস্বাস্থ্য-দীর্ঘায়ু, জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদযোহর মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

বিজয় দিবসে নগরীর পাইওনিয়ার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে বিকাল তিনটায় নারীদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা এবং বিকাল সাড়ে তিনটায় খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে কেসিসি বনাম জেলা প্রশাসন একাদশের মধ্যে প্রদর্শনী ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা তথ্য অফিস শহিদ হাদিস পার্ক, শিববাড়ি মোড় এবং দৌলতপুর শহিদ মিনার চত্বরে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে। পূর্ব রূপসাঘাটে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মাজার প্রাঙ্গণে তাঁর বীরত্ব ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে খুলনা বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পৃথক পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে। ##