০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানীর উদ্যোগে সাড়া মেলেনি :

খুলনায় ১২ঘন্টার মধ্যেই কোরবানীর পশুর বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ, নগরবাসীর স্বস্তি

####

খুলনা মহানগরীতে ঈদের দিন রাত ১০টার মধ্যেই নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো থেকে কোরবানীর পশুর বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন(কেসিসি)। ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে ৮৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী একযোগে মাঠে কাজ করে ১২ঘন্টার মধ্যেই নগরীর সড়ক ও সেকেন্ডারি স্টেশনগুলো বর্জ্যমুক্ত করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি ঘুরে কোথাও তেমন কোন বর্জের  স্তুপ দেখা যায়নি। এদিকে, এবারও কেসিসি নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানীর উদ্যোগে সাড়া মেলেনি। এ বছর নগরীল রাস্তাঘাট, অলিগলি যেখানে-সেখানে পশু জবাই না করে নগরীর ১৪০টি স্থানে পশু কোরবানীর উদ্যোগ নেয় কেসিসি। কিন্তু এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য কেসিসির তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। সোমবার ঈদের দিন সকাল থেকে দুপুর ও রাতে  নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাসা-বাড়ির সামনে, র্মাকেটের সামনে ও রাস্তার উপর পশু কোরবানী করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই বাড়ির ভেতরেও পশু কোরবানী করেছেন। নগরীর নিরালা আবাসিক, সোনাডাঙ্গা আবাসিক, শেরে-বাংলা রোড, সার্কিট হাউস মাঠের সামনের সড়ক, বড় মির্জাপুর সড়ক, খানজাহান আলী সড়ক, টুটপাড়ার বিভিন্ন সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে সড়কের ওপরেই মানুষ পশু কোরবানী করেছেন। কেসিসির কোন ধরনের নজরদারী লক্ষ্য করা য়ায়নি।

তবে সোমবার ঈদের দিন সকাল থেকেই নগরীতে কেসিসির কঞ্জারভেন্সি বিভাগের বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ তৎপরতা শুরু হয়। প্রথম দিকে বর্জ্য অপসারণে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও বিকাল থেকে দ্রুত কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা।  রাত ১১টা পর্যন্ত কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্জ্য অপসারণ করতে দেখা গেছে। ফলে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও বেশীরভাগ অলিগলি থেকে কোরাবনির পশুর বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ সম্ভব হয়।

কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান জানান, ঈদের দিন সকাল থেকেই কাজ শুরু হলেও দুপুর থেকে পুরোপুরি শ্রমিকরা কাজ শুরু করে। তাদের কার্যক্রম তদারকির জন্য রাত ১১টা পর্যন্ত কর্মকর্তারাও মাঠে ছিলেন। বর্জ্য অপসারণে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ৮৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী, বিভিন্ন সাঈজের ৭৬টি ট্রাক, গারবেজ লোডার, পে-লোডার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। বর্জ্য অপসারণের পর নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে ৪হাজার কেজি ব্লিচিং পাউডার এবং ৪০০ লিটার স্যাভলন ছিটানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও অনেকে পশু কোরবানী করেন। এজন্য বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণে শ্রমিকরা এ দু’দিনও মাঠে থাকবে। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

গোপালগঞ্জে অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু, কথিত ডাক্তার আটক

নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানীর উদ্যোগে সাড়া মেলেনি :

খুলনায় ১২ঘন্টার মধ্যেই কোরবানীর পশুর বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ, নগরবাসীর স্বস্তি

প্রকাশিত সময় : ০৭:১৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

####

খুলনা মহানগরীতে ঈদের দিন রাত ১০টার মধ্যেই নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো থেকে কোরবানীর পশুর বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন(কেসিসি)। ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকে ৮৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী একযোগে মাঠে কাজ করে ১২ঘন্টার মধ্যেই নগরীর সড়ক ও সেকেন্ডারি স্টেশনগুলো বর্জ্যমুক্ত করেছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি ঘুরে কোথাও তেমন কোন বর্জের  স্তুপ দেখা যায়নি। এদিকে, এবারও কেসিসি নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানীর উদ্যোগে সাড়া মেলেনি। এ বছর নগরীল রাস্তাঘাট, অলিগলি যেখানে-সেখানে পশু জবাই না করে নগরীর ১৪০টি স্থানে পশু কোরবানীর উদ্যোগ নেয় কেসিসি। কিন্তু এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য কেসিসির তেমন কোনো তৎপরতা না থাকায় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। সোমবার ঈদের দিন সকাল থেকে দুপুর ও রাতে  নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বাসা-বাড়ির সামনে, র্মাকেটের সামনে ও রাস্তার উপর পশু কোরবানী করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই বাড়ির ভেতরেও পশু কোরবানী করেছেন। নগরীর নিরালা আবাসিক, সোনাডাঙ্গা আবাসিক, শেরে-বাংলা রোড, সার্কিট হাউস মাঠের সামনের সড়ক, বড় মির্জাপুর সড়ক, খানজাহান আলী সড়ক, টুটপাড়ার বিভিন্ন সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে সড়কের ওপরেই মানুষ পশু কোরবানী করেছেন। কেসিসির কোন ধরনের নজরদারী লক্ষ্য করা য়ায়নি।

তবে সোমবার ঈদের দিন সকাল থেকেই নগরীতে কেসিসির কঞ্জারভেন্সি বিভাগের বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ তৎপরতা শুরু হয়। প্রথম দিকে বর্জ্য অপসারণে কিছুটা ধীরগতি থাকলেও বিকাল থেকে দ্রুত কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা।  রাত ১১টা পর্যন্ত কেসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্জ্য অপসারণ করতে দেখা গেছে। ফলে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক ও বেশীরভাগ অলিগলি থেকে কোরাবনির পশুর বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণ সম্ভব হয়।

কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান জানান, ঈদের দিন সকাল থেকেই কাজ শুরু হলেও দুপুর থেকে পুরোপুরি শ্রমিকরা কাজ শুরু করে। তাদের কার্যক্রম তদারকির জন্য রাত ১১টা পর্যন্ত কর্মকর্তারাও মাঠে ছিলেন। বর্জ্য অপসারণে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ৮৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী, বিভিন্ন সাঈজের ৭৬টি ট্রাক, গারবেজ লোডার, পে-লোডার ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। বর্জ্য অপসারণের পর নগরীর ওয়ার্ডগুলোতে ৪হাজার কেজি ব্লিচিং পাউডার এবং ৪০০ লিটার স্যাভলন ছিটানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও অনেকে পশু কোরবানী করেন। এজন্য বর্জ্য ও ময়লা আবর্জনা অপসারণে শ্রমিকরা এ দু’দিনও মাঠে থাকবে। ##