০৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভয়ে তদারকি র্কাযক্রম বন্ধের উপক্রম :

খুলনায় ৩বছরে ওএমএস তদারকির ৯’কর্মকর্তাকে ডিলারদের মারপিট-হয়রানির বিচার ও শাস্তি হয়নি, ওএমএস র্কমসূচীতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা  

####

খুলনায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে খাদ্য বিক্রির তদারকি কর্মকর্তাদের উপর ওএমএস ডিলার ও তাদের সহযোগীদের হামলা, মারপিট ও হয়রানির ঘটনা ঘটেই চলছে। গত তিন বছরে মহানগরীতে ওএমএস ডিলার ও তাদের সহযোগীদের হাতে ৯’খাদ্য তদারকি কর্মকর্তা মারপিট ও লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন।এতে ওএমএস কর্মসূচীর খাদ্য বিক্রি র্কাযক্রম তদারকিতে কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ভীতিকর অবস্থা তৈরী হয়েছে। একই সাথে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে খাদ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, গত ১৫বছরে আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় প্রভাবে ওএমএস ডিলার নিয়োগ পাওয়ায় এসব ডিলাররা রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে তদারকি কর্মকর্তাদের উপর হামলা, মারপিটসহ নানাবিধ অত্যাচার-র্নিযাতন করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরও এসব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ওএমএস ডিলারদের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। ফলে খুলনায় সরকারের অসহায় ও নিন্মআয়ের মানুষের জন্য খাদ্য বান্ধব ওএমএস র্কমসূচীতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দফতর সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ গত ২৭ এপ্রিল বরাদ্ধকৃত চাউল ও আটা অর্ধেক পরিমান দোকানে না আনার প্রতিবাদ করায় খাদ্য পরিদর্শক নাজমুল হাসানকে মারপিট করেন ওএমএস ডিলার আইয়ুব আলী।বানরগাতী ডলফিন মোড়ে এ মারপিটের ঘটনায় ২৮ এপ্রিল মামলাও করেন পরিদর্শক নাজমুল হাসান। পরে এ মারপিটের ঘটনায় বিচার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনসহ আন্দোলন করেন খাদ্য পরিদর্শক সমিতি। খুলনা বিভাগসহ সারা দেশে মারপিটের ঘটনার বিচার ও শাস্তির দাবীতে উত্তাল হয়ে ওঠে খাদ্য পরিদর্শকরা। খাধ্য দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিচার ও শাস্তির আশ্বাস দিলেও সরকার পরিবতর্নের পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এরআগে নিরাপত্তা প্রহরী হারান চন্দ্র বিশ্বাসকে ২০২২ সালের ৫মার্চ বিগত সরকার দলীয় যুব নেতা পরিচয়ে মারপিট করে ওএমএস ডিলার আর.এম. এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহমুদা খাতুনের স্বামী আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ। এ ঘটনায় পরের দিন ৬মার্চ লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও এ মারপিটের কোন বিচার হয়নি। এছাড়াও অনিয়মের প্রতিবাদ করায় খাদ্য পরিদর্শক কাজল রহমানকেও মারপিট করেছিলেন একই ওএমএস ডিলারের স্বামী আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ।

এছাড়া খাদ্য বিক্রয় র্কাযক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অফিসার শেখ মিজানুর রহমানকে ও তদারকি অফিসার সাইফুল ইসলামকে দুই দফায় মারপিট করে ওএমএস ডিলার মেসার্স ইয়ার আলী এন্ড সন্সের মালিক হাফিজুর রহমান মিরাজ ও তার সহযোগীরা।একই সময়ে ওএমএসের খাদ্য বিক্রয় তদারকি অফিসার মাহমুদুল হাসানকে মারপিট করেন ওএমএস ডিলার খালিশপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শারমিন রহমান শিখা।

এদিকে, ২০২৩সালে ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতা শামসুজ্জামান মিয়া স্বপনের হাতে ওএমএসের খাদ্য বিক্রির তদারকির দায়িত্বে থাকা এক অফিসার মারপিটের শিকার হন। একই সালে খাদ্য পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম ও খাদ্য পরিদর্শক বায়েজিদ পৃথক ঘটনায় তদারকির দায়িত্ব পালনের সময় ওএমএস ডিলারের হাতে মারপিটের শিকার হন।

খাদ্য পরিদর্শক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আশরাফুজ্জামান জানান, সরকারের খাদ্য বান্ধন কর্মসূচীর অন্যতম ওএমএস কার্যক্রমের জন্য খাদ্য পরিদর্শকবৃন্দ খুবই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন। অনেক পরিদর্শককে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। তারপরেও ওএমএস ডিলার, স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের দ্বারা প্রতিনিয়ত তদারকি কাজে বাঁধা, হামলার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু খাদ্য পরিদর্শকরা কোন প্রতিকার ও সুষ্ঠ বিচার পাচ্ছেন না। এজন্য ঝুঁকি ও হুমকির মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। খাদ্য পরিদর্শকরা হামলা ও মারপিটের কারনে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ওএমএস র্কাযক্রমের তদারকি হুমকির ‍মুখে পড়েছে। এতে ওএমএস র্কাযক্রমে ব্যাপক অনিয়ম ও র্দূনীতি করছে ওএমএস ডিলাররা। এই অবস্তা চলতে থাকলে খুলনায় সরকারের এ কর্মসূচী ব্যথর্তায় পরিণত হবে। দ্রুত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিচার, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন ও রাজনৈতিকভাবে নিয়োগকৃত ডিলারদের বাতিলের দাবী জানান তিনি।

একাধিক ওএমএস ডিলার ও নাগরিক সমাজের একাধিক প্রতিনিধি জানান, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে দলীয় নেতা পরিচয় দিয়ে নিয়োগ পাওয়া ওএমএস ডিলার বিভিন্ন সময়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য পরিদর্শকসহ খাদ্য বিভাগের অফিসার ও কর্মচারীদের হুমকি-ধামকি, মারপিট ও লাঞ্চিত করে চলেছেন। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না খাদ্য বিভাগ। যে কারনে খাদ্য বিক্রয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্তার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত এসব ঘটনার বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করে ওএমএস কর্মসূচীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দীলয় পরিচয়ে নিয়োগ সকল ডিলার বাতিল করা উচিত।

খুলনা ওএমএস ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, ওএমএস খাদ্য র্কমসূচীর তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্তদের উপর হামলা, মারপিট ও লাঞ্চিতের ঘটনা নিন্দনীয়। এসব ঘটনা তারা সমর্থন করেন না। ওএমএস কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে যারা এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ করেছেন তাদের যথাযথ বিচার ও শাস্তির দাবীও জানান তিনি।

খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণক মো: তাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়েই খাদ্য পরিদর্শকসহ খাদ্য বিভাগের লোকজন ওএমএস ডিলারদের হাতে মারপিটের শিকার ও হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেগুলোর বিচার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হলেও যথাযথ তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় বিচারে অগ্রগতি হয়নি বা দাপতরিক কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। সবশেষ খাদ্য পরিদর্শক নাজমুলের ওপর হামলার ঘটনা তথ্য প্রমাণ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে খাদ্য কর্মকর্তা ও তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্তরা ক্ষুব্ধ রয়েছেন। তারা হামলাকারী ওএমএস ডিলার ও সহযোগীদের বিচার ও শাস্তির দাবীতে আন্দোলনও করেছেন। ইমিধ্যেই বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টির সন্তোষজনক বিচারসহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রত্যাশা করেন তিনি। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

ভয়ে তদারকি র্কাযক্রম বন্ধের উপক্রম :

খুলনায় ৩বছরে ওএমএস তদারকির ৯’কর্মকর্তাকে ডিলারদের মারপিট-হয়রানির বিচার ও শাস্তি হয়নি, ওএমএস র্কমসূচীতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা  

প্রকাশিত সময় : ১০:১৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

খুলনায় সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর আওতায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে খাদ্য বিক্রির তদারকি কর্মকর্তাদের উপর ওএমএস ডিলার ও তাদের সহযোগীদের হামলা, মারপিট ও হয়রানির ঘটনা ঘটেই চলছে। গত তিন বছরে মহানগরীতে ওএমএস ডিলার ও তাদের সহযোগীদের হাতে ৯’খাদ্য তদারকি কর্মকর্তা মারপিট ও লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন।এতে ওএমএস কর্মসূচীর খাদ্য বিক্রি র্কাযক্রম তদারকিতে কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র ভীতিকর অবস্থা তৈরী হয়েছে। একই সাথে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে খাদ্য কর্মকর্তাদের মধ্যে। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, গত ১৫বছরে আওয়ামীলীগ সরকারের দলীয় প্রভাবে ওএমএস ডিলার নিয়োগ পাওয়ায় এসব ডিলাররা রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে তদারকি কর্মকর্তাদের উপর হামলা, মারপিটসহ নানাবিধ অত্যাচার-র্নিযাতন করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরও এসব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ওএমএস ডিলারদের তেমন কোন পরিবর্তন হয়নি। ফলে খুলনায় সরকারের অসহায় ও নিন্মআয়ের মানুষের জন্য খাদ্য বান্ধব ওএমএস র্কমসূচীতে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজ করছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দফতর সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ গত ২৭ এপ্রিল বরাদ্ধকৃত চাউল ও আটা অর্ধেক পরিমান দোকানে না আনার প্রতিবাদ করায় খাদ্য পরিদর্শক নাজমুল হাসানকে মারপিট করেন ওএমএস ডিলার আইয়ুব আলী।বানরগাতী ডলফিন মোড়ে এ মারপিটের ঘটনায় ২৮ এপ্রিল মামলাও করেন পরিদর্শক নাজমুল হাসান। পরে এ মারপিটের ঘটনায় বিচার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনসহ আন্দোলন করেন খাদ্য পরিদর্শক সমিতি। খুলনা বিভাগসহ সারা দেশে মারপিটের ঘটনার বিচার ও শাস্তির দাবীতে উত্তাল হয়ে ওঠে খাদ্য পরিদর্শকরা। খাধ্য দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিচার ও শাস্তির আশ্বাস দিলেও সরকার পরিবতর্নের পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এরআগে নিরাপত্তা প্রহরী হারান চন্দ্র বিশ্বাসকে ২০২২ সালের ৫মার্চ বিগত সরকার দলীয় যুব নেতা পরিচয়ে মারপিট করে ওএমএস ডিলার আর.এম. এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহমুদা খাতুনের স্বামী আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ। এ ঘটনায় পরের দিন ৬মার্চ লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও এ মারপিটের কোন বিচার হয়নি। এছাড়াও অনিয়মের প্রতিবাদ করায় খাদ্য পরিদর্শক কাজল রহমানকেও মারপিট করেছিলেন একই ওএমএস ডিলারের স্বামী আসাদুজ্জামান খান রিয়াজ।

এছাড়া খাদ্য বিক্রয় র্কাযক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অফিসার শেখ মিজানুর রহমানকে ও তদারকি অফিসার সাইফুল ইসলামকে দুই দফায় মারপিট করে ওএমএস ডিলার মেসার্স ইয়ার আলী এন্ড সন্সের মালিক হাফিজুর রহমান মিরাজ ও তার সহযোগীরা।একই সময়ে ওএমএসের খাদ্য বিক্রয় তদারকি অফিসার মাহমুদুল হাসানকে মারপিট করেন ওএমএস ডিলার খালিশপুর থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শারমিন রহমান শিখা।

এদিকে, ২০২৩সালে ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতা শামসুজ্জামান মিয়া স্বপনের হাতে ওএমএসের খাদ্য বিক্রির তদারকির দায়িত্বে থাকা এক অফিসার মারপিটের শিকার হন। একই সালে খাদ্য পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম ও খাদ্য পরিদর্শক বায়েজিদ পৃথক ঘটনায় তদারকির দায়িত্ব পালনের সময় ওএমএস ডিলারের হাতে মারপিটের শিকার হন।

খাদ্য পরিদর্শক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আশরাফুজ্জামান জানান, সরকারের খাদ্য বান্ধন কর্মসূচীর অন্যতম ওএমএস কার্যক্রমের জন্য খাদ্য পরিদর্শকবৃন্দ খুবই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে থাকেন। অনেক পরিদর্শককে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়। তারপরেও ওএমএস ডিলার, স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের দ্বারা প্রতিনিয়ত তদারকি কাজে বাঁধা, হামলার শিকার হচ্ছেন। কিন্তু খাদ্য পরিদর্শকরা কোন প্রতিকার ও সুষ্ঠ বিচার পাচ্ছেন না। এজন্য ঝুঁকি ও হুমকির মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। খাদ্য পরিদর্শকরা হামলা ও মারপিটের কারনে কাজ করতে ভয় পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ওএমএস র্কাযক্রমের তদারকি হুমকির ‍মুখে পড়েছে। এতে ওএমএস র্কাযক্রমে ব্যাপক অনিয়ম ও র্দূনীতি করছে ওএমএস ডিলাররা। এই অবস্তা চলতে থাকলে খুলনায় সরকারের এ কর্মসূচী ব্যথর্তায় পরিণত হবে। দ্রুত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে বিচার, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন ও রাজনৈতিকভাবে নিয়োগকৃত ডিলারদের বাতিলের দাবী জানান তিনি।

একাধিক ওএমএস ডিলার ও নাগরিক সমাজের একাধিক প্রতিনিধি জানান, বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে দলীয় নেতা পরিচয় দিয়ে নিয়োগ পাওয়া ওএমএস ডিলার বিভিন্ন সময়ে খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য পরিদর্শকসহ খাদ্য বিভাগের অফিসার ও কর্মচারীদের হুমকি-ধামকি, মারপিট ও লাঞ্চিত করে চলেছেন। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না খাদ্য বিভাগ। যে কারনে খাদ্য বিক্রয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্তার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত এসব ঘটনার বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করে ওএমএস কর্মসূচীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং দীলয় পরিচয়ে নিয়োগ সকল ডিলার বাতিল করা উচিত।

খুলনা ওএমএস ডিলার সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, ওএমএস খাদ্য র্কমসূচীর তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্তদের উপর হামলা, মারপিট ও লাঞ্চিতের ঘটনা নিন্দনীয়। এসব ঘটনা তারা সমর্থন করেন না। ওএমএস কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আনতে যারা এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ করেছেন তাদের যথাযথ বিচার ও শাস্তির দাবীও জানান তিনি।

খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণক মো: তাজুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়েই খাদ্য পরিদর্শকসহ খাদ্য বিভাগের লোকজন ওএমএস ডিলারদের হাতে মারপিটের শিকার ও হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেগুলোর বিচার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হলেও যথাযথ তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় বিচারে অগ্রগতি হয়নি বা দাপতরিক কোন ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। সবশেষ খাদ্য পরিদর্শক নাজমুলের ওপর হামলার ঘটনা তথ্য প্রমাণ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে খাদ্য কর্মকর্তা ও তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্তরা ক্ষুব্ধ রয়েছেন। তারা হামলাকারী ওএমএস ডিলার ও সহযোগীদের বিচার ও শাস্তির দাবীতে আন্দোলনও করেছেন। ইমিধ্যেই বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টির সন্তোষজনক বিচারসহ যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রত্যাশা করেন তিনি। ##