০৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার এবার ৯৯১টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব, কঠোর নিরাপত্তার প্রস্তুতি

####

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় খুলনা জেলা ও মহানগরে ৯৯১টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে খুলনা মহানগরই ১০১টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১১৩টি, ডুমুরিয়ায় ২১৪টি তেরখাদায় ১০৭টি, পাইকগাছায় ১৫৫টি, দাকোপে ৮৪টি, দিঘলিয়ায় ৬৩টি, ফুলতলায় ৩৪টি, রূপসায় ৭৪টি এবং কয়রা উপজেলায় ৪৬টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সংখ্যা আর বৃদ্ধি পেতে পারে। মঙ্গলবার(২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও আনন্দময় হবে দুর্গোৎসব। দুর্গাপূজা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর সাথে সামাজিক সৌর্হাদ্য যুক্ত হলে একটি প্রাণবন্ত উৎসব উদযাপিত হবে। ভালোবাসা আর সাম্যের বন্ধন নিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা এই উৎসবে অংশ নেব।

সভায় খুলনা পূজা উদযাপন পরিষদের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পূজা শুরুর আগে থেকে যৌথবাহিনীর টহল বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। একই সাথে তারা পূঁজা পরিষদের নেতাদেরকে হয়রানিমূলক মামলা হতে পরিত্রাণের আহবান জানান।

প্রস্তুতি সভায় আরও জানানো হয়,  স্বরাষ্ট্র এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা মতে সকল পূজা মন্ডপে আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। এরসাথে সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ যৌথবাহিনী পূজা শুরুর আগে থেকে শুরু করে পূজার দিনগুলোতেও টহল দেবে। পূজা মন্ডপে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রতীমা বিসর্জনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ থাকবে। ডিসি অফিস, ইউএনও এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ২৪ ঘন্টা চালু রেখে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।

প্রস্তুতি সভায় পুলিশ সুপার টি,এম, মোশাররফ হোসেন, খুলনা সদর ও মহানগরের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো. আলিফ, নৌবাহিনীর লেঃ কমান্ডার এম এস আরেফীন, কোস্টগার্ডের লেঃ কমান্ডার নূরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মো. ইউসুপ আলী, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মীর আলিফ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকারসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, র‌্যাব, এনএসআই প্রতিনিধি এবং মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহাসহ খুলনার নয়টি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

মোংলায় জোরপূর্বক ক্রয়কৃত জমি দখলের অভিযোগ

খুলনার এবার ৯৯১টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব, কঠোর নিরাপত্তার প্রস্তুতি

প্রকাশিত সময় : ১১:৪৬:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় খুলনা জেলা ও মহানগরে ৯৯১টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে খুলনা মহানগরই ১০১টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বটিয়াঘাটা উপজেলায় ১১৩টি, ডুমুরিয়ায় ২১৪টি তেরখাদায় ১০৭টি, পাইকগাছায় ১৫৫টি, দাকোপে ৮৪টি, দিঘলিয়ায় ৬৩টি, ফুলতলায় ৩৪টি, রূপসায় ৭৪টি এবং কয়রা উপজেলায় ৪৬টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই সংখ্যা আর বৃদ্ধি পেতে পারে। মঙ্গলবার(২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও আনন্দময় হবে দুর্গোৎসব। দুর্গাপূজা সুন্দরভাবে আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর সাথে সামাজিক সৌর্হাদ্য যুক্ত হলে একটি প্রাণবন্ত উৎসব উদযাপিত হবে। ভালোবাসা আর সাম্যের বন্ধন নিয়ে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা এই উৎসবে অংশ নেব।

সভায় খুলনা পূজা উদযাপন পরিষদের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পূজা শুরুর আগে থেকে যৌথবাহিনীর টহল বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। একই সাথে তারা পূঁজা পরিষদের নেতাদেরকে হয়রানিমূলক মামলা হতে পরিত্রাণের আহবান জানান।

প্রস্তুতি সভায় আরও জানানো হয়,  স্বরাষ্ট্র এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা মতে সকল পূজা মন্ডপে আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। এরসাথে সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ যৌথবাহিনী পূজা শুরুর আগে থেকে শুরু করে পূজার দিনগুলোতেও টহল দেবে। পূজা মন্ডপে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রতীমা বিসর্জনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ থাকবে। ডিসি অফিস, ইউএনও এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ২৪ ঘন্টা চালু রেখে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।

প্রস্তুতি সভায় পুলিশ সুপার টি,এম, মোশাররফ হোসেন, খুলনা সদর ও মহানগরের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো. আলিফ, নৌবাহিনীর লেঃ কমান্ডার এম এস আরেফীন, কোস্টগার্ডের লেঃ কমান্ডার নূরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক মো. ইউসুপ আলী, আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মীর আলিফ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকারসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, র‌্যাব, এনএসআই প্রতিনিধি এবং মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহাসহ খুলনার নয়টি উপজেলার পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। ##