### খুলনার ডুমুরিয়ায় কতিপয় প্রভাবশালী মৎস্য ঘের মালিক কর্তৃক স্লুইস গেট দিয়ে বিলে লবন পানি তুলে বোরো ধান নষ্ট করার প্রতিবাদে মানব বন্ধন, প্রতিবাদ সভা এবং স্লুইস গেটের মুখে মাটি ফেলে লবন পানি উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মাগুরখালী ইউনিয়নের গজালিয়া, খোরেরাবাদ,হোগলাবুনিয়া এবং পারমাদারতলা গ্রামের বোরো ধান চাষীদের উদ্যোগে গজালিয়া সার্ব্বজনীন পুজা মন্ডপ চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজ সেবক সুজিত মন্ডল। প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্যদেন আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রতাপ রায়। আরো বক্তব্য দেন ধান চাষী এরশাদ আলী সরদার, শফিকুল ইসলাম, বিমল কৃষ্ণ সানা, বিজন সরকার, মিন্টু সরদার, দিপক মন্ডল, কোমল বৈরাগী, কাজল বৈরাগী, মুকেশ তরফদার প্রমূখ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তাগন বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে মাগুরখালী এলাকায় আমরা দীর্ঘ দিন ধরে লবন পানিতে মাছ চাষ করে আসছি। কিন্ত বিগত কয়েক বছর যাবত ধান চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কারনে এলাকার সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ ধান চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে ধান চাষ করে আসছেন।এলাকার বেশীর ভাগ মানুষ বোরো মৌসুমে ধান চাষ করার পরে মাছ চাষ করে থাকেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ডিসেম্বর মাসে এবারও চাষীরা ধান চাষে উদ্বুদ্ধ হলে ধান চাষী ও কতিপয় মাছ চাষীদের মধ্যে একটা বিরোধের সুত্রপাত হয়। বিষয়টি নিয়ে তখন ধান চাষের পক্ষের চাষীরা স্হানীয় সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হই। এমপি মহোদয় আমাদের সমস্যার কথা শুনে জানিয়ে দেন ‘বিলে যদি একজন লোকও ধান লাগায় তাহলে তাকে ধান লাগাতে বলো। এখন বিলে কোন লবন পানি উঠানো যাবেনা। ধান উঠে গেলে তারপর মাছ চাষ করতে হবে। এমপি স্যারের কথায় আশ্বস্ত হয়ে আমরা ধান চাষীরা উদ্ধবুদ্ধ হয়ে বীজতলা করলে কে বা কারা রাতের আধারে স্লুইজ গেটের কপাট খুলে দিয়ে বিলে জোয়ারের লবন পানি তুলে অনেকের বীজতলা নষ্ট করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি পৃথক লিখিত অভিযোগ দেই কিন্ত দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততার কারণে গত এক সপ্তাহ যাবৎ মাছ চাষীরা তালতলা নদীর স্লুইস গেট দিয়ে তাদের ঘেরে লবন পানি তোলায় বিলের খাল এবং ধান চাষীদের ক্ষেতে লবন পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশংখা দেখা দিয়েছে। যে কারণে আজ আমরা ধান চাষীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিলে লবন পানি ঢোকানো রোধ কল্পে ৬নং আমড়বুনিয়া স্লুইস গেটের ভাঙ্গা কপাটের সামনে আপাতত মাটি দিয়ে ভরাট করে রাখার। সভা শেষে এলাকার শত শত নারী পুরুষ স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে স্লুইস গেটের মুখে মাটি ফেলে বাঁধ তৈয়ারীর মাধ্যমে লবন পানি ঢুকানো রোধ করেন।##
অফিস : ৬৯/৭০ কেসিসি সুপার মার্কেট ( ২য় তলা ) খুলনা সদর, খুলনা। প্রকাশক - সম্পাদক : সুনীল দাস বার্তা সম্পাদক : তরিকুল ইসলাম ডালিম চিফ রিপোর্টার : মোঃ নাঈমুজ্জামান শরীফ । যোগাযোগ : dainikmadhumati@gmail.com, newsdainikmadhumoti@gmail.com Office No : Editor : 01712680702 / 01912067948
© All rights reserved by www.dainikmadhumati.com (Established in 2022)