### খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের আলোচিত নার্সিক ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় অন্ত:সত্বা গৃহবধু মুন্নি বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত দোষীদের শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের ডুমুরিয়া বাস স্ট্যান্ডে ডুমুরিয়া বাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানব বন্ধন কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন স্হানীয় ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন ফকির। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যদেন আ’লীগ নেতা নজরুল ইসলাম খান,যুবলীগ নেতা শেখ ইকবাল হোসেন,মোঃ জাকির হোসেন,সেলিনা বেগম,আরিফ হোসেন, মোজাহার আলী,শহিদুল ইসলাম,মজিদ গাজী, রফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তাগণ বলেন, ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ের খাজুরা গ্রামের দিনমজুর রফিক শেখের স্ত্রী অন্ত:স্বত্বা গৃহবধূ মুন্নী বেগম অসুস্হতা নিয়ে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী ডুমুরিয়া সদরের নার্গিস ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হন। তারা অভিযোগ করে বলেন, ক্লিনিকের মালিক নার্গিস বেগম ও ম্যানেজার মহসিন খান স্বেচ্ছাচারি মূলক ভাবে মুন্নি বেগম কে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শেখ সুফিয়ান রুস্তম কে ক্লিনিকে ডেকে এনে এ্যাপানটিস অপারেশন করান। অপারেশনের পর থেকেই মুন্নী অসুস্থ হতে থাকে। এক পর্যায়ে তার অবস্হা সংকটাপন্ন হলে গত ১০ মার্চ তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মুন্নির অবস্হা আশংকা জনক হলে গত ২৯ মার্চ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। দীর্ঘ দেড় মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মুন্নি বেগম গত ২ এপ্রিল ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্হায় মুন্নি মৃত্যু বরণ করেন।
এদিকে, দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে যেয়ে দিনমজুর রফিক শেখ একদিকে সবকিছু হারিয়ে সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে সকল প্রকার চিকিৎসা ব্যর্থ হওয়ায় এখন তিনি নির্বিকার। মুন্নীর ৭ বছরের অবুঝ একমাত্র শিশু পুত্র সাদিক মাকে হারিয়ে নির্বিকার। মানব বন্ধন কর্মসূচীতে বাবার কোলে চড়ে ‘আমার মা কবরে,খুনি কেন বাইরে’ লেখা সম্বলিত প্লাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানায় শিশু সাদিক। নিহত মুন্নির স্বামী রফিক বলেন, আমার স্ত্রী মুন্নিকে ভুল চিকিৎসা দিয়ে নার্গিস ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষ হত্যা করেছে,আমি আমার স্ত্রীর হত্যাকান্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবি করছি।##