০৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার তিন ডিপো থেকে জ্বালানী তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ, দাবী পুরনের আশ্বাসে স্থগিত

####

জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির আশ্বাস বাস্তাবায়ন না হওয়ায় খুলনার ০৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন শুরু করেছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। রোববার(০১অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে সরকারী পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিন জ্বালানী তেল ডিপোর তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে এই ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা। ফলে ০৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও খুলনাসহ ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পযর্ন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ধর্মঘটী ব্যসায়ী ও শ্রমিকরা। জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো ছিল- ডিজেলের ০২ ভাগ, পেট্রোলের ০৩ ভাগ এবং অকটেনের ০৪ ভাগ কমিশন বৃদ্ধি করে সাড়ে ০৭ ভাগ করা, তাদেরকে শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে, এছাড়া পুরাতন ট্যাংক-লরির জীবনকাল ২৫ বছর থেকে বাড়াতে হবে।

রবিবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে গত দুই বছর ধরে নানান কর্মসূচি পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারীভাবে কমিশন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ৩০সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেটির বাস্তবায়নের ওয়াদা করা হয়েছিল। কিন্তু সে সময় পার হয়ে গেলেও এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। শুধু গেজেট প্রকাশ নয় তাদের দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পযর্ন্ত এ ধর্মঘট চলবে।

তিনি আরও জানান, গত ০৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বৃদ্ধির দাবিতেই তেল উত্তোলন বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করে জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা। এরপর সরকারের আশ্বাসে শেষ পযর্ন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের পর ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় তেল বিক্রির কমিশন বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরআগে ডিজেলের ০২ শতাংশ, পেট্রোলের ০৩ শতাংশ এবং অকটেনের ০৪ শতাংশ কমিশন ছিল ব্যবসায়ীদের জন্য। কিন্তু সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রতি ১০০ টাকার অকটেন বিক্রিতে পাম্প মালিকরা চার টাকা ২৮ পয়সা, পেট্রোল বিক্রিতে ০৪ টাকা ৩৪ পয়সা, কেরোসিনে ০২ টাকা, এবং ডিজেলে ০২ টাকা ৮৫ পয়সা কমিশন পাবে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তা সে প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন না হওয়ায় ধর্মঘটে তারা বাধ্য হয়েছেন।  ধর্মঘটের ফলে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদাহসহ ১৫জেলায় তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে র্বোগে পড়েছে সাধারন গাড়ী মালিক ও চালকরা।

এদিকে, রাত সাড়ে নয়টার দিকে দাবী পুরনের আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করেছে তেল ব্যবসায়ীরা। খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন ধর্মঘট স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। #

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনার তিন ডিপো থেকে জ্বালানী তেল উত্তোলন ও ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ, দাবী পুরনের আশ্বাসে স্থগিত

প্রকাশিত সময় : ০১:৫১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

####

জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির আশ্বাস বাস্তাবায়ন না হওয়ায় খুলনার ০৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন শুরু করেছে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। রোববার(০১অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে সরকারী পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিন জ্বালানী তেল ডিপোর তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে এই ধর্মঘট শুরু করেছেন তারা। ফলে ০৩ ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও খুলনাসহ ১৫ জেলায় জ্বালানি তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পযর্ন্ত এ ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ধর্মঘটী ব্যসায়ী ও শ্রমিকরা। জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীদের দাবিগুলো ছিল- ডিজেলের ০২ ভাগ, পেট্রোলের ০৩ ভাগ এবং অকটেনের ০৪ ভাগ কমিশন বৃদ্ধি করে সাড়ে ০৭ ভাগ করা, তাদেরকে শিল্প থেকে বাদ দিয়ে কমিশন এজেন্ট ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে হবে, এছাড়া পুরাতন ট্যাংক-লরির জীবনকাল ২৫ বছর থেকে বাড়াতে হবে।

রবিবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধির দাবিতে গত দুই বছর ধরে নানান কর্মসূচি পালন করেছে ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকারীভাবে কমিশন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ৩০সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেটির বাস্তবায়নের ওয়াদা করা হয়েছিল। কিন্তু সে সময় পার হয়ে গেলেও এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি। শুধু গেজেট প্রকাশ নয় তাদের দাবির বাস্তবায়ন করতে হবে। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পযর্ন্ত এ ধর্মঘট চলবে।

তিনি আরও জানান, গত ০৩ সেপ্টেম্বর কমিশন বৃদ্ধির দাবিতেই তেল উত্তোলন বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করে জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা। এরপর সরকারের আশ্বাসে শেষ পযর্ন্ত ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় ব্যবসায়ীরা। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের পর ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় তেল বিক্রির কমিশন বাড়িয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এরআগে ডিজেলের ০২ শতাংশ, পেট্রোলের ০৩ শতাংশ এবং অকটেনের ০৪ শতাংশ কমিশন ছিল ব্যবসায়ীদের জন্য। কিন্তু সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রতি ১০০ টাকার অকটেন বিক্রিতে পাম্প মালিকরা চার টাকা ২৮ পয়সা, পেট্রোল বিক্রিতে ০৪ টাকা ৩৪ পয়সা, কেরোসিনে ০২ টাকা, এবং ডিজেলে ০২ টাকা ৮৫ পয়সা কমিশন পাবে বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তা সে প্রজ্ঞাপন বাস্তবায়ন না হওয়ায় ধর্মঘটে তারা বাধ্য হয়েছেন।  ধর্মঘটের ফলে খুলনা, যশোর, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাগুরা, ঝিনাইদাহসহ ১৫জেলায় তেল পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে র্বোগে পড়েছে সাধারন গাড়ী মালিক ও চালকরা।

এদিকে, রাত সাড়ে নয়টার দিকে দাবী পুরনের আশ্বাসে ধর্মঘট স্থগিত করেছে তেল ব্যবসায়ীরা। খুলনা বিভাগীয় জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন ধর্মঘট স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। #