১০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনার দিঘলিয়ায় মায়ের স্মৃতি বিজড়িত জমিতে ছোট বোনকে সাথে নিয়ে ঘুরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

###    খুলনার দিঘলিয়ায় মায়ের স্মৃতি বিজড়িত জমিতে ছোট বোনকে সাথে নিয়ে ঘুরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকেলে দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা চার বিঘা জমি ও পাঠ গোডাউন ঘুরে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বোন শেখ রেহেনাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন ব্যক্তিগত সফরে বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে খুলনার রূপসার খানজাহান আলী সেতু পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে রেলিগেট সড়ক হয়ে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি নগরঘাট ফেরি পার হয়ে বিকেল ৪টায় তার মায়ের নামে কেনা জমি ও পাট গোডাউন দেখতে যান। সেখানে তিনি প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করেন। এ সময় মায়ের নামে কেনা জমি ও সেখানের স্থাপনা বিষয়ে খোজখবর নেন শেখ হাসিনা।

পরে দিঘলিয়ার নগরঘাটা থেকে প্রধানমন্ত্রী খুলনা মহানগরীর শেরে বাংলা রোডে অবস্থিত ছোট চাচা শহীদ শেখ আবু নাসেরের বাড়িতে যান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু খুলনায় এসে এ বাড়িতে অবস্থান করতেন। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই বাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে সড়ক পথে খুলনা ত্যাগ করেন।

এর আগে সকাল সোয়া ৮টার দিকে সড়ক পথে গণভবন থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধুসহ পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। বিকেল ৩টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে তিনি খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন। বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদাম ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউস। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এ জমির মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনার দিঘলিয়ায় মায়ের স্মৃতি বিজড়িত জমিতে ছোট বোনকে সাথে নিয়ে ঘুরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত সময় : ১১:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৩

###    খুলনার দিঘলিয়ায় মায়ের স্মৃতি বিজড়িত জমিতে ছোট বোনকে সাথে নিয়ে ঘুরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বিকেলে দিঘলিয়ার নগরঘাট এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর মা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে কেনা চার বিঘা জমি ও পাঠ গোডাউন ঘুরে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বোন শেখ রেহেনাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন ব্যক্তিগত সফরে বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়কপথে খুলনার রূপসার খানজাহান আলী সেতু পার হয়ে আড়ংঘাটা বাইপাস ধরে রেলিগেট সড়ক হয়ে দিঘলিয়া ঘাটে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে তিনি নগরঘাট ফেরি পার হয়ে বিকেল ৪টায় তার মায়ের নামে কেনা জমি ও পাট গোডাউন দেখতে যান। সেখানে তিনি প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করেন। এ সময় মায়ের নামে কেনা জমি ও সেখানের স্থাপনা বিষয়ে খোজখবর নেন শেখ হাসিনা।

পরে দিঘলিয়ার নগরঘাটা থেকে প্রধানমন্ত্রী খুলনা মহানগরীর শেরে বাংলা রোডে অবস্থিত ছোট চাচা শহীদ শেখ আবু নাসেরের বাড়িতে যান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু খুলনায় এসে এ বাড়িতে অবস্থান করতেন। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, চাচাতো ভাই ও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলামসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এই বাড়ীতে প্রধানমন্ত্রী মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে সড়ক পথে খুলনা ত্যাগ করেন।

এর আগে সকাল সোয়া ৮টার দিকে সড়ক পথে গণভবন থেকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান তিনি। বেলা ১১টা ১০ মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধুসহ পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। বিকেল ৩টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে তিনি খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেঁষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক (৪ বিঘা) জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন। বঙ্গবন্ধুর পুরাতন সেই পাট গোডাউন ভেঙে সেখানে আধুনিক গুদাম ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর তীরবর্তী স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে রেস্ট হাউস। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এ জমির মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে তিনি তার ব্যক্তিগত আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান। ##