### খুলনা’র বটিয়াঘাটা উপজেলায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী বাসন্তি দেবীর পূঁজা । গত ২৭ মার্চ মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এ পূঁজা । তা আগামী ০১ এপ্রিল শুক্রবার মহা বিজয়ার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে । উপজেলার ৭ ইউনিয়নে সব মিলিয়ে এ বৎসর প্রায় অর্ধ শতাধিক পূঁজা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাসন্তি পূঁজা । বসন্তকালে এ পূঁজা হয় বলে একে বাসন্তি পূঁজা বলা হয় । অনেকে এ পূঁজাকে কালের দেবীও বলে । পূঁজাকে ঘিরে বিভিন্ন পূঁজা মন্দির পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে পূঁজাকে প্রাণবন্ত করতে প্রতিদিন নানান মাঙ্গলিক ও বিনোদন মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে আরতি উলুধ্বনী ও শঙ্খধ্বনি প্রতিযোগিতা যাদুপ্রদর্শনী, ধর্মীয় যাত্রাপালা,মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সর্বশেষ মহা বিজয়া উপলক্ষ্যে বিজয় মেলা ।উপজেলার উল্লেখযোগ্য পূঁজা মন্ডপের ভিতর বয়ারভাঙ্গা, নাহাড়িতলা, হাটবাটীমঠ, গুপ্তমারী, লক্ষ্মীখোলা,টালিয়ামারা, ছয়ঘরিয়া স্লুইচগেট, জলমা-কঁচুবুনিয়া মিস্ত্রী বাড়ি, রাঁজবাধ-আলাইপুর, সাচিবুনিয়া,তেঁতুলতলা, রাঙ্গেমারী ও পুটিমারী। পূঁজাকে ঘিরে মহা বিজয়া উপলক্ষ্যে বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্ভর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ ও সরকারি জলমা-চক্রাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হবে ।
অপরদিকে পূঁজায় যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে। বটিয়াঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শওকত কবির জানান, পূঁজায় যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটাতে পারে সে জন্য থানা পুলিশের পাশাপাশি প্রত্যেকটি ক্যাম্প ও পুলিশ ফাঁড়িকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলার জন্য বলা হয়েছে । পাশাপাশি টহল পুলিশের টিমকে আরো বেশি জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা ডিবি পুলিশ,রেব ও সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে । তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন ।সব মিলিয়ে এ উপজেলায় বাসন্তি পূঁজার আমেজ বেশ বইতে শুরু করেছে ।##