১০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
চলছে সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযান :

খুলনার ৬টি আসনের ৭৯৩ ভোট কেন্দ্রের ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ

####

খুলনার ৬টি সংসদী আসনের ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। যা মোট কেন্দ্রের প্রায় ৮০ শতাংশ। সাধারণ ভোটকেন্দ্রের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় খুলনায় নির্বাচনের পরিবেশ কিছুটা নিরুত্তাপ। তবে জেলার ৬টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনের অধীন বটিয়াঘাটা উপজেলার ৪৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১৩টি সাধারণ এবং দাকোপের ৪৯টির মধ্যে ৩১টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১৮টি সাধারণ। খুলনা-২ আসনে সিটি করপোরেশন এলাকার ১৬থেকে ৩১নম্বর ওয়ার্ডের ১৫৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬১টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৯৬টি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-৩ আসনে সিটি করপোরেশন এলাকার ০১থেকে ১৫নম্বর ওয়ার্ডের ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৮৯টি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-৪ আসনের অধীন রূপসা উপজেলায় ৫৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১০টি সাধারণ, তেরখাদায় ৩৬টির সব কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ, দিঘলিয়ার ৩৮টির মধ্যে ২১টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১৭টি সাধারণ। খুলনা-৫ আসনের অধীন ফুলতলা উপজেলার ২৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১৩টি সাধারণ, ডুমুরিয়ার ৮৮টির মধ্যে ৬৪টি গুরুত্বপূর্ণ ও ২৪টি সাধারণ। খুলনা-৬ আসনের অধীন পাইকগাছা উপজেলার ৭৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৬০টি সাধারণ, কয়রার ৬৩টির মধ্যে ৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৭টি সাধারণ।

খুলনার পুলিশ সুপার মো: সাইদুর রহমান জানান, বতর্মানে যেসব কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে, আগে সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বলা হতো। বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে এই তালিকা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে যে কেন্দ্রে ভোটার বেশি, কোনো প্রার্থীর বাড়ির কাছে ভোটকেন্দ্র কিনা, প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা, যাতায়াত ব্যবস্থা প্রভৃতি। তিনি আরও জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের নিয়মিত অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এখনও নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। পরিবেশ ভালো রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, তাদের আওতাধীন খুলনা-২ আসনের ১৫৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬১টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৯৬টি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-৩ আসনের ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৮৯টি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে অবস্থিত খুলনা-১ আসনের ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৮টি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-৫ আসনের মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে অবস্থিত ২২টি ভোটকেন্দ্রের ১০টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ১২টি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-১ ও ৫ আসনের বাকি ভোটকেন্দ্রগুলো জেলা পুলিশের আওতাধীন। তিনি আরও জানান, তাদের আওতাধীন ৩১০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্র নেই। সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ অথবা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ভোট কেন্দ্র নিয়ে কোন শংকা নেই। মহানগরীতে সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ অভিযান অবাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো: হুমায়ুন কবির জানান, খুলনায় মহানগরীসহ জেলার ছয়টি আসনে এবার ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১০ লাখ ৮৪ জন ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮৪ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ১৪ জন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১৮ লাখ ১ হাজার ২ জন। এবারের নির্বাচনে ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮০ জন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

চলছে সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার অভিযান :

খুলনার ৬টি আসনের ৭৯৩ ভোট কেন্দ্রের ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ

প্রকাশিত সময় : ০২:৩১:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

####

খুলনার ৬টি সংসদী আসনের ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। যা মোট কেন্দ্রের প্রায় ৮০ শতাংশ। সাধারণ ভোটকেন্দ্রের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে না আসায় এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় খুলনায় নির্বাচনের পরিবেশ কিছুটা নিরুত্তাপ। তবে জেলার ৬টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। খুলনা জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-১ আসনের অধীন বটিয়াঘাটা উপজেলার ৪৬টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১৩টি সাধারণ এবং দাকোপের ৪৯টির মধ্যে ৩১টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১৮টি সাধারণ। খুলনা-২ আসনে সিটি করপোরেশন এলাকার ১৬থেকে ৩১নম্বর ওয়ার্ডের ১৫৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬১টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৯৬টি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-৩ আসনে সিটি করপোরেশন এলাকার ০১থেকে ১৫নম্বর ওয়ার্ডের ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৮৯টি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-৪ আসনের অধীন রূপসা উপজেলায় ৫৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১০টি সাধারণ, তেরখাদায় ৩৬টির সব কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ, দিঘলিয়ার ৩৮টির মধ্যে ২১টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১৭টি সাধারণ। খুলনা-৫ আসনের অধীন ফুলতলা উপজেলার ২৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১২টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১৩টি সাধারণ, ডুমুরিয়ার ৮৮টির মধ্যে ৬৪টি গুরুত্বপূর্ণ ও ২৪টি সাধারণ। খুলনা-৬ আসনের অধীন পাইকগাছা উপজেলার ৭৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৬০টি সাধারণ, কয়রার ৬৩টির মধ্যে ৫৬টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৭টি সাধারণ।

খুলনার পুলিশ সুপার মো: সাইদুর রহমান জানান, বতর্মানে যেসব কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ বলা হচ্ছে, আগে সেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বলা হতো। বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে এই তালিকা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে যে কেন্দ্রে ভোটার বেশি, কোনো প্রার্থীর বাড়ির কাছে ভোটকেন্দ্র কিনা, প্রভাব বিস্তারের আশঙ্কা, যাতায়াত ব্যবস্থা প্রভৃতি। তিনি আরও জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের নিয়মিত অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এখনও নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। পরিবেশ ভালো রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, তাদের আওতাধীন খুলনা-২ আসনের ১৫৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬১টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৯৬টি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-৩ আসনের ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৮৯টি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে অবস্থিত খুলনা-১ আসনের ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৮টি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-৫ আসনের মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে অবস্থিত ২২টি ভোটকেন্দ্রের ১০টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ১২টি গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-১ ও ৫ আসনের বাকি ভোটকেন্দ্রগুলো জেলা পুলিশের আওতাধীন। তিনি আরও জানান, তাদের আওতাধীন ৩১০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্র নেই। সবগুলোই গুরুত্বপূর্ণ অথবা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে ভোট কেন্দ্র নিয়ে কোন শংকা নেই। মহানগরীতে সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু সন্ত্রাসী গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ অভিযান অবাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো: হুমায়ুন কবির জানান, খুলনায় মহানগরীসহ জেলার ছয়টি আসনে এবার ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১০ লাখ ৮৪ জন ও নারী ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮৪ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ১৪ জন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১৮ লাখ ১ হাজার ২ জন। এবারের নির্বাচনে ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৮০ জন। ##