০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনাসহ বন্ধ ২৫পাটকল চালু ও শ্রমিকদের মজুরী প্রদানসহ ৯ দফা দাবীর বিষয়ে শিল্প ও বানিজ্য উপদেষ্টার আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

####

শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকায় শ্রমিক বিদায় না দিয়ে ১২’শ কোটি টাকা ব্যয় করে মিলসমূহ আধুনিকায়নের মাধ্যমে খুলনার ৯টিসহ বন্ধ ২৫টি রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকল চালুসহ ৯দফা দাবী জানিয়েছে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ। সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্প ও বানিজ্য উপদেষ্টার আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়নে এ দাবী জানান নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আহবায়ক এ্যাড. কুদরত-ই-খুদা।  লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপটে নাগরিক পরিষদ মনে করছে পাটকল চালুর দাবিতে এখন আরো সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। সে লক্ষে নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে বর্তমান বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নাগরিক পরিষদের সাথে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নাগরিক পরিষদের প্রতিনিধিরা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে গত ২৭ আগস্ট উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে সমস্ত তথ্য ও উপাত্তসহ শ্রমিক-নাগরিকদের ৯ দফা দাবি পেশ উত্থাপন করেন। ৯দফা দাবীগুরোর মধ্যে রয়েছে- দ্রুত সময়ের মধ্যে উল্লেখিত ৫ টি মিলের শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাসহ ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী ৯টি উৎসব বোনাসের ডিফারেন্স বা বর্ধিত অংশ ২০২০ সালের ঈদুল আযহার বোনাস, ৩ টি বকেয়া বৈশাখী ভাতা, সাপ্তাহিক ৪৮ ঘন্টার অধিক হাজিরার এরিয়ার বিল প্রদান করতে হবে। মিল চালু থাকায় ১ ও ২ জুলাই ২০২৯ এর এর ইনক্রিমেন্টসহ সকল বেতন ও পাওনাদি পরিশোধ করা, মাথাভারী প্রশাসন ও দুর্নীতিযুক্ত বিজেএমসির সংস্কার করাসহ তৎকালীন মন্ত্রী সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার করা, ইতিমধ্যে যে সকল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল লিজ দেওয়া হয়েছে সেগুলো বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা, ২০১০ সালের ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং এ্যাক্ট কার্যকর করা, কাঁচা পাট সরাসরি রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা, ব্যক্তি মালিকানাধীন পাটকল শ্রমিকদের চাকুরী স্থায়ীকরণ, শিশু শ্রম, নিয়োগ বন্ধ এবং দৈনিক নূন্যতম মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ, আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিল কর্তৃক যে সকল ফৌজদারি মামলা রয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার এবং মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধের সকল মামলা নিষ্পত্তি করা এবং  খুলনায় আন্দোলন চলাকালীন শ্রমিক ও নাগরিক নেতৃবৃন্দের নামে দায়কৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টার আশ্বাস অনুযায়ী অবিলম্বে ৯দফা দাবি মেনে নেয়ারও দাবী জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এস.এ রশিদ, মুনির চৌধুরী সোহেল, জর্নাধন দ্ত্ত্ নান্টুসহ পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।   ###

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

খুলনাসহ বন্ধ ২৫পাটকল চালু ও শ্রমিকদের মজুরী প্রদানসহ ৯ দফা দাবীর বিষয়ে শিল্প ও বানিজ্য উপদেষ্টার আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

প্রকাশিত সময় : ০৭:৫৫:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

####

শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকায় শ্রমিক বিদায় না দিয়ে ১২’শ কোটি টাকা ব্যয় করে মিলসমূহ আধুনিকায়নের মাধ্যমে খুলনার ৯টিসহ বন্ধ ২৫টি রাষ্ট্রায়াত্ব পাটকল চালুসহ ৯দফা দাবী জানিয়েছে পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ। সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্প ও বানিজ্য উপদেষ্টার আশ্বাস দ্রুত বাস্তবায়নে এ দাবী জানান নাগরিক পরিষদ নেতৃবৃন্দ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের আহবায়ক এ্যাড. কুদরত-ই-খুদা।  লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় প্রেক্ষাপটে নাগরিক পরিষদ মনে করছে পাটকল চালুর দাবিতে এখন আরো সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। সে লক্ষে নাগরিক পরিষদের পক্ষ থেকে বর্তমান বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নাগরিক পরিষদের সাথে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নাগরিক পরিষদের প্রতিনিধিরা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে নিয়ে গত ২৭ আগস্ট উপদেষ্টার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে সমস্ত তথ্য ও উপাত্তসহ শ্রমিক-নাগরিকদের ৯ দফা দাবি পেশ উত্থাপন করেন। ৯দফা দাবীগুরোর মধ্যে রয়েছে- দ্রুত সময়ের মধ্যে উল্লেখিত ৫ টি মিলের শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাসহ ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী ৯টি উৎসব বোনাসের ডিফারেন্স বা বর্ধিত অংশ ২০২০ সালের ঈদুল আযহার বোনাস, ৩ টি বকেয়া বৈশাখী ভাতা, সাপ্তাহিক ৪৮ ঘন্টার অধিক হাজিরার এরিয়ার বিল প্রদান করতে হবে। মিল চালু থাকায় ১ ও ২ জুলাই ২০২৯ এর এর ইনক্রিমেন্টসহ সকল বেতন ও পাওনাদি পরিশোধ করা, মাথাভারী প্রশাসন ও দুর্নীতিযুক্ত বিজেএমসির সংস্কার করাসহ তৎকালীন মন্ত্রী সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার করা, ইতিমধ্যে যে সকল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল লিজ দেওয়া হয়েছে সেগুলো বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা, ২০১০ সালের ম্যান্ডেটরি প্যাকেজিং এ্যাক্ট কার্যকর করা, কাঁচা পাট সরাসরি রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা, ব্যক্তি মালিকানাধীন পাটকল শ্রমিকদের চাকুরী স্থায়ীকরণ, শিশু শ্রম, নিয়োগ বন্ধ এবং দৈনিক নূন্যতম মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণ, আন্দোলনরত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিল কর্তৃক যে সকল ফৌজদারি মামলা রয়েছে সেগুলো প্রত্যাহার এবং মিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধের সকল মামলা নিষ্পত্তি করা এবং  খুলনায় আন্দোলন চলাকালীন শ্রমিক ও নাগরিক নেতৃবৃন্দের নামে দায়কৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টার আশ্বাস অনুযায়ী অবিলম্বে ৯দফা দাবি মেনে নেয়ারও দাবী জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এস.এ রশিদ, মুনির চৌধুরী সোহেল, জর্নাধন দ্ত্ত্ নান্টুসহ পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।   ###