১২:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ শাসক দলীয় ক্যাডারদের হামলার অভিযোগ : তিনশ’ আহত, নিন্দা

###   খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশ কর্মসূচি বানচালে মরিয়া হয়ে উঠেছিল শাসক দল। সমাবেশে যোগ দেয়ার পথে নানা স্থানে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত তিনশ নেতাকর্মী। কোথাও গুলি করে, কোথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। ট্রলার ডুবিয়ে দিয়ে এবং ঘাটে ভিড়তে বাঁধাগ্রস্ত করে সমাবেশে আসা ঠেকানো হয়েছে। হকিষ্টিক, রামদা, লোহার রড, লাঠি সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল ক্যাডাররা। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড এবং সমাবেশে অংশ নেয়ার প্রবেশ পথে তাদের দিনভন মহড়া আতংক ছড়িয়ে জনমনে। প্রতিটি মটর সাইকেলে কমপক্ষে তিনজন করে শত শত মটর সাইকেলের বহরে বিএনপি ও এর নেতৃবৃন্দকে কটূক্তি করে দেয়া হয়েছে উস্কানিমূলক শ্লোগান। ফুলতলা থেকে খুলনায় আসার প্রাক্কালে থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও বারবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ আবুল বাশারকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। একইভাবে মোকামপুর এলাকায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় আহত হন ১৫ জন।

গাজীরহাট এলাকায় বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলার সময় আব্দুল জলিল নামে একজন কর্মী নদীতে পড়ে যান। এখনও তার কোন সন্ধান মেলেনি। খালিশপুর থানার বৈকালীতে বিএনপি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।  বাস এবং লঞ্চ ধর্মঘটের কারণে দূর দূরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা বিকল্প ব্যবস্থাপনায় খুলনায় আসতে থাকে। তবে পথে পথে তাদের গাড়ি আটকে রাখা, ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা, মোবাইল ফোন সহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী কেড়ে নেয়ার অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া যায়। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা নগরীর লবনচরায় অবস্থিত মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম জহীরের মালিকানাধীন আছিয়া সী ফুডে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। অপর একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর বিএনপির সদস্য কে এম হুমায়ুন কবিরের বাসভবনে হামলা চালায়।
এ সমস্ত ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নিশিরাতের অবৈধ ভোটের সরকার তার মসনদ টিকিয়ে রাখতে দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা করতে পারবেনা। তাদের পতন ঘন্টা বাজছে। সেদিন অন্যায় ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার বিচার করা হবে। বিবৃতিদাতারা হলেন মহানগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম জহীর ও আবু হোসেন বাবু। #

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশ শাসক দলীয় ক্যাডারদের হামলার অভিযোগ : তিনশ’ আহত, নিন্দা

প্রকাশিত সময় : ১০:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২

###   খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশ কর্মসূচি বানচালে মরিয়া হয়ে উঠেছিল শাসক দল। সমাবেশে যোগ দেয়ার পথে নানা স্থানে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত তিনশ নেতাকর্মী। কোথাও গুলি করে, কোথায় কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। ট্রলার ডুবিয়ে দিয়ে এবং ঘাটে ভিড়তে বাঁধাগ্রস্ত করে সমাবেশে আসা ঠেকানো হয়েছে। হকিষ্টিক, রামদা, লোহার রড, লাঠি সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল ক্যাডাররা। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড এবং সমাবেশে অংশ নেয়ার প্রবেশ পথে তাদের দিনভন মহড়া আতংক ছড়িয়ে জনমনে। প্রতিটি মটর সাইকেলে কমপক্ষে তিনজন করে শত শত মটর সাইকেলের বহরে বিএনপি ও এর নেতৃবৃন্দকে কটূক্তি করে দেয়া হয়েছে উস্কানিমূলক শ্লোগান। ফুলতলা থেকে খুলনায় আসার প্রাক্কালে থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও বারবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাশারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ আবুল বাশারকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। একইভাবে মোকামপুর এলাকায় গুলিবর্ষণের ঘটনায় আহত হন ১৫ জন।

গাজীরহাট এলাকায় বিএনপি কর্মীদের ওপর হামলার সময় আব্দুল জলিল নামে একজন কর্মী নদীতে পড়ে যান। এখনও তার কোন সন্ধান মেলেনি। খালিশপুর থানার বৈকালীতে বিএনপি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।  বাস এবং লঞ্চ ধর্মঘটের কারণে দূর দূরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা বিকল্প ব্যবস্থাপনায় খুলনায় আসতে থাকে। তবে পথে পথে তাদের গাড়ি আটকে রাখা, ভয় ভীতি দেখিয়ে টাকা, মোবাইল ফোন সহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী কেড়ে নেয়ার অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া যায়। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা নগরীর লবনচরায় অবস্থিত মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম জহীরের মালিকানাধীন আছিয়া সী ফুডে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। অপর একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ২৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও নগর বিএনপির সদস্য কে এম হুমায়ুন কবিরের বাসভবনে হামলা চালায়।
এ সমস্ত ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নিশিরাতের অবৈধ ভোটের সরকার তার মসনদ টিকিয়ে রাখতে দলীয় ক্যাডারদের লেলিয়ে দিলেও শেষ রক্ষা করতে পারবেনা। তাদের পতন ঘন্টা বাজছে। সেদিন অন্যায় ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার বিচার করা হবে। বিবৃতিদাতারা হলেন মহানগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুল হাসান বাপ্পী, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম জহীর ও আবু হোসেন বাবু। #