১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় মাহেন্দ্র চালক রিপন হত্যার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ঢাকা থেকে আটক

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ০৭:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২
  • ৪৯ পড়েছেন

###   খুলনায় চাঞ্চল্যকর মাহেন্দ্র চালক রিপন হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রনি শিকদারকে ঢাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাব। বৃহষ্পতিবার র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের একটি টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রনি শিকদারকে ঢাকার লালবাগ থানাধীন শহিদ নগর ০১নং গলি থেকে গ্রেফতার করে। আটক রনি শিকদার চট্টগ্রামের হালিশহর থানার আদ্দোপাড়া এলাকার আঃ রউফ শিকদারের ছেলে। গত ২৯মার্চ খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত মাহেন্দ্র চালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন হত্যার দায়েরিনি শিকদারসহ ০৪জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে রায় ঘোষনা দেয়। র‌্যাব জানায়, আসামী রনি শিকদার ও তার তিন বন্ধু গাড়ী ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম থেকে খুলনায় ঘুরতে আসে। ২০১৬সালের ১২জানুয়ারি সন্ধ্যা ০৬টার দিকে পরিকল্পনা করে চার বন্ধু মিলে ৭০০ টাকা চুক্তিতে একটি মাহেন্দ্র গাড়ী ভাড়া নেয়। গাড়ীতের উঠার পর কিছুদুর আসতেই তারা গাড়ীটি ছিনতাই করে নেওয়ার জন্য গাড়ীর ড্রাইভার রিপনকে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে আসামী রনি শিকদার ও তার অপর তিন বন্ধু মিলে ছুরি দিয়ে ড্রাইভার রিপনকে উপর্যুপরী আঘাত করে এবং গলার ভিতর ছুরি ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে চার বন্ধু মিলে খুলনার লবণচরা এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রাইভার রিপনের লাশ ফেলে গাড়ী ছিনতাই করে নিয়ে গোপালগঞ্জের দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানা পুলিশের চেকপোষ্টে মাহেন্দ্র গাড়ির চলার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ীর বৈধ কাগজ পত্র দেখতে চায়। তখন তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ীর কোনো কাজগপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং তাদের কথার গড়মিল হওয়ায় কর্তব্যরত পুলিশ তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাহেন্দ্রের ড্রাইভার রিপনকে হত্যা করে খুলনার লবণচরা এলাকার রাস্তায় লাশ ফেলে দিয়ে গাড়ি ছিনতাই করার কথা স্বীকার করে। পরে কাশিয়ানি থানা পুলিশ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে লবণচরা এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা মাহেন্দ্রের ড্রাইভার রিপনের লাশ উদ্ধার করে।এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে খুলনার লবণচরা থানায় রনিসহ চার বন্ধুর নামে হত্যা মামলা দায়ের করে।

এ মামলায় লবণচরা থানা পুলিশ একই বছরের ৩১ডিসেম্বর তারিখে চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে খুলনা সিআইডি ০৪ জনের বিরুদ্ধে পুনরায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মামলায় ২৩জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে ২০২২সালের ২৯মার্চ খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত মাহেন্দ্র চালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন হত্যার দায়ে রনিসহ ০৪জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে।  মামলার পর রনি জামিনে বের হয়ে কোন দিন আদালতে হাজীরা দেয়নি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরা-ছোয়ার বাহিরে চলে যায়। আসামী রনি শিকদার চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পালিয়ে ছিল।  গ্রেফতারকৃত রনিকে লবনচরা থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

খুলনায় মাহেন্দ্র চালক রিপন হত্যার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী ঢাকা থেকে আটক

প্রকাশিত সময় : ০৭:৩৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

###   খুলনায় চাঞ্চল্যকর মাহেন্দ্র চালক রিপন হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রনি শিকদারকে ঢাকা থেকে আটক করেছে র‌্যাব। বৃহষ্পতিবার র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের একটি টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী রনি শিকদারকে ঢাকার লালবাগ থানাধীন শহিদ নগর ০১নং গলি থেকে গ্রেফতার করে। আটক রনি শিকদার চট্টগ্রামের হালিশহর থানার আদ্দোপাড়া এলাকার আঃ রউফ শিকদারের ছেলে। গত ২৯মার্চ খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত মাহেন্দ্র চালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন হত্যার দায়েরিনি শিকদারসহ ০৪জনকে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং একই সঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে রায় ঘোষনা দেয়। র‌্যাব জানায়, আসামী রনি শিকদার ও তার তিন বন্ধু গাড়ী ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম থেকে খুলনায় ঘুরতে আসে। ২০১৬সালের ১২জানুয়ারি সন্ধ্যা ০৬টার দিকে পরিকল্পনা করে চার বন্ধু মিলে ৭০০ টাকা চুক্তিতে একটি মাহেন্দ্র গাড়ী ভাড়া নেয়। গাড়ীতের উঠার পর কিছুদুর আসতেই তারা গাড়ীটি ছিনতাই করে নেওয়ার জন্য গাড়ীর ড্রাইভার রিপনকে ভয়ভীতি দেখায়। একপর্যায়ে আসামী রনি শিকদার ও তার অপর তিন বন্ধু মিলে ছুরি দিয়ে ড্রাইভার রিপনকে উপর্যুপরী আঘাত করে এবং গলার ভিতর ছুরি ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে চার বন্ধু মিলে খুলনার লবণচরা এলাকায় রাস্তার পাশে ড্রাইভার রিপনের লাশ ফেলে গাড়ী ছিনতাই করে নিয়ে গোপালগঞ্জের দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানা পুলিশের চেকপোষ্টে মাহেন্দ্র গাড়ির চলার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ীর বৈধ কাগজ পত্র দেখতে চায়। তখন তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং গাড়ীর কোনো কাজগপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয় এবং তাদের কথার গড়মিল হওয়ায় কর্তব্যরত পুলিশ তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাহেন্দ্রের ড্রাইভার রিপনকে হত্যা করে খুলনার লবণচরা এলাকার রাস্তায় লাশ ফেলে দিয়ে গাড়ি ছিনতাই করার কথা স্বীকার করে। পরে কাশিয়ানি থানা পুলিশ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে লবণচরা এলাকায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকা মাহেন্দ্রের ড্রাইভার রিপনের লাশ উদ্ধার করে।এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে খুলনার লবণচরা থানায় রনিসহ চার বন্ধুর নামে হত্যা মামলা দায়ের করে।

এ মামলায় লবণচরা থানা পুলিশ একই বছরের ৩১ডিসেম্বর তারিখে চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্ত শেষে খুলনা সিআইডি ০৪ জনের বিরুদ্ধে পুনরায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মামলায় ২৩জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৫ জন স্বাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে ২০২২সালের ২৯মার্চ খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত মাহেন্দ্র চালক শেখ ওহিদুর রহমান রিপন হত্যার দায়ে রনিসহ ০৪জনকে মৃত্যুদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে।  মামলার পর রনি জামিনে বের হয়ে কোন দিন আদালতে হাজীরা দেয়নি এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধরা-ছোয়ার বাহিরে চলে যায়। আসামী রনি শিকদার চট্টগ্রাম ও ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন নামে পালিয়ে ছিল।  গ্রেফতারকৃত রনিকে লবনচরা থানায় হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। ##