০১:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি রক্ষায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

####

খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি রক্ষায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদকের আহবানে খালিশপুর বিআইডিসি রোডস্থ জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউটের অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান।

সভায় সাধারন সসম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউটের ৩০টি দোকানঘরের মধ্যে ভাড়াটিয়ারা ৭টি দোকান ঘর চুক্তি অনুযায়ী ব্যবসা করছেন। বাকী দোকানদাররা চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া দিতে অস্বীকার করে আসছে।চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ভাড়া দিতে অস্বীকার করছে। খুলনা জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউট ৫টি জুট মিলের ৫০ হাজার শ্রমিকদের অর্থায়নে কেনা সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে স্থগিত আদেশ ও মামলা নং-১৪৪৩৯/২০১৮ রিট পিটিশন চলমান রয়েছে। বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে আপীল ট্রাইব্যুনাল খুলনায় ১৬১/২৪নং মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও কিছু দুষ্কৃতিকারী দোকানদাররা দোকান মালিকানা দাবী করে হাইকোর্টে বিভাগের ৮৯৫৯/২০২২নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে (স্বারক নং- ০৫.৪৪.৪৭০০.০৩১.৪৯২.২০২২-১৯০৬) হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন ১৪৪৩৯/২০১৮ চলমান থাকায়, আদালত উক্ত রীট পিটিশনের আদেশ স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করায় দোকানদারদের অনুকুলে দোকানগুলো বরাদ্দ প্রদানের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকদের নিয়ে ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম সজল ও আতিয়ারসহ কিছু দুষ্কৃতিকারী দোকানদার দোকান ভাঙ্গিয়া একাধিকবার দখল করিলে স্থানীয় থানা ও জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আবার দোকান বন্ধ করে দেয়। গত ২২আগষ্ট আনুমানিক ১১টার দিকে দুষ্কৃতিকারী, দখলদার দোকানদার তালা ভাঙ্গিয়া আবার দোকান ঘর দখল করে। এ ঘটনায় ২২আগষ্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বৈঠকের পরও তারা শ্রমিকদের সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের দ্বারা শ্রমিক নেতাদের ভয়-ভীতি দেখায় এবং মারধর করে। খালিশপুর থানায় মারধরের একটি মামলা চলমান। এখন এই আওয়ামীলীগদের দোকানদাররা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে ও ভুল তথ্য প্রদান করে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের চাঁদায় ক্রয়কৃত জমি, দোকান লুটপার্টের মাধ্যমে দখলে নিয়েছে। এই দখলদারদের হাত থেকে দোকানঘর ও জমি রক্ষা করার জন্য ছাত্র জনতাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে গত ২২আগষ্ট খালিশপুর থানায় তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

সভায় মোঃ আবুল কালাম জিয়া, মোঃ আবু দাউদ, দ্বীন মোহাম্মদ, মোঃ মাসুম গাজী, জয়নাল আবেদীন, হেমায়েত উদ্দিন আজাদী, সেলিম শিকদার,খলিলুর রহমান, জাহিদ হোসেন, জাহাঙ্গীর মোঃ ডিয়ারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় নেতৃবৃন্দ সম্পত্তি রক্ষা এবং দোকান ঘর উদ্ধারে নিয়মানুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহনে একমত পোষন করেন। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভা দু’গ্রুপের হাতাহাতিতে ভন্ডুল

খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি রক্ষায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত সময় : ০৫:৪১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৪

####

খুলনা জুট ওয়ার্কার্স ইনষ্টিটিউটের সম্পত্তি রক্ষায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টায় ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদকের আহবানে খালিশপুর বিআইডিসি রোডস্থ জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউটের অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান।

সভায় সাধারন সসম্পাদক হুমায়ুন কবির জানান, জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউটের ৩০টি দোকানঘরের মধ্যে ভাড়াটিয়ারা ৭টি দোকান ঘর চুক্তি অনুযায়ী ব্যবসা করছেন। বাকী দোকানদাররা চুক্তি অনুযায়ী ভাড়া দিতে অস্বীকার করে আসছে।চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ভাড়া দিতে অস্বীকার করছে। খুলনা জুট ওয়ার্কাস ইনস্টিটিউট ৫টি জুট মিলের ৫০ হাজার শ্রমিকদের অর্থায়নে কেনা সম্পত্তি। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে হাইকোর্টে স্থগিত আদেশ ও মামলা নং-১৪৪৩৯/২০১৮ রিট পিটিশন চলমান রয়েছে। বিজ্ঞ ল্যান্ড সার্ভে আপীল ট্রাইব্যুনাল খুলনায় ১৬১/২৪নং মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও কিছু দুষ্কৃতিকারী দোকানদাররা দোকান মালিকানা দাবী করে হাইকোর্টে বিভাগের ৮৯৫৯/২০২২নং রিট পিটিশন দাখিল করেন। খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে (স্বারক নং- ০৫.৪৪.৪৭০০.০৩১.৪৯২.২০২২-১৯০৬) হাইকোর্ট বিভাগে রীট পিটিশন ১৪৪৩৯/২০১৮ চলমান থাকায়, আদালত উক্ত রীট পিটিশনের আদেশ স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করায় দোকানদারদের অনুকুলে দোকানগুলো বরাদ্দ প্রদানের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন। কিন্তু পরে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী লোকদের নিয়ে ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম সজল ও আতিয়ারসহ কিছু দুষ্কৃতিকারী দোকানদার দোকান ভাঙ্গিয়া একাধিকবার দখল করিলে স্থানীয় থানা ও জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে আবার দোকান বন্ধ করে দেয়। গত ২২আগষ্ট আনুমানিক ১১টার দিকে দুষ্কৃতিকারী, দখলদার দোকানদার তালা ভাঙ্গিয়া আবার দোকান ঘর দখল করে। এ ঘটনায় ২২আগষ্ট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বৈঠকের পরও তারা শ্রমিকদের সম্পত্তি আত্মসাত করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের দ্বারা শ্রমিক নেতাদের ভয়-ভীতি দেখায় এবং মারধর করে। খালিশপুর থানায় মারধরের একটি মামলা চলমান। এখন এই আওয়ামীলীগদের দোকানদাররা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের ভুল বুঝিয়ে ও ভুল তথ্য প্রদান করে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের চাঁদায় ক্রয়কৃত জমি, দোকান লুটপার্টের মাধ্যমে দখলে নিয়েছে। এই দখলদারদের হাত থেকে দোকানঘর ও জমি রক্ষা করার জন্য ছাত্র জনতাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এ বিষয়ে গত ২২আগষ্ট খালিশপুর থানায় তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য একটি অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

সভায় মোঃ আবুল কালাম জিয়া, মোঃ আবু দাউদ, দ্বীন মোহাম্মদ, মোঃ মাসুম গাজী, জয়নাল আবেদীন, হেমায়েত উদ্দিন আজাদী, সেলিম শিকদার,খলিলুর রহমান, জাহিদ হোসেন, জাহাঙ্গীর মোঃ ডিয়ারসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় নেতৃবৃন্দ সম্পত্তি রক্ষা এবং দোকান ঘর উদ্ধারে নিয়মানুযায়ী সকল ব্যবস্থা গ্রহনে একমত পোষন করেন। ##