১০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট ওনার্স ফাউন্ডেশনে স্বৈরতন্ত্র : সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবীতে একাধিক প্রার্থী মাঠে

  • সংবাদদাতা
  • প্রকাশিত সময় : ১২:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • ৮১ পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনা নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট ওনার্স ফাউন্ডেশনের কার্য নির্বাহী কমিটির মেয়াদ পূর্ন হওয়ায় নতুন নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।ইতিমধ্যেই ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের দুই শীর্ষ পদে একাধিক নেতা ভোটারদের সাথে যোগাযোগ, গনসংযোগ ও প্রচারনা শুরু করেছেন।নতুন নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হওয়ায় ফাইন্ডেশনের সদস্যদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের সঞ্চার হয়েছে।  তবে এ সংগঠনের প্রথম কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ সকল পদেই মনোনীত করা হলেও এবারের নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভোটের দাবী করেছেন সাধারন সদস্য ও ভোটাররা।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে তৎকালীন নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট কল্যান সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকরে মধ্যে মনোমালিন্য ও বিরোধের জের ধরে অধিকাংশ সদস্যরা মিলে খুলনা নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট ওনার্স ফাউন্ডেশন গঠন করে। কল্যান সমিতির সভাপতি মো: মাহবুব ও সাধারন সম্পাদক মো: শাহ আলম ছিলেন। যদির তারা কোন ধরনের অণৈক্য ও বিরোধের কথা অস্বীকার করেছেন। পরে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সমঝোতার মাধ্যমে নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট ওনার্স ফাউন্ডেশনে একটি কার্য নির্বাহী কমিটির গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি মনোনীত হন প্রতিষ্ঠিত দুই ব্যবসায়ী ঠাকুর শাহ আলম তুহিন ও সাধারন সম্পাদক হন শাহাদাত হোসেন মোল্লা। দুই বছর মেয়াদী এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০সালের নভেম্বর মাসে। তবে ২০২০সালেও কমিটির সদস্যদের নির্বাচনে সাধারন সদস্য ও ভোটারদের মতামত ও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয়নি। ২০২০সালের ১১নভেম্বর আবারও সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমঝোতার মাধ্যমে পূর্বের কমিটির সভাপতি ঠাকুর শাহ আলম তুহিন, সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মল্লিকসহ সকল পদেই মনোনীত করা হয়। আগামী নভেম্বরে এ সংগঠনের পুনরায় বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ফাউন্ডেশনের সাধারন সদস্যদের দাবী এবারে কোন মনোনীত করা নয়-ভোটাররা যেন স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য  নির্বাচন চায় সবাই। ফাউন্ডেশনের সদস্য মো: ইউনুস আলী,  সমীর কৃষ্ণ হীরা, মো: বাবুল, মো: নাসির ও মো: জসিমসহ অনেকেই জানান, আগের নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট কল্যান সমিতির নেতাদের স্বেচ্চাচারীতা, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারনে সংগঠনটি নষ্ট হয়ে যায়। সেখান থেকে সবাই মিলে আরেকটি সংগঠন নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট  ওনার্স ফাউন্ডেশন গঠন করা ঞয়। কিন্তু গত চার বছর ধরে এ সংগঠনের কোন নির্বাচন হচ্ছে না। শুধুমাত্র নেতৃবৃন্দ বসে নিজেদের মতামতের ভিত্তিতে দু’বছর পর পর কমিটি করা হচ্ছে। সাধারন সদস্যরা তাদের সুবিধামত ও পচ্ছন্ন সই কোন নেতাকে সমর্থন ও ভোট দিতে পারছে না।এক ধরনের স্বৈরাচারী কায়দায় প্রতিবারই কমিটি করা হচ্ছে। সেজন্য এবারের নির্বাচনে আর কোন মনোনীত কমিটি নয়-সাধারন ভোটার ও সদস্যরা ভোট দিতে চায়। সুষ্ঠ ভোগের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে চায়। ভোটাররা যাকেই ভোট দিবে সেই নেতা হোক এটা সাধারন সদস্যদের দাবী।বর্তমান কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, সংগঠনকে যদি সদস্যদের কল্যান ও গতিশীল করতে হয় তবে গনতান্ত্রিকভাবে সুষ্ঠ নির্বাচন হতে হবে।সেটাই সকলের দাবী।সহ-সাধারন সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার জানান, আমাদের সংগঠন গনতান্ত্রিক সংগঠন।আমরা গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন চাই। সদস্যরা যাকে খুশী তাকে বোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। এদিকে, কমিটির মেয়াদ শেষের দিকে আসায় ইতিমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। অনেকেই সংগঠনের শীর্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা প্রকাশ করে সদস্য ও ভোটারদের সাথে যোগাযোগ ও গনসংযোগ করছেন। তবে বর্তমান সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকও পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া সভাপতি পদে সংগঠনের অন্যতম নেতা জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও বর্তমান কমিটির সহসভাপতি মো: মাহমুদও সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা পোষন করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, সাধারন সম্পাদক পদে মো: সাদেক মাষ্টারসহ বেশ কয়েকজন  আগ্রহী হয়ে যোগাযোগ শেুরু করেছেন। এতে সাধারন সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মো: মাহাদাত হোসেন মল্লিক বলেন, আমরা আগেও যথা সময়ে নির্বাচন দিয়েছি। আগামীতেও মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচন দেয়া হবে। নির্বাচনের সিডিউল খুব দ্রুতই ঘোষনা করা হবে।আমরা নেতৃবৃন্দ সংগঠনের উন্নয়ন ও সদস্যদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের আগামী নির্বাচন বিষয়ে সভাপতি ঠাকুর মাহ আলম তুহিন বলেন, সংগঠনের সদস্যরা যেভাবে চাইবে সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সমিতি গতিশীল করতে হরে সদস্যরা যাকেই চাইবেন তিনিই নেতৃত্ব দেবেন সেটা হরেই কোন জটিলতা ও অভিযোগ-অনুযোগ তাকবে না। আমরা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুনবাবে নির্বাচন দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচিত করবো আশা করছি। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik Madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনা নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট ওনার্স ফাউন্ডেশনে স্বৈরতন্ত্র : সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবীতে একাধিক প্রার্থী মাঠে

প্রকাশিত সময় : ১২:৫৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খুলনা নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট ওনার্স ফাউন্ডেশনের কার্য নির্বাহী কমিটির মেয়াদ পূর্ন হওয়ায় নতুন নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে।ইতিমধ্যেই ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের দুই শীর্ষ পদে একাধিক নেতা ভোটারদের সাথে যোগাযোগ, গনসংযোগ ও প্রচারনা শুরু করেছেন।নতুন নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হওয়ায় ফাইন্ডেশনের সদস্যদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও আনন্দের সঞ্চার হয়েছে।  তবে এ সংগঠনের প্রথম কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদকসহ সকল পদেই মনোনীত করা হলেও এবারের নির্বাচনে প্রত্যক্ষ ভোটের দাবী করেছেন সাধারন সদস্য ও ভোটাররা।

জানা গেছে, ২০১৮ সালে তৎকালীন নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট কল্যান সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকরে মধ্যে মনোমালিন্য ও বিরোধের জের ধরে অধিকাংশ সদস্যরা মিলে খুলনা নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট ওনার্স ফাউন্ডেশন গঠন করে। কল্যান সমিতির সভাপতি মো: মাহবুব ও সাধারন সম্পাদক মো: শাহ আলম ছিলেন। যদির তারা কোন ধরনের অণৈক্য ও বিরোধের কথা অস্বীকার করেছেন। পরে সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সমঝোতার মাধ্যমে নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট ওনার্স ফাউন্ডেশনে একটি কার্য নির্বাহী কমিটির গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি মনোনীত হন প্রতিষ্ঠিত দুই ব্যবসায়ী ঠাকুর শাহ আলম তুহিন ও সাধারন সম্পাদক হন শাহাদাত হোসেন মোল্লা। দুই বছর মেয়াদী এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০সালের নভেম্বর মাসে। তবে ২০২০সালেও কমিটির সদস্যদের নির্বাচনে সাধারন সদস্য ও ভোটারদের মতামত ও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেয়া হয়নি। ২০২০সালের ১১নভেম্বর আবারও সকলের মতামতের ভিত্তিতে সমঝোতার মাধ্যমে পূর্বের কমিটির সভাপতি ঠাকুর শাহ আলম তুহিন, সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মল্লিকসহ সকল পদেই মনোনীত করা হয়। আগামী নভেম্বরে এ সংগঠনের পুনরায় বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে ফাউন্ডেশনের সাধারন সদস্যদের দাবী এবারে কোন মনোনীত করা নয়-ভোটাররা যেন স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সেজন্য  নির্বাচন চায় সবাই। ফাউন্ডেশনের সদস্য মো: ইউনুস আলী,  সমীর কৃষ্ণ হীরা, মো: বাবুল, মো: নাসির ও মো: জসিমসহ অনেকেই জানান, আগের নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট কল্যান সমিতির নেতাদের স্বেচ্চাচারীতা, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারনে সংগঠনটি নষ্ট হয়ে যায়। সেখান থেকে সবাই মিলে আরেকটি সংগঠন নৌপরিবহন কমিশন এজেন্ট  ওনার্স ফাউন্ডেশন গঠন করা ঞয়। কিন্তু গত চার বছর ধরে এ সংগঠনের কোন নির্বাচন হচ্ছে না। শুধুমাত্র নেতৃবৃন্দ বসে নিজেদের মতামতের ভিত্তিতে দু’বছর পর পর কমিটি করা হচ্ছে। সাধারন সদস্যরা তাদের সুবিধামত ও পচ্ছন্ন সই কোন নেতাকে সমর্থন ও ভোট দিতে পারছে না।এক ধরনের স্বৈরাচারী কায়দায় প্রতিবারই কমিটি করা হচ্ছে। সেজন্য এবারের নির্বাচনে আর কোন মনোনীত কমিটি নয়-সাধারন ভোটার ও সদস্যরা ভোট দিতে চায়। সুষ্ঠ ভোগের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে চায়। ভোটাররা যাকেই ভোট দিবে সেই নেতা হোক এটা সাধারন সদস্যদের দাবী।বর্তমান কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো: দেলোয়ার হোসেন বলেন, সংগঠনকে যদি সদস্যদের কল্যান ও গতিশীল করতে হয় তবে গনতান্ত্রিকভাবে সুষ্ঠ নির্বাচন হতে হবে।সেটাই সকলের দাবী।সহ-সাধারন সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার জানান, আমাদের সংগঠন গনতান্ত্রিক সংগঠন।আমরা গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন চাই। সদস্যরা যাকে খুশী তাকে বোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। এদিকে, কমিটির মেয়াদ শেষের দিকে আসায় ইতিমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। অনেকেই সংগঠনের শীর্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা প্রকাশ করে সদস্য ও ভোটারদের সাথে যোগাযোগ ও গনসংযোগ করছেন। তবে বর্তমান সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকও পুনরায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া সভাপতি পদে সংগঠনের অন্যতম নেতা জাহাঙ্গীর হাওলাদার ও বর্তমান কমিটির সহসভাপতি মো: মাহমুদও সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা পোষন করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, সাধারন সম্পাদক পদে মো: সাদেক মাষ্টারসহ বেশ কয়েকজন  আগ্রহী হয়ে যোগাযোগ শেুরু করেছেন। এতে সাধারন সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মো: মাহাদাত হোসেন মল্লিক বলেন, আমরা আগেও যথা সময়ে নির্বাচন দিয়েছি। আগামীতেও মেয়াদ শেষ হলে নির্বাচন দেয়া হবে। নির্বাচনের সিডিউল খুব দ্রুতই ঘোষনা করা হবে।আমরা নেতৃবৃন্দ সংগঠনের উন্নয়ন ও সদস্যদের সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের আগামী নির্বাচন বিষয়ে সভাপতি ঠাকুর মাহ আলম তুহিন বলেন, সংগঠনের সদস্যরা যেভাবে চাইবে সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সমিতি গতিশীল করতে হরে সদস্যরা যাকেই চাইবেন তিনিই নেতৃত্ব দেবেন সেটা হরেই কোন জটিলতা ও অভিযোগ-অনুযোগ তাকবে না। আমরা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুনবাবে নির্বাচন দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচিত করবো আশা করছি। ##