১০:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনা বিমানবন্দর প্রকল্প প্রত্যাহার না করার দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

  • অফিস ডেক্স।।
  • প্রকাশিত সময় : ০৮:০২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
  • ৪৯ পড়েছেন

###    খুলনা খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ প্রকল্প প্রত্যাহার না করার দাবীতে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। প্রদত্ত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রায় দুই যুগ আগে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিত্বে বিমান বন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হলেও কার্যকর বিনিয়োগকারী না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় উক্ত প্রকল্পটি প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করেছে। যা এ অঞ্চলের মানুষকে মারাত্মকভাবে আশাহত করেছে। খুলনায় বিমান বন্দরটি এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। মোংলা বন্দর, খানজাহান আলীর মাজার, ষাটগুম্বজ, সুন্দরবনের পর্যটন, শিল্পনগরীর খুলনার শিল্প-বাণিজ্য সচল রাখা, মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা ও অর্থনৈতিক জোন কার্যকর করা, এ অঞ্চলের প্রখর উর্বরা শক্তিসম্পন্ন বিস্তীর্ণ এলাকা বিবেচনায়Ñসর্বোপরি শিল্প-বাণিজ্যে পদ্ম সেতুর সুফল ভোগ করার জন্য খুলনায় একটি বিমান বন্দর অপরিহার্য। কেননা পদ্ম সেতু নির্মাণের ফলে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সুগমন ও সময়ানুকূল্য হলেও বিশেষ করে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং পর্যটকদের জন্য আরামদায়ক যাতায়াত ও সময় স্বল্পতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হলে ইতোপূর্বে জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন বাবদ ব্যয় হওয়া বিপুল অঙ্কের অর্থের অপচয় হবে এবং অন্যদিকে অধিগ্রহণকৃত জমি অনাবাদি-অব্যবহৃত থাকবে। দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলার গুরুত্ব বিবেচনায় এবং এ অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতি গতিশীল রাখতে খুলনায় একটি বিমান বন্দর সময়ের একান্ত দাবী, যা জাতীয় অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে খুলনায় পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায় আসার পর তথা বিপুল অংকের অর্থ ব্যয় হওয়ার পর প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। ফলশ্রুতিতে এ অঞ্চলের শিল্প-বাণিজ্যের অগ্রগতি মারাত্মভাবে ব্যাহত হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাড. আ ফ ম মহসীন, সদস্য সচিব অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সংগঠনের সদস্য যথাক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি এস এম দেলোয়ার হোসেন, নতুনতারা সমাজকল্যাণ ও সাহিত্য সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা সাইফুর মিনা, খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (কেডিএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সালাম শিমুল, খোদেজা ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা খ ম শাহীন হোসেন, অ্যাড. মোস্তাকুজ্জামান মুক্তা প্রমুখ। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

খুলনা বিমানবন্দর প্রকল্প প্রত্যাহার না করার দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

প্রকাশিত সময় : ০৮:০২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩

###    খুলনা খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ প্রকল্প প্রত্যাহার না করার দাবীতে খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় খুলনা নাগরিক সমাজের উদ্যোগে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। প্রদত্ত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রায় দুই যুগ আগে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিত্বে বিমান বন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হলেও কার্যকর বিনিয়োগকারী না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় উক্ত প্রকল্পটি প্রত্যাহারের নির্দেশ প্রদান করেছে। যা এ অঞ্চলের মানুষকে মারাত্মকভাবে আশাহত করেছে। খুলনায় বিমান বন্দরটি এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। মোংলা বন্দর, খানজাহান আলীর মাজার, ষাটগুম্বজ, সুন্দরবনের পর্যটন, শিল্পনগরীর খুলনার শিল্প-বাণিজ্য সচল রাখা, মোংলা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা ও অর্থনৈতিক জোন কার্যকর করা, এ অঞ্চলের প্রখর উর্বরা শক্তিসম্পন্ন বিস্তীর্ণ এলাকা বিবেচনায়Ñসর্বোপরি শিল্প-বাণিজ্যে পদ্ম সেতুর সুফল ভোগ করার জন্য খুলনায় একটি বিমান বন্দর অপরিহার্য। কেননা পদ্ম সেতু নির্মাণের ফলে সড়ক ও রেল যোগাযোগ সুগমন ও সময়ানুকূল্য হলেও বিশেষ করে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং পর্যটকদের জন্য আরামদায়ক যাতায়াত ও সময় স্বল্পতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হলে ইতোপূর্বে জমি অধিগ্রহণ এবং উন্নয়ন বাবদ ব্যয় হওয়া বিপুল অঙ্কের অর্থের অপচয় হবে এবং অন্যদিকে অধিগ্রহণকৃত জমি অনাবাদি-অব্যবহৃত থাকবে। দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলার গুরুত্ব বিবেচনায় এবং এ অঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতি গতিশীল রাখতে খুলনায় একটি বিমান বন্দর সময়ের একান্ত দাবী, যা জাতীয় অর্থনীতিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে খুলনায় পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায় আসার পর তথা বিপুল অংকের অর্থ ব্যয় হওয়ার পর প্রকল্পটি বাতিল করা হয়। ফলশ্রুতিতে এ অঞ্চলের শিল্প-বাণিজ্যের অগ্রগতি মারাত্মভাবে ব্যাহত হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অ্যাড. আ ফ ম মহসীন, সদস্য সচিব অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সংগঠনের সদস্য যথাক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা নিতাই পাল, আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরামের খুলনা বিভাগীয় সভাপতি এস এম দেলোয়ার হোসেন, নতুনতারা সমাজকল্যাণ ও সাহিত্য সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা সাইফুর মিনা, খুলনা ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (কেডিএস)-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুস সালাম শিমুল, খোদেজা ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা খ ম শাহীন হোসেন, অ্যাড. মোস্তাকুজ্জামান মুক্তা প্রমুখ। ##