####

খুলনা মহানগরীতে গত ৫ আগস্টের পর থেকে এক শ্রেণি’র দুষ্কৃতিকারী চর দখলের ন্যায় বিভিন্ন লাভজনক ট্রেড ইউনিয়ন, সমিতি, ব্যক্তি মালিকাধীন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও সহায়-সম্পত্তি জবর দখল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার সাথে খুলনা মহানগর বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মূলত, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও স্বাধীনতাকে কলুষিত করতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের সুবিধাভোগীরাই রং বদলে এধরণের লুটতরাজে জড়িত। আর কতিপয় স্বার্থন্বেষী বিএনপি’র নামধারী ব্যক্তি বর্তমান খুলনা বিএনপি’র সুনাম ও অর্জন ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচারের অংশ হিসেবে এসব লুটতরাজের ঘটনাকে গণমাধ্যমে বিকৃতরূপে পরিবেশন করাচ্ছে। এধরণের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে আহবান জানিয়েছে জবর দখলবাজদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতারপূর্বক কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। খুলনা মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক এ্যাড. শফিকুল আলম মনা ও সদস্য সচিব মোঃ শফিকুল আলম তুহিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে লুটতরাজ ও দখলবাজদের রুখে দিতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থকদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেছেন, গত ৫ আগস্টের পর সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটাতে খুলনা মহানগরীর ছোট-বড় প্রায় সকল মার্কেট, বিপনী বিতান ও বণিক সমিতিসমূহের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে অচলাবস্থার অবসান ঘটানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, খুলনায় নিয়োজিত যৌথ বাহিনী, জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বাস্তব চিত্র তুলে ধরে সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পরামর্শ দেয়া হয়। খুলনা মহানগর বিএনপি’র মনিটরিং সেল গঠন, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়, ধর্মীয় উপাসলয়ে পরিদর্শন ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময় করে অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে খুলনা মহানগর বিএনপি। শুধু তাই নয়, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে বিএনপি নেতাকর্মী-সমার্থকরা লুটপাটকারীদের রুখতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রতিদিন মিছিল-মিটিং ও পথসভা করছে। এসব সুশৃঙ্খল কর্মকান্ডের মাধ্যমে ছাত্র-জনতার দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখনই খুলনা বিএনপি’র সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি বিশেষ মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, খুলনা মহানগর বিএনপি’র কোনো নেতাকর্মীই লুটপাট ও জবরদখলের সাথে জড়িত নয়। অভিযোগ উঠায় ইতোমধ্যে ১৫জনকে শোকজ করা হয়েছে; সুনির্দিষ্ট আরও কোনো অভিযোগ থাকলে খুলনা মহানগর বিএনপি’র মনিটরিং সেলে লিখিত অভিযোগ করতে আহবান জানানো হচ্ছে; প্রয়োজনে অভিযোগকারীর নাম-ঠিকানা গোপন রাখা হবে।

মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক খুলনা মহানগর বিএনপি’র নবগঠিত কমিটির নবোদ্যমে চলার শুরু থেকেই একটি স্বার্থন্বেষী মহল নানান অপপ্রচারে লিপ্ত। দলের কঠিন দুঃসময়ে পদত্যাগ করে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ব্যক্তিরাই এখন আবার বিএনপি’র নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টায় লিপ্ত। খুলনা মহানগর বিএনপি কোন দুস্কৃতিকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও লালন-পালন করে না। তাই বিএনপি’র ব্যানার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের হুশিয়ারি উচ্চারণ করে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও খুলনা বিএনপি’র সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করলে সাধারণ কর্মী-সমার্থকদের দ্বারা কোনো প্রকার লাঞ্চিত হলে তার দায়ভার কিন্তু খুলনা বিএনপি বহন করবে না। তাই ভবিষ্যতে খুলনা মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যক্তিগত চরিত্রহরণ করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।।