গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়নে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আইনমন্ত্রী, আইন সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শ্রম সচিব, স্থানীয় সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতের রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দু্ল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আইনজীবী কাজী মারুফুল আলম বলেন, গৃহকর্মীদের নিয়ে ২০১৫ সালে একটি সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালা করা হয়েছিল। কিন্তু তা অসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, ওই নীতিমালায় এটা বলা নেই যে, গৃহকর্মী কাজ করতে গিয়ে যদি আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাহলে তার ক্ষতিপূরণ কে দেবেন। কোথায় গিয়ে পাবেন। এখন তিনি যদি শ্রমিক হতেন তাহলে শ্রম আদালতে যেতে পারতেন। নীতিমালায় বলা আছে, আপনি ক্ষতিপূরণ পাবেন কিন্তু কত পাবেন, কোথায় পাবেন, কীভাবে পাবেন তা বলা নেই। এটা অসম্পূর্ণ। সেখানে বলা আছে গৃহকর্মীদের ছুটিছাটা থাকবে কিন্তু তা কত দিন থাকবে, না দিলে কোথায় যাবেন তার কিছুই বলা নেই। মাতৃত্ব ছুটির কথা বলা আছে, কিন্তু সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই।
এই অস্পষ্টতা দূর করে সঠিক নীতিমালা প্রণয়নের জন্য আমরা আইন মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেই। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় গত ১৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জাহান আরা হক এবং ফাউন্ডেশন ফর ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের প্রধান অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ রিট দায়ের করেন।