১০:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে গৃহবধু লাশ উদ্ধার

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার ভাট্টাধোবা গ্রামে গৃহবধু মনিকা বেগম (২৭) লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করছে কাশিয়ানি থানা পুলিশ। নিহত মনিকা বেগমের বাবার বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচর গ্রামে।
গতকাল শনিবার (১৭ই স্বেপ্টেবর) রাতে গৃহবধু মনিকা বেগমকে হত্যা করে নিহতের ম্বামী হাসিব মুন্সি ও তার পরিবার। গৃহবধু তিন মাসের গর্ভবর্তী ছিল বলে জানায় নিহত মনিকা বেগমের পরিবার।
নিহত গৃহবধু মনিকা বেগমের ভাই মো: জিয়াউর রহমান ও চাচা মো: মনিরুল ইসলাম তুষার বলেন, আমার দুলাভাই বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকা চায় আমাদের কাছে। আমরা দরিদ্র পরিবার বলে তাকে টাকা দিতে পারিনি। এজন্য আমার বোনকে টাকার জন্য প্রায়ই মারপিট করতো আমার দুলাভাই হাসিব মুন্সি ও তার পরিবার। এ ঘটনা নিয়ে কাশিয়ানি থানায় সাধারণ ডায়েরীসহ একাধিকবার সালিশি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় আমার বোন আমাকে ফোন করে বলে ভাই আমাকে অনেক মারছে, আমি মনে হয় বাঁচবো না। পরে আমরা দ্রæত কাশিয়ানি থানায় যাই এবং কাশিয়ানি থানা পুলিশ সঙ্গে করে নিয়ে ভাট্টাধোবা গ্রামে বোনের বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার বোন মৃত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। পুলিশ আমার বোনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
কাশিয়ানি থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইরানুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠাই। নিহতের মনিকা বেগমের গলায় একটি দাগ পাওয়া গেছে। সন্ধেহ করছি শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি । মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

dainik madhumati

জনপ্রিয়

কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক -১ 

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানিতে গৃহবধু লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত সময় : ০১:৫৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার ভাট্টাধোবা গ্রামে গৃহবধু মনিকা বেগম (২৭) লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করছে কাশিয়ানি থানা পুলিশ। নিহত মনিকা বেগমের বাবার বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচর গ্রামে।
গতকাল শনিবার (১৭ই স্বেপ্টেবর) রাতে গৃহবধু মনিকা বেগমকে হত্যা করে নিহতের ম্বামী হাসিব মুন্সি ও তার পরিবার। গৃহবধু তিন মাসের গর্ভবর্তী ছিল বলে জানায় নিহত মনিকা বেগমের পরিবার।
নিহত গৃহবধু মনিকা বেগমের ভাই মো: জিয়াউর রহমান ও চাচা মো: মনিরুল ইসলাম তুষার বলেন, আমার দুলাভাই বিদেশে যাওয়ার জন্য টাকা চায় আমাদের কাছে। আমরা দরিদ্র পরিবার বলে তাকে টাকা দিতে পারিনি। এজন্য আমার বোনকে টাকার জন্য প্রায়ই মারপিট করতো আমার দুলাভাই হাসিব মুন্সি ও তার পরিবার। এ ঘটনা নিয়ে কাশিয়ানি থানায় সাধারণ ডায়েরীসহ একাধিকবার সালিশি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় আমার বোন আমাকে ফোন করে বলে ভাই আমাকে অনেক মারছে, আমি মনে হয় বাঁচবো না। পরে আমরা দ্রæত কাশিয়ানি থানায় যাই এবং কাশিয়ানি থানা পুলিশ সঙ্গে করে নিয়ে ভাট্টাধোবা গ্রামে বোনের বাড়িতে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার বোন মৃত অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে আছে। পুলিশ আমার বোনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
কাশিয়ানি থানার তদন্ত কর্মকর্তা ইরানুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠাই। নিহতের মনিকা বেগমের গলায় একটি দাগ পাওয়া গেছে। সন্ধেহ করছি শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এখনো কোন অভিযোগ পাইনি । মামলাটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।