০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫৯ হেক্টর বেশি জমিতে গমের আবাদ

গোপালগঞ্জে গমের বাম্পার ফলল

###    গোপালগঞ্জ জেলায় জেলার চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গমের দাম বেশি হওয়ায় গমের আবাদ করা হয়েছে ৫ হাজার ৩৪৪ হেক্টর । এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৪২৫ হেক্টরে, মুকসুদপুরে ৪ হাজার ২২৫ হেক্টরে, কাশিয়ানীতে ৪৭২ হেক্টরে, কোটালীপাড়ায় ১৩৭ হেক্টরে ও টুঙ্গিপাড়ায় ৮৫ হেক্টরে গমের আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ গমের বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। গম চাষে খরচ কম। বাজারে দাম ভাল। এছাড়া, কৃষিবিভাগ গম চাষে প্রণোদনা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করায় মৌসুমে কৃষক অধিক জমিতে গমের আবাদ করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবড়ি সূত্র জানিয়েছে,  উপজেলা পর্যায়ে কৃষক উৎসবের আমেজের কারনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও জেলায় অতিরিক্ত  ২৫৯ হেক্টর জমিতে  গমের আবাদ হয়েছে। এবার গমের বাম্পার ফলনের আশা করছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আ. কাদের সরদার বলেন, আমরা কৃষককে প্রণোদনার বীজ, সার ও ছত্রাক নাশক  দিয়েছি। সেই সাথে গমের প্রদর্শণী প্লট করেছি। বাজরে গমের দাম ভাল রয়েছে। তাই অধিক লাভের আশায় কৃষক গমের আবাদ করেছে। অন্য ফসলের তুলনায় গম আবাদে খরচ কম লাগে। তাই গমের অধিক ফলন পেয়ে কৃষক লাভবান হন। আশা করছি এই বছর ভালো ফলন পেয়ে কৃষক লাভবান হবেন। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ডাঙ্গাদুর্গাপুর গ্রামের কৃষক জব্বার মিয়া (৫৫) বলেন, আমাদের এলাকায় বরাবরই গম ভাল হয়। তাই এই বছর ১ একর জমিতে গমের আবাদ করেছি। কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে আসছেন পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের পরামর্শে কাজ করছি। মাঠে গম দেখে মনে হচ্ছে ভাল ফলন পাব। কাশিয়ানী উপজেলার হিরণ্যকান্দি গ্রামের কৃষক ফরাস উদ্দিন (৫০) বলেন, আমি ২ একরে গমের আবাদ করেছি। ভালভাবে গম কেটে ঘরে তুলতে পারলে এ বছর গম থেকে ভাল টাকা পাব। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের কৃষক ফজর আলী ভূইয়া (৫২) বলেন, এই বছর মাঠে গমের অবস্থা ভাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গম আবাদ করেছি। এতে আমদের খাদ্য উৎপাদন বাড়বে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে ইনশাল্লাহ। কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, আমরা কৃষকদের দিয়ে বিএডিসি, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের গমের চাষাবাদ করিয়েছি। তারা আমাদের পরামর্শে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গমের চাষাবাদ করেছে। এখানে তারা পরিমিত সার, কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক ব্যবহার করেছে। সেই সাথে প্রয়োজনীয় সেচ দিয়েছেন। তাই গমে রোগ বালাই কম হয়েছে। গম চাষে কৃষকের তুলনা মুলকভাবে খরচ কম লেগেছে। গম থেকে কৃষক বাড়তি আয় করতে পারবেন। আগামী বছর লাভজনক গমের চাষাবাদ কোটালীপাড়া উপজেলায় আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি। ##

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৫৯ হেক্টর বেশি জমিতে গমের আবাদ

গোপালগঞ্জে গমের বাম্পার ফলল

প্রকাশিত সময় : ১২:০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

###    গোপালগঞ্জ জেলায় জেলার চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গমের দাম বেশি হওয়ায় গমের আবাদ করা হয়েছে ৫ হাজার ৩৪৪ হেক্টর । এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৪২৫ হেক্টরে, মুকসুদপুরে ৪ হাজার ২২৫ হেক্টরে, কাশিয়ানীতে ৪৭২ হেক্টরে, কোটালীপাড়ায় ১৩৭ হেক্টরে ও টুঙ্গিপাড়ায় ৮৫ হেক্টরে গমের আবাদ হয়েছে। কৃষি বিভাগ গমের বাম্পার ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছে। গম চাষে খরচ কম। বাজারে দাম ভাল। এছাড়া, কৃষিবিভাগ গম চাষে প্রণোদনা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করায় মৌসুমে কৃষক অধিক জমিতে গমের আবাদ করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবড়ি সূত্র জানিয়েছে,  উপজেলা পর্যায়ে কৃষক উৎসবের আমেজের কারনে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও জেলায় অতিরিক্ত  ২৫৯ হেক্টর জমিতে  গমের আবাদ হয়েছে। এবার গমের বাম্পার ফলনের আশা করছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আ. কাদের সরদার বলেন, আমরা কৃষককে প্রণোদনার বীজ, সার ও ছত্রাক নাশক  দিয়েছি। সেই সাথে গমের প্রদর্শণী প্লট করেছি। বাজরে গমের দাম ভাল রয়েছে। তাই অধিক লাভের আশায় কৃষক গমের আবাদ করেছে। অন্য ফসলের তুলনায় গম আবাদে খরচ কম লাগে। তাই গমের অধিক ফলন পেয়ে কৃষক লাভবান হন। আশা করছি এই বছর ভালো ফলন পেয়ে কৃষক লাভবান হবেন। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ডাঙ্গাদুর্গাপুর গ্রামের কৃষক জব্বার মিয়া (৫৫) বলেন, আমাদের এলাকায় বরাবরই গম ভাল হয়। তাই এই বছর ১ একর জমিতে গমের আবাদ করেছি। কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে আসছেন পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের পরামর্শে কাজ করছি। মাঠে গম দেখে মনে হচ্ছে ভাল ফলন পাব। কাশিয়ানী উপজেলার হিরণ্যকান্দি গ্রামের কৃষক ফরাস উদ্দিন (৫০) বলেন, আমি ২ একরে গমের আবাদ করেছি। ভালভাবে গম কেটে ঘরে তুলতে পারলে এ বছর গম থেকে ভাল টাকা পাব। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের কৃষক ফজর আলী ভূইয়া (৫২) বলেন, এই বছর মাঠে গমের অবস্থা ভাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহবানে সাড়া দিয়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গম আবাদ করেছি। এতে আমদের খাদ্য উৎপাদন বাড়বে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে ইনশাল্লাহ। কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিটুল রায় বলেন, আমরা কৃষকদের দিয়ে বিএডিসি, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের গমের চাষাবাদ করিয়েছি। তারা আমাদের পরামর্শে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে গমের চাষাবাদ করেছে। এখানে তারা পরিমিত সার, কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক ব্যবহার করেছে। সেই সাথে প্রয়োজনীয় সেচ দিয়েছেন। তাই গমে রোগ বালাই কম হয়েছে। গম চাষে কৃষকের তুলনা মুলকভাবে খরচ কম লেগেছে। গম থেকে কৃষক বাড়তি আয় করতে পারবেন। আগামী বছর লাভজনক গমের চাষাবাদ কোটালীপাড়া উপজেলায় আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশা করছি। ##