মোঃ একরামুল হক মুন্সী, চিতলমারী(বাগেরহাট)প্রতিনিধি: দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, উচ্চতা ৬ ফুট । ওজন ১২০০ কেজি বা ৩০ মণ। হলেস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান ক্রস জাতের ষাঁড়টির নাম ‘নবাব’। আসন্ন কোরবানিতে এর দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা।
ষাঁড়ের মালিক বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কীত্তর্নখালী গ্রামের মৃত: আমল মন্ডলের ছেলে কমলেশ মন্ডল (রাই)। তিনি কোরবানির ঈদে ষাঁড়টি বিক্রি করবেন। এটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় করছেন লোকজন।
২০১৯ সালে রাই তার হাতালের একটি গাভিকে হলেস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়ের সিমেন ব্যবহার করে কৃত্রিম প্রজজনের মাধ্যমে ২০২০ সালে জন্ম হয় ‘নবাবের’। জন্মের পর বাছুরটিকে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হয়। প্রয়োজন মতো খাবার ও পরিচর্যায় “নবাবের” আকৃতি বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় মাত্র তিন বছরে শখের নবাবের দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, উচ্চতা ৬ ফুট এবং ওজন ১২০০ কেজি বা ৩০ মনে দাঁড়িয়েছে। আসন্ন কোরবানিতে এর দাম হাঁকা হয়েছে ১২ লাখ টাকা।তবে আলোচনা সাপেক্ষে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানাগেছে। ষাঁড়টি বাড়ীবসেই বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যোগাযোগের মোবাইল নম্বর ঃ ০১৮১৪—৬৪০৬১১।
নবাব নামের ষাঁড়টির খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া ও ছোলা। রাই মন্ডলের স্ত্রী শিপ্রা রানী মন্ডল অশ্রম্নসজল চোখে জানান
‘এ ধরনের গরু লালন—পালন খুবই কষ্টকর। পরিবারের সবাই মিলে যত্ন করেছি। ওর শুণ্যতা কেটে উঠতে আমাদের অনেক সময় লাগবে। অনেক শ্রম ও অর্থ ব্যয় করেছি “নবাবের” পেছনে। ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।’ স্থানীয় শিক্ষক লিটন কুমার মন্ডল বলেন, গরুটাকে স্বঠিক লালন পালন, পরিচর্যার মাধ্যমে বড় করা হয়েছে। আমরা চাই এর সর্বচ্চোমূল্য পাক।