০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খুলনায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালন:

জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে : আজিজুল বারি

  • অফিস ডেক্স।।
  • প্রকাশিত সময় : ০৯:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
  • ৪০ পড়েছেন

###    বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে চাচ্ছে, আবার সংবিধান সম্মত নির্বাচনের দাবি করছে। তারা নিজেদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে সংবিধানকে ইচ্ছামতো কাটাছেড়া করেছে। সামরিক  স্বৈরশাসকের পতনের লগ্নে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচন সংবিধান সম্মতভাবে হয়নি-হয়েছিল সময়ের প্রয়োজনের দাবিতে। ৯৬সালেও সংবিধানে তত্ত¡বধায়ক সরকার প্রবর্তন করতে বিএনপিকে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হয়েছে। সরকার সংবিধানের দোহাই দেবে, আবার দিনের ভোটে রাতে করবে। তত্ত¡বধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান স্বীকৃত। কাজেই আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত¡বধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে  দাবি করে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে ব্যালট ভরে রাখবে, প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে মারপিট করবে। এটা সংবিধানের কোথায় আছে, প্রশ্ন রাখেন তিনি? সংযমের মাস রমজানে বিএনপি জনদূর্ভোগ দূর করার দাবিতে জনসম্পৃক্ত ও নিরীহ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। কিন্ত ফ্যাসিবাদী সরকার সেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও সহ্য করতে না পেরে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দিযে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন হেলাল। তিনি বলেন, বিএনপির এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি উত্তুঙ্গ রূপ নেবে এবং সরকারের পতন না ঘটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।  শনিবার (৮ এপ্রিল) খুলনায় মহানগর বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজিজুল বারী হেলাল এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে দেশব্যাপি কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালিত হয়। বিকেল ৩টায় খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে কর্মসূচির শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, অভাবের তাড়নায় মানুষ মাছ, মাংস ও চাউলের স্বাধীনতা চাচ্ছে। এতে নাকি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সরকার ভাবমূর্তির খেলায় নেমেছে। অথচ কিছুদিন আগেও সরকার প্রধান বারবার দেশে দূর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে হুশিয়ার করেছিলেন। প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান মানুষের কষ্টের কথ্ াতুলে ধরায় তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুম করে। দেশব্যাপি প্রতিবাদ সৃষ্টি হলে ৩৬ ঘন্টা পরে তাকে প্রকাশ্যে আনা হয়। র‌্যাবের হেফাজতে নওগাঁয় ভূমি অফিসের নারী কর্মকর্তা খুন হন। ডয়েচে ভেলে এবং নেত্র নিউজ র‌্যাবকে ডেথ স্কয়াড হিসেবে চিহ্নিত করে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সারা দেশের নজর যখন র‌্যাবের বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ডের দিকে, ঠিক সেই সময় পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবাজারে আগুন দিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়েছে। এই সরকার মাইন্ড ডাইভারশনে পারদর্শী দাবি করে হেলাল বলেন, এটি ফ্যাসিস্ট সরকারের একটি কমন চরিত্র। তাদের অপকর্ম নিয়ে দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হলে তারা নতুন একটি ঘটনার অবতারণা করে মানুষের নজর সেদিকে ঘুরিয়ে দেয়। এর আগেও এভাবে দেশের বিভিন্ন রাসায়নিক গুদামে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল। আজকে সরকার প্রথম আলো নিষিদ্ধ করতে নায়ক নায়িকাদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজ যারা প্রথম আলোর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন তাদের উচিৎ আগে মেরিল-প্রথম আলো পদক ফিরিয়ে দিয়ে তারপর রাস্তায় নামা।  বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ পরাস্ত হয়েছে দাবি করেন হেলাল। বলেন, তাদের পক্ষে পরিবারের কয়েকজন লোক আর হাসান মাহমুদ ছাড়া আর কেউ কথা বলে না। এটার ফ্যাসিবাদী সরকারের শেষ পরিণতি। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেুিণর পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃত করে এই প্রজন্মকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বিএনপির আজকের অবস্থান কর্মসূচি বানচাল করতে গত কয়েকদিনে ১২ নেতকার্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মোঃ রাশেদ, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, যুবদল নেতা জাহিদ হোসেন, গাজী সালাহউদ্দিন সহ গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, সকল রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। বক্তব্য রাখেন জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, নগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম পিন্টু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল প্রমুখ। কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন। #

Tag :
লেখক তথ্য সম্পর্কে

Dainik adhumati

জনপ্রিয়

কেএমপি’র ০২ পুলিশ সদস্য জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারে ভূষিত

খুলনায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালন:

জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে : আজিজুল বারি

প্রকাশিত সময় : ০৯:০৫:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

###    বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে চাচ্ছে, আবার সংবিধান সম্মত নির্বাচনের দাবি করছে। তারা নিজেদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে সংবিধানকে ইচ্ছামতো কাটাছেড়া করেছে। সামরিক  স্বৈরশাসকের পতনের লগ্নে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচন সংবিধান সম্মতভাবে হয়নি-হয়েছিল সময়ের প্রয়োজনের দাবিতে। ৯৬সালেও সংবিধানে তত্ত¡বধায়ক সরকার প্রবর্তন করতে বিএনপিকে অনেক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে হয়েছে। সরকার সংবিধানের দোহাই দেবে, আবার দিনের ভোটে রাতে করবে। তত্ত¡বধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান স্বীকৃত। কাজেই আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত¡বধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে  দাবি করে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে ব্যালট ভরে রাখবে, প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে মারপিট করবে। এটা সংবিধানের কোথায় আছে, প্রশ্ন রাখেন তিনি? সংযমের মাস রমজানে বিএনপি জনদূর্ভোগ দূর করার দাবিতে জনসম্পৃক্ত ও নিরীহ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। কিন্ত ফ্যাসিবাদী সরকার সেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও সহ্য করতে না পেরে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দিযে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন হেলাল। তিনি বলেন, বিএনপির এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি উত্তুঙ্গ রূপ নেবে এবং সরকারের পতন না ঘটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।  শনিবার (৮ এপ্রিল) খুলনায় মহানগর বিএনপি আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আজিজুল বারী হেলাল এসব কথা বলেন। বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে দেশব্যাপি কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালিত হয়। বিকেল ৩টায় খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে কর্মসূচির শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, অভাবের তাড়নায় মানুষ মাছ, মাংস ও চাউলের স্বাধীনতা চাচ্ছে। এতে নাকি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সরকার ভাবমূর্তির খেলায় নেমেছে। অথচ কিছুদিন আগেও সরকার প্রধান বারবার দেশে দূর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে হুশিয়ার করেছিলেন। প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান মানুষের কষ্টের কথ্ াতুলে ধরায় তাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুম করে। দেশব্যাপি প্রতিবাদ সৃষ্টি হলে ৩৬ ঘন্টা পরে তাকে প্রকাশ্যে আনা হয়। র‌্যাবের হেফাজতে নওগাঁয় ভূমি অফিসের নারী কর্মকর্তা খুন হন। ডয়েচে ভেলে এবং নেত্র নিউজ র‌্যাবকে ডেথ স্কয়াড হিসেবে চিহ্নিত করে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সারা দেশের নজর যখন র‌্যাবের বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ডের দিকে, ঠিক সেই সময় পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবাজারে আগুন দিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করা হয়েছে। এই সরকার মাইন্ড ডাইভারশনে পারদর্শী দাবি করে হেলাল বলেন, এটি ফ্যাসিস্ট সরকারের একটি কমন চরিত্র। তাদের অপকর্ম নিয়ে দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হলে তারা নতুন একটি ঘটনার অবতারণা করে মানুষের নজর সেদিকে ঘুরিয়ে দেয়। এর আগেও এভাবে দেশের বিভিন্ন রাসায়নিক গুদামে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল। আজকে সরকার প্রথম আলো নিষিদ্ধ করতে নায়ক নায়িকাদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আজ যারা প্রথম আলোর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন তাদের উচিৎ আগে মেরিল-প্রথম আলো পদক ফিরিয়ে দিয়ে তারপর রাস্তায় নামা।  বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ পরাস্ত হয়েছে দাবি করেন হেলাল। বলেন, তাদের পক্ষে পরিবারের কয়েকজন লোক আর হাসান মাহমুদ ছাড়া আর কেউ কথা বলে না। এটার ফ্যাসিবাদী সরকারের শেষ পরিণতি। সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেুিণর পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃত করে এই প্রজন্মকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। বিএনপির আজকের অবস্থান কর্মসূচি বানচাল করতে গত কয়েকদিনে ১২ নেতকার্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মোঃ রাশেদ, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, যুবদল নেতা জাহিদ হোসেন, গাজী সালাহউদ্দিন সহ গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, সকল রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। বক্তব্য রাখেন জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, নগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম পিন্টু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল প্রমুখ। কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন। #